author
stringlengths 2
242
| category
stringclasses 9
values | category_bn
stringclasses 16
values | published_date
stringlengths 2
68
| modification_date
stringlengths 2
68
| tag
stringlengths 0
137
| comment_count
float64 0
0
⌀ | title
stringlengths 1
215
| url
stringlengths 47
56
| content
stringlengths 0
57.9k
| __index_level_0__
int64 0
408k
|
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
সিলেট প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ৩০ আগস্ট ২০১৫, ১১:২০ | ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, ১৪:৪৬ | অপরাধ | null | আন্দোলনরত শিক্ষকদের ওপর ছাত্রলীগের হামলা | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/617182 | শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আমিনুল হক ভূইয়ার অপসারণের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষকদের ওপর ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা হামলা চালিয়েছেন। তবে ছাত্রলীগের নেতারা হামলার বিষয়টি অস্বীকার করে উল্টো শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ধাক্কাধাক্কি করার অভিযোগ করেছেন।উপাচার্য ভবনের সামনে ঘটনাটি ঘটেছে আজ রোববার সকাল সোয়া আটটার দিকে।বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, আজ সকাল ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলের সভা হওয়ার কথা ছিল। এ কারণে আজ সকাল নয়টা থেকে উপাচার্য কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেওয়ার কর্মসূচি দেন আন্দোলনরত শিক্ষকদের একাংশ। অন্যদিকে সকাল সাতটা থেকেই সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের ব্যানারে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা অবস্থান নেন সেখানে।সকাল সাড়ে আটটার দিকে উপাচার্য তাঁর কার্যালয়ে ঢুকতে গেলে আন্দোলনরত শিক্ষকেরা তাঁকে ঢুকতে বাধা দেন। তখন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা তাঁকে কার্যালয়ে ঢুকতে সহায়তা করেন। এ সময় শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে।আন্দোলনরত শিক্ষকদের একাংশের নেতা ও ‘মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ শিক্ষকবৃন্দ’ ফোরামের আহ্বায়ক অধ্যাপক সৈয়দ শামসুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, ছাত্রলীগ তাদের ওপর হামলা চালিয়ে ড. ইয়াসমিন হকসহ কয়েকজন শিক্ষককে লাঞ্ছিত করেছে। ছাত্রলীগ উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এ হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহসভাপতি অঞ্জন রায়ের দাবি, ছাত্রলীগ কোনো হামলার ঘটনা ঘটায়নি। এখানে সাধারণ শিক্ষার্থী ও উপাচার্যবিরোধী শিক্ষকদের পৃথক কর্মসূচি চলছে। উপাচার্য ভেতরে যেতে চাইলে আন্দোলনরত শিক্ষকেরা বাধা দেন এবং ধাক্কা দিয়ে তাঁকে ফেলে দেন। এ সময় সাধারণ শিক্ষার্থীরা উপাচার্যকে তাঁর কার্যালয়ে ঢুকিয়ে দেয় মাত্র।উপাচার্য আমিনুল হক ভূইয়া বলেন, ‘আজ একাডেমিক কাউন্সিলের সভা হওয়ার কথা ছিল। সেখানে যোগ দেওয়ার জন্য যাওয়ার পথে আন্দোলনকারী শিক্ষকেরা আমাকে বাধা দেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে এমন ন্যক্কারজনক ঘটনা আর ঘটেনি।’কয়েকজন শিক্ষকের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণের অভিযোগ এনে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে ১২ এপ্রিল থেকে ‘মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ শিক্ষকবৃন্দ’ ব্যানারে আন্দোলন শুরু করেছেন শিক্ষকদের একাংশ। আবার এই আন্দোলনকে বিশ্ববিদ্যালয় অস্থিতিশীল করার পাঁয়তারা হিসেবে আখ্যা দিয়ে সরকার-সমর্থক শিক্ষকদের একটি অংশ ‘মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মুক্ত চিন্তার চর্চায় ঐক্যবদ্ধ শিক্ষকবৃন্দ’ ব্যানারে উপাচার্যের পক্ষে অবস্থান নেন। পাশাপাশি আন্দোলনরত শিক্ষকদের আন্দোলন থেকে সরে দাঁড়ানোর দাবিতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে আন্দোলন করছে সরকার দলীয় ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগ। | 164,171 |
নিজস্ব প্রতিবেদক | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৭ জানুয়ারি ২০১৬, ১৯:৫৫ | ২৭ জানুয়ারি ২০১৬, ২০:০৪ | সংসদ,সরকার,রাজনীতি | null | গ্যাসের সংকট স্বীকার করলেন প্রধানমন্ত্রী | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/751948 | প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘শীতে গ্যাসের সংকট আছে। আমরা স্বীকার করছি কিছু সমস্যা আছে। এই সমস্যা প্রতি শীতেই হয়। তবে আমরা বসে নেই। সংকট কাটানোর চেষ্টা করছি, পদক্ষেপ নিচ্ছি। সমস্যার সমাধানে কাজ করছি।’আজ বুধবার জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে জাতীয় পার্টির সাংসদ জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলুর এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাব দেন তিনি।জিয়াউদ্দিন আহমেদ বলেন, ঢাকা ও চট্টগ্রামসহ সারা দেশে গ্যাস সংকট দেখা গেছে। এমনকি জাতীয় সংসদেও সংকট ছিল।প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘শীতকালে সাধারণত গ্যাস জমে যায়, গ্যাসের চাপও (ফ্লো) কমে যায়। সে জন্য সব সয়ই শীতকালে গ্যাসের সমস্যা দেখা যায়। আমরা সরকারে আসার পর গ্যাসের উৎপাদন অনেকটা বাড়িয়েছি। তবে চাহিদাও বেড়ে যাচ্ছে। যথেষ্ট পদক্ষেপ নেওয়ার পরেও কিছু সমস্যা রয়েছে তা স্বীকার করছি।’আওয়ামী লীগ ছাড়া অতীতে যারা ক্ষমতায় ছিল তারা এ দিকে খুব একটা দৃষ্টি দেয়নি উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সমস্যার সমাধানে বিকল্প হিসেবে এলএনজি (লিকুয়িফাইড ন্যাচারাল গ্যাস) আমদানির ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণও শুরু হয়েছে। এটা শেষ হলে এবং এলএনজি আমদানি করতে পারলে গ্যাসের সমস্যা অনেকটা দূর হবে। এলপি গ্যাসের ওপর ট্যাক্স তুলে দেওয়া হয়েছে।গ্যাসের উৎপাদন বৃদ্ধিতে গৃহীত পদক্ষেপগুলো তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রাকৃতিক সম্পদ কত আছে তা সঠিকভাবে বের করা কঠিন। অনেক কূপ খনন করা হয়েছে। বাপেক্সকে শক্তিশালী করা হয়েছে। সমুদ্রে গ্যাস অনুসন্ধানে দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে।পদ্মা সেতু প্রকল্পে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়ন বন্ধে যারা ষড়যন্ত্র করেছিলেন, তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে কী না জানতে চান সরকার দলীয় সাংসদ সেগুফতা ইয়াসমিন এমিলি। জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘একজন ব্যক্তি বিশেষের জন্য আমাকে থ্রেট দেওয়া হয়েছিল। বিশেষ এক ব্যক্তি, তার ব্যাপারে আমাকে সরাসরি বলা হয়েছিল, তার এমডির পদ না থাকলে পদ্মা সেতুর টাকা বন্ধ করা হবে। এ ধরনের বহু কথা আমাকে শুনতে হয়েছে।’প্রধানমন্ত্রী কারও নাম উল্লেখ না করে বলেন, ‘কেউ যদি ব্যক্তি স্বার্থের জন্য দেশের সর্বনাশ করতে চায়, দেশের মানুষের স্বার্থ না দেখে তাহলে তাদের প্রতি করুণা করা ছাড়া আর কিছু থাকে না। কোনো মানুষ যদি সম্পূর্ণ ব্যক্তি স্বার্থে অন্ধ থাকে, জনগণের প্রতি কোনো দায়িত্ববোধ না থাকে, তাহলে তার বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া যাবে এটা জনগণই বিচার করবে। আমি এ বিচারের ভার জনগণের ওপর ছেড়ে দিলাম।’মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক জরিপ সংস্থা আইআরআইয়ের মতে বাংলাদেশে বিভিন্ন সূচকে অভূতপূর্ব উন্নতির পেছনে প্রধানমন্ত্রীর অনুপ্রেরণা ও শক্তি জানতে চান জাতীয় পাটির সাংসদ ফকরুল ইমাম। জবাবে সংসদ নেতা শেখ হাসিনা বলেন, ‘সততাই শক্তি, সততাই সাহস। এই শক্তি সাহস পেয়েছি বাবার কাছ থেকে। প্রেরণা পেয়েছি মায়ের কাছ থেকে। আমার জীবনের রাজনীতির লক্ষ্য বাবার যে আকাঙ্ক্ষা তা পূরণ করা। সেই লক্ষ্য নিয়ে রাষ্ট্র পরিচালনার যখন দায়িত্ব পেয়েছি। আমি মনে করি এটা জনগণকে সেবা ও তাদের জন্য কাজ করার একটা সুযোগ। এখানে নিজে কী পেলাম বা কী পেলাম না সেটা আমি চিন্তা করি না এবং করবও না, করতে চাইও না।’বিরোধী দলের সদস্য হয়েও এই প্রশ্ন করা এবং আলোচনার সূত্রপাত করার জন্য সাংসদকে ধন্যবাদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এটা চিন্তা করি না ছেলে মেয়েদের জন্য কী রেখে গেলাম। নিজের জন্য কী রেখে গেলাম। আজকে না থাকলে কালকে কী হবে এই চিন্তা ভাবনা আমরা করি না। চিন্তা-ভাবনা একটাই, দেশের জন্য কতটুকু করতে পারলাম, মানুষের জন্য কতটুকু করতে পারলাম এবং মানুষকে কতটুকু দিতে পারলাম। এই একটাই আমার চিন্তা-ভাবনা। জনগণের চিন্তা করি বলেই জনগণই আমার শক্তি। মানুষের শক্তিতেই আমি শক্তি পাই। তাদের ওপর আমার আস্থা আছে। এবং আমি জানি তাদেরও আমার ওপর আস্থা আছে বলেই সেখান থেকে আমি সাহস পাই।’সংসদে বিরোধী দলের ভূমিকার প্রশংসা করে সংসদ নেতা আরও বলেন, সংসদে এখন একটা পরিবর্তন এসেছে। বিরোধী দল সরকারের সমালোচনা করছে। পাশাপাশি ভালো কাজ করলে তার প্রশংসাও করছে। বর্তমান সংসদ সেই দৃষ্টান্ত স্থাপন করছে। মানুষ ভদ্রভাবে সংসদ দেখতে পারছে।পদ্মা সেতুর ব্যয় বাড়বে কী না কাজী ফিরোজ রশীদের এ সংক্রান্ত সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, পদ্মা সেতু বাংলাদেশের একটি নতুন প্রকল্প। এতে ব্যয় বাড়বে কী কমবে সেটা এই মুহূর্তে বলা সম্ভব নয়। ব্যয় বাড়তেও পারে আবার অর্থ বেঁচেও যেতে পারে। তিনি আরও বলেন, পদ্মা অত্যন্ত খরস্রোতা নদী। এখানে এ ধরনের সেতু নির্মাণ সত্যিই কঠিন কাজ। কাজেই এ জন্য সময়ে সময়ে নির্মাণ ব্যয় বাড়তেও পারে।এর আগে কাজী ফিরোজ রশীদের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, পদ্মা সেতু প্রকল্পে এ পর্যন্ত (ডিসেম্বর ২০১৫) ৯ হাজার ১৩৩ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে।সরকারি দলের সাংসদ মোরশেদ আলমের এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী ফোর্সেস গোল ২০৩০ অনুযায়ী প্রতিরক্ষা বাহিনীর আধুনিকায়নের গৃহীত পদক্ষেপ ও পরিকল্পনার কথা জানান। | 195,887 |
প্রতিনিধি,দাউদকান্দি,কুমিল্লা | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৩ মার্চ ২০১৯, ১৫:১৫ | ২৪ মার্চ ২০১৯, ১৩:০৫ | যানজট,কুমিল্লা,দুর্ভোগ,দাউদকান্দি,চট্টগ্রাম বিভাগ | null | ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে তীব্র যানজট | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1584874 | কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার স্বল্পপেন্নাই থেকে মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার মেঘনা সেতু এলাকা পর্যন্ত ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ২৯ কিলোমিটারজুড়ে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়েছে। মেঘনা–গোমতী ও মেঘনা দ্বিতীয় সেতুর সংযোগ সড়কের নির্মাণকাজ, উল্টো পথে এলোপাতাড়ি যানবাহন চলাচলের কারণে গত বৃহস্পতিবার বেলা তিনটা থেকে এ যানজটের সৃষ্টি।ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজটে আটকা থেকে যাত্রী, চালক ও রোগীদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।দুর্ভোগে পড়েন দাউদকান্দি পৌর সদরে অবস্থিত ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন কলেজের প্রথম বর্ষের শতাধিক শিক্ষার্থী। প্রথম বর্ষের চূড়ান্ত পরীক্ষা দিতে গিয়ে নয় কিলোমিটার পথ হেঁটে ও উল্টো পথে যেতে হয়েছে তাঁদের।চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী শ্যামলী পরিবহনের বাসের চালক আলতাফ হোসেন বলেন, আজ শনিবার সকাল সাতটায় দাউদকান্দির আমিরাবাদে এসে যানজটে আটকা পড়ে চার কিলোমিটার মহাসড়ক অতিক্রম করতে দুই ঘণ্টা সময় লেগেছে।ফেনী থেকে ঢাকাগামী এনা পরিবহনের বাসের চালক নুরুল আফসার বলেন, কাউন্টার থেকে নির্দিষ্ট সময়ে নির্দিষ্ট গাড়ি চালানোর কারণে তিন ঘণ্টার পথ ১২ ঘণ্টায় অতিক্রম করায় কয়েক দিন ধরে না ঘুমিয়েই গাড়ি চালাতে হচ্ছে। তীব্র যানজটে দীর্ঘ সময় পথে আটকে থাকায় নারী ও শিশু যাত্রীদের যে কী অবস্থা হচ্ছে, তা ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়।ফেনী থেকে ঢাকাগামী স্টার লাইন পরিবহনের বাসের চালক দৌলত হোসেন বলেন, কিছু চালকদের শৃঙ্খলার অভাবে অন্য চালক ও যাত্রীদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। সেতুর সংযোগ সড়কের কাজের জন্যও যানজট হচ্ছে।চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী কাভার্ড ভ্যানের চালক আজগর হোসেন বলেন, যানজটের ভোগান্তি কোনো কোনো ব্যক্তির জন্য কত বেদনাদায়ক, কেউ যানজটে আটকে না থাকলে বুঝতে পারবে না।দাউদকান্দি হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ ও ভবেরচর হাইওয়ে ফাঁড়ির ওসি কবির হোসেন বলেন, যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক করার চেষ্টা চলছে। | 394,888 |
সরাইল (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ০৬ জানুয়ারি ২০১৬, ০১:৩৩ | ০৬ জানুয়ারি ২০১৬, ০১:৩৪ | সরাইল,ব্রাহ্মণবাড়িয়া,চট্টগ্রাম বিভাগ,বিশাল বাংলা,অপরাধ | 0 | সড়কে ডাকাতি | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/732109 | ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার ভলাকুট ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান বাকী বিল্লাহসহ দুই ব্যক্তি ডাকাতের হামলায় আহত হয়েছেন। ডাকাতেরা তাঁদের কাছ থেকে টাকা, দুটি মুঠোফোন, সোনার দুটি আংটি লুট করে নিয়েছে। গত সোমবার রাত আটটার দিকে ভিটুই এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। বাকী বিল্লাহ বলেন, মোটরসাইকেলে করে ভলাকুটে ফেরার পথে ৮-১০ জন মুখোশ পরা ডাকাত অস্ত্রের মুখে তাঁকে ও অপর আরোহী রামু দামের (৪০) কাছ থেকে ওই সব মাল নিয়ে যায়। এ সময় ডাকাতের হামলায় তাঁরা আহত হন। থানার ওসি আবদুল কাদের বলেন, এ ঘটনায় জড়িত লোকদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। | 189,884 |
গাইবান্ধা প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ১৭ জানুয়ারি ২০১৭, ০১:৩৮ | ১৭ জানুয়ারি ২০১৭, ০১:৩৯ | গাইবান্ধা,খবর | 0 | গাইবান্ধায় ১০০ শীতার্তের মধ্যে কম্বল বিতরণ | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1061209 | ঢাকা ব্যাংকের সহযোগিতায় এবং প্রথম আলো ট্রাস্টের উদ্যোগে গাইবান্ধায় গতকাল সোমবার শীতার্ত ১০০ দুস্থ মানুষের মধ্যে কম্বল বিতরণ করা হয়েছে।গাইবান্ধা সরকারি মহিলা কলেজ মাঠে বিকেল চারটার দিকে এসব কম্বল বিতরণ করা হয়। এর আগে গাইবান্ধা শহরের মধ্যপাড়া, সুখনগর, ফকিরপাড়া, সরকারপাড়া, দক্ষিণ ধানঘড়া, ডেভিড কোম্পানি পাড়া, মুন্সিপাড়া, থানাপাড়া, কুঠিপাড়া এবং গাইবান্ধা সদর উপজেলার কিশামত ফলিয়া, রাধাকৃষ্ণপুর ও বানিয়ারজান এলাকার ওই দরিদ্র ১০০ মানুষের তালিকা করা হয়।কম্বল পেয়ে শারীরিক প্রতিবন্ধী রবি বিশ্বাস বলেন, প্রচণ্ড ঠান্ডায় ঘুমাতে পারছেন না। প্রথম আলোর উদ্যোগে কম্বল পেয়ে অনেক উপকার হলো। হালিমা বেগম নামের আরেকজন বলেন, পেটের ক্ষুধায় ঘুমানো যায়, কিন্তু শীতের কষ্টে ঘুম আসে না। চেয়ারম্যানের কাছে গেলে তিনি বলেন, সরকার থেকে বরাদ্দ পাননি, তাই সহায়তা দিতে পারবেন না। এই একখানা কম্বল পেয়ে তাঁর অনেক উপকার হলো।কম্বল বিতরণের সময় উপস্থিত ছিলেন গাইবান্ধা সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ আবদুল্লাহ-আল-মামুন, প্রথম আলোর গাইবান্ধা বন্ধুসভার সভাপতি খন্দকার সারওয়ার হোসেন, সহসভাপতি নাহিদ হাসান, সাধারণ সম্পাদক রানা পাপুল, প্রথম আলোর গাইবান্ধা প্রতিনিধি শাহাবুল শাহীন প্রমুখ। | 284,125 |
-1 | international | আন্তর্জাতিক | ২৯ ডিসেম্বর ২০১৬, ০০:০৫ | ২৯ ডিসেম্বর ২০১৬, ০০:২২ | ইউরোপ | null | সেই রাশিয়া–এই রাশিয়া | http://www.prothom-alo.com/international/article/1048317 | সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে যাওয়ার পর নিষ্প্রভ হয়ে পড়েছিল রাশিয়া। ২৫ বছর পর সেই রাশিয়া এখন আবার বিশ্বনেতৃত্বের জায়গায় সরব হয়ে উঠছে। বিশেষ করে সিরিয়ায় পশ্চিমা শক্তিগুলোর বিরুদ্ধে সরাসরি অবস্থান নিয়ে মস্কো এখন বিশ্বরাজনীতির কেন্দ্রবিন্দুতে চলে এসেছে। রাশিয়ার এই সাফল্যের পেছনে যিনি প্রধান ভূমিকা পালন করছেন, তিনি হলেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।দুই যুগের বেশি সময় আগের সোভিয়েত ইউনিয়নের পতন এবং আজকের এই ‘রুশ পুনরুত্থান’ নিয়ে বিবিসির সাংবাদিক স্টিভেন রোজেনবার্গ একটি পর্যবেক্ষণধর্মী প্রতিবেদন লিখেছেন। সেখানে তিনি লিখেছেন, ১৯৯১ সালের আগস্টে তিনি মস্কোয় গিয়ে ‘মেশিন ট্রল কনস্ট্রাকশন ইনস্টিটিউট’ নামের সেখানকার একটি প্রতিষ্ঠানে ইংরেজির শিক্ষক হিসেবে চাকরি নেন। এর চার মাসের কম সময়ের মধ্যে সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে কয়েক টুকরা হয়ে যায়। এটি সেখানকার অধিকাংশ মানুষের জন্য ছিল একটি বড় ধাক্কা। তবে রোজেনবার্গ ওই সময় মস্কোতে এমন বহু লোক পেয়েছেন, যাঁরা এই ভাঙনকে ‘স্বাধীনতা’ ও নতুন আশার বার্তা হিসেবে মনে করেছেন।মস্কোতে রোজেনবার্গ যখন শিক্ষকতা করতেন, তখন ইরিনা নামের একজন সহকর্মী ছিলেন। সম্প্রতি ইরিনার সঙ্গে রোজেনবার্গের টেলিফোনে কথা হয়। ইরিনা বলেন, সোভিয়েতের পতন যে তাঁদের জন্য একটা বিয়োগান্ত কিছু, তা তাঁরা প্রথমে বুঝতেই পারেননি। এটা তাঁদের জন্য কত ক্ষতি বয়ে এনেছে, তা বুঝতে তাঁর অনেক সময় লেগে যায়। ইরিনা বলেন, আস্তে আস্তে তিনি রাশিয়ায় নতুন নতুন মানুষ দেখতে পেলেন; খোদ রাশিয়াকেই তাঁর নতুন বলে মনে হতে লাগল। এই ‘বিবর্তন’ ইরিনার ভালো লাগেনি। তিনি বলেন, বলা যায়, পুঁজিবাদের কুৎসিত চেহারা তাঁর কাছে প্রকাশ্য হচ্ছিল।রোজেনবার্গ লিখেছেন, নব্বইয়ের দশকে মস্কোতে ওলেগ নামের এক যুবকের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়। তখন ওলেগের বয়স ছিল বিশের কোঠায়, এখন থাকেন কানাডায়। ওলেগ বলেছেন, সোভিয়েতের পতনের পরপরই রাশিয়া টানাটানির মধ্যে পড়ে যায়। অবশ্য ব্যবসার নতুন সুযোগও সৃষ্টি হয়। তিনি ও তাঁর বন্ধুরা মিলে ওই সময় পোল্যান্ড থেকে পুরোনো গাড়ি এবং যুক্তরাষ্ট্র থেকে ঝাঁকাভর্তি মুরগির ঠ্যাং মস্কোয় এনে বিক্রি করতেন।উত্তর ককেশাস অঞ্চলে নব্বইয়ের দশকে দুটি যুদ্ধ হয়। রুশ পার্লামেন্টে ট্যাংক থেকে গোলা ছোড়া হয়। এ সময় রাশিয়ায় অর্থনৈতিক ধস নামায় বহু লোক তাদের সঞ্চয় খোয়াতে বাধ্য হয়। ওই সময় ইরিনার মতো রুশ নাগরিকেরা সোভিয়েত ইউনিয়নের অভাব অনুভব করতে শুরু করেন। ইরিনা বলেন, তখন বুঝতে পারলাম সোভিয়েত ইউনিয়নের সবকিছুই খারাপ ছিল না।‘কিন্তু সোভিয়েত ইউনিয়নে তো গণতন্ত্র ছিল না, কথা বলার স্বাধীনতা ছিল না’—রোজেনবার্গের এই কথার পাল্টা জবাবে ইরিনা বলেন, ‘আপনি কোন গণতন্ত্রের ঘাটতির কথা বলছেন? এটা একেকজনের কাছে একেক রকম। সরকারের পর্দার আড়ালে কী হচ্ছে, তার সবটা হয়তো আমরা জানতে পারছি না, কিন্তু এটা জানা আদৌ কি আমাদের জন্য খুব জরুরি?’২০০০ সালে পুতিন ক্ষমতায় আসার পর ক্রেমলিন আবার আস্তে আস্তে তার ক্ষমতা সুসংহত করতে শুরু করে। পুতিন ব্যবসা-বাণিজ্যে কড়াকড়ি আরোপ করেন। ব্যক্তি উদ্যোগের বাণিজ্য বেশ কঠিন হয়ে পড়ে। এতে ওলেগের মতো অনেকেই বিদেশে পাড়ি জমান। পুতিনের প্রতি তাঁদের কিছুটা ক্ষোভ থাকলেও ইরিনার মতো অনেকেই মনে করেন, রাশিয়ায় পুতিনের মতোই একজন ‘শক্তপোক্ত’ নেতা দরকার।ইরিনা বলেন, তিনি মনে করেন, রাশিয়ার মতো বিশাল রাষ্ট্র কঠোর ও সুশৃঙ্খলভাবে পরিচালনার জন্য রাজতন্ত্রকে তিনি সমর্থন করেন। তিনি রুশ সম্রাট জারের রাজত্বও অপছন্দ করবেন না।‘পুতিন কি জারের অভাব পূরণ করতে পারবেন?’—এই প্রশ্নের জবাবে ইরিনা বলেন, ‘আমার মনে হয়, হ্যাঁ, তিনি তা পারবেন। আমাদের প্রেসিডেন্ট শুধু কাজ করছেন বললে কম বলা হবে, তিনি নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। এ জন্য আমি তাঁকে শ্রদ্ধা করি।’‘ক্রিমিয়া দখল এবং ইউক্রেন ও সিরিয়ায় নাক গলানোর জন্য পশ্চিমারা তো পুতিনকে পছন্দ করছে না’—এ কথার জবাবে হাসতে হাসতে ইরিনা বলেন, তাঁরা পুতিনকে পছন্দ করবেন কেন? তিনি কি কোনো সুন্দরী রমণী? তিনি তো একজন শক্তিধর নেতা।অন্যদিকে কানাডায় থাকা ওলেগ মনে করেন, রাশিয়া যে ঝক্কি কাটিয়ে উঠে আসছে, এটি তাঁকে আনন্দিত করে। পোল্যান্ডের পুরোনো গাড়ি বা যুক্তরাষ্ট্রের মুরগির ঠ্যাং এখন আর রাশিয়াকে আমদানি করতে হয় না। আজ মস্কো তাঁর পেশি প্রদর্শন করছে; কাল এই প্রতিপত্তি কত দূর গড়াবে, সেটাই দেখার বিষয়। | 278,493 |