author
stringlengths 2
242
| category
stringclasses 9
values | category_bn
stringclasses 16
values | published_date
stringlengths 2
68
| modification_date
stringlengths 2
68
| tag
stringlengths 0
137
| comment_count
float64 0
0
⌀ | title
stringlengths 1
215
| url
stringlengths 47
56
| content
stringlengths 0
57.9k
| __index_level_0__
int64 0
408k
|
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
নিজস্ব প্রতিবেদক | bangladesh | বাংলাদেশ | ১২ জানুয়ারি ২০১৪, ১৮:৫১ | ১২ জানুয়ারি ২০১৪, ২২:৩০ | সরকার | null | ৪৯ মন্ত্রীর দপ্তর বণ্টন করে প্রজ্ঞাপন | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/121771 | প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন নতুন মন্ত্রিসভায় ৪৮ জন মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রী আজ রোববার শপথ নিয়েছেন।সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে প্রধানমন্ত্রীসহ ৪৯ জন মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রীর মধ্যে দপ্তর বণ্টন করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।প্রজ্ঞাপনে সই করেছেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞা। মন্ত্রীদশম জাতীয় সংসদে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে যাঁরা এবার নতুন মুখ, তাঁদের মধ্যে আনিসুল হক আইন ও বিচার, তোফায়েল আহমেদ বাণিজ্য, আমির হোসেন আমু শিল্প, মোহাম্মদ নাসিম স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ, অধ্যক্ষ মতিউর রহমান ধর্ম, কামরুল ইসলাম খাদ্য, আসাদুজ্জামান নূর সংস্কৃতি, আনোয়ার হোসেন মঞ্জু পরিবেশ ও বন, রাশেদ খান মেনন বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ, আ ক ম মোজাম্মেল হক মুক্তিযুদ্ধ, ছায়েদুল হক মত্স্য ও প্রাণিসম্পদ, এমাজউদ্দিন প্রাং বস্ত্র ও পাট, আনিসুল ইসলাম মাহমুদ পানিসম্পদ, আ হ ম মুস্তফা কামাল পরিকল্পনা, মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা, সৈয়দ মহসিন আলী সমাজকল্যাণ, শামসুর রহমান শরীফ ভূমি, ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন। যাঁরা আগের মন্ত্রণালয়েরই দায়িত্বে বহাল আছেন তাঁরা হলেন আবুল মাল আবদুল মুহিত অর্থ, সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম স্থানীয় সরকার, মতিয়া চৌধুরী কৃষি, নুরুল ইসলাম নাহিদ শিক্ষা, হাসানুল হক ইনু তথ্য, ওবায়দুল কাদের যোগাযোগ, মুজিবুল হক রেল, খন্দকার মোশাররাফ হোসেন প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়, শাজাহান খান নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়। আগে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী এবার পেয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ এবং তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব। প্রতিমন্ত্রীপ্রতিমন্ত্রীদের মধ্যে মুজিবুল হক চুন্নু শ্রম ও কর্মসংস্থান, ইয়াফেস ওসমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, এম এ মান্নান অর্থ, মির্জা আজম বস্ত্র ও পাট, প্রমোদ মানকিন সমাজকল্যাণ, বীর বাহাদুর উ শৈ সিং পার্বত্য চট্টগ্রাম, নারায়ণ চন্দ্র চন্দ মত্স্য ও প্রাণিসম্পদ, বীরেন শিকদার যুব ক্রীড়া, আসাদুজ্জামান খান কামাল স্বরাষ্ট্র, শাহরিয়ার আলম পররাষ্ট্র, সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাভেদ ভূমি,ইসমত আরা সাদেক প্রাথমিক ও গণশিক্ষা, মেহের আফরোজ মহিলা ও শিশু, মসিউর রহমান রাঙ্গা পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়, জাহিদ মালেক স্বাস্থ্য ও পরিবার, নসরুল হামিদ বিপু, জুনাইদ আহমেদ পলক তথ্য ও যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন। উপমন্ত্রী: আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব পানিসম্পদ ও আরিফ খান জয় যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন। | 42,879 |
ফেনী অফিস | bangladesh | বাংলাদেশ | ০২ ডিসেম্বর ২০১৫, ০১:২৭ | ০২ ডিসেম্বর ২০১৫, ০১:২৮ | ফেনী,অপরাধ | 0 | ছাত্রলীগ নেতাদের দাওয়াত না দেওয়ায় অনুষ্ঠান পণ্ড! | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/700417 | ফেনী সরকারি কলেজে স্নাতক প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের পরিচিতি অনুষ্ঠান (ওরিয়েন্টেশন) পণ্ড করে দিয়েছেন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। গতকাল মঙ্গলবার সকালে কলেজ মিলনায়তনে এ ঘটনা ঘটে।অভিযোগ পাওয়া গেছে, ছাত্রলীগ নেতাদের দাওয়াত না দেওয়ায় দলটির কর্মীরা অনুষ্ঠান পণ্ড করে দেন।২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি হওয়ার স্নাতক প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের পরিচিতি অনুষ্ঠান ছিল গতকাল। সকাল সাড়ে ১০টায় কলেজ মিলনায়তনে অনুষ্ঠান শুরু হয়। ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক সেলিনা হাবিবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ ও বিশেষ অতিথি ছিলেন উপাধ্যক্ষ মো. আবু নাসের ভূঞা। এ ছাড়া সব বিভাগের প্রধানেরা উপস্থিত ছিলেন।ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী বেশ কয়েকজন শিক্ষক ও শিক্ষার্থী বলেন, কোরআন তিলাওয়াত ও গীতাপাঠের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়। এরপর শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য দেওয়ার আগেই পেছন থেকে চেয়ার ছুড়ে মারা হয়। ভাঙচুর শুরু হয় একের পর এক চেয়ার। মুহূর্তে অনুষ্ঠান পণ্ড হয়ে যায়।বিষয়টি কলেজ কর্তৃপক্ষ তাৎক্ষণিকভাবে স্থানীয় সাংসদ ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন হাজারীকে জানান। দুপুর ১২টার দিকে সাংসদ ও ফেনী পৌরসভার মেয়র আলাউদ্দিন কলেজ পরিদর্শন করেন।পরিদর্শন শেষে সাংসদ নিজাম উদ্দিন হাজারী বলেন, ‘একটা ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। সেটা সবাইকে বুঝিয়ে বলে এসেছি, ভবিষ্যতে যেন এ ধরনের ঘটনা আর না ঘটে।’জানতে চাইলে কলেজ অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ বলেন, এই অনুষ্ঠানে প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের পাঠদানে মনোনিবেশ, বই, সিলেবাসসহ বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানটি পণ্ড হওয়ার ঘটনা খুবই দুঃখজনক। তিনি বলেন, ‘কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে দাওয়াত দেওয়া হয়েছে। জনে জনে দাওয়াত দেওয়া সম্ভব নয়।’কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন ওরফে তপুর দাবি, তিনি ঘটনার সময় কলেজে ছিলেন না। পরে কলেজে গিয়ে অনুষ্ঠান পণ্ড হওয়ার কথা শুনেছেন। | 179,679 |
মংলা (বাগেরহাট) প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ০৬ জুন ২০১৫, ০১:৫৮ | ০৬ জুন ২০১৫, ০১:৫৯ | মোংলা,বাগেরহাট,খুলনা বিভাগ,বিশাল বাংলা | 0 | সাতক্ষীরা থেকে উদ্ধার করা কুমির সুন্দরবনে অবমুক্ত | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/546496 | সাতক্ষীরার দেবহাটা থেকে গত বৃহস্পতিবার সকালে উদ্ধার করা কুমিরটি ওই দিন বিকেলে সুন্দরবনের করমজল বন্য প্রাণী প্রজনন ও কুমির লালন-পালন কেন্দ্রে অবমুক্ত করা হয়েছে। তিন দিন ধরে কুমিরটি দেবহাটা গ্রামের একটি পুকুরে অবস্থান করছিল। খুলনার বন্য প্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের বনপ্রহরী আজাদ কবির জানান, সুন্দরবন-সংলগ্ন দেবহাটা এলাকার আবদুল ছালেকের বাড়ির পুকুরে গত মঙ্গলবার থেকে একটি কুমির ভাসতে দেখেন বাড়ির ও আশপাশের লোকজন। পরে আবদুল ছালেক বিষয়টি বন বিভাগের বন্য প্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগকে জানান। এরপর ফরেস্ট রেঞ্জের লুৎফর পারভেজ ও তিনি বৃহস্পতিবার সকালে ঘটনাস্থলে যান। এলাকাবাসীর সহায়তায় পুকুরে জাল টেনে কুমিরটিকে উদ্ধার ও বিকেলে সুন্দরবনের করমজল বন্য প্রাণী প্রজনন ও কুমির লালন-পালন কেন্দ্রে ছেড়ে দেন। | 144,842 |
বাঞ্ছারামপুর প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ৩১ অক্টোবর ২০১৬, ০১:০২ | ৩১ অক্টোবর ২০১৬, ০১:০৩ | বাঞ্ছারামপুর,বিশাল বাংলা,অপরাধ | 0 | প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তারের দাবি | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1010985 | ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরের দরিকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান সফিকুল ইসলামকে হত্যাচেষ্টার প্রতিবাদে মিছিল ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে উপজেলা যুবলীগ। গতকাল সকালে উপজেলা সদরে এসব কর্মসূচি থেকে প্রধান আসামি রফিকুল ইসলাম ওরফে বাবুকে গ্রেপ্তারের দাবি জানানো হয়।প্রত্যক্ষদর্শী ব্যক্তিরা জানান, বাঞ্ছারামপুর আওয়ামী লীগের কার্যালয় থেকে বেলা ১১টায় বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলটি উপজেলা পরিষদ চত্বরে গিয়ে প্রতিবাদ সমাবেশে মিলিত হয়। উপজেলা যুবলীগের সভাপতি সায়েদুল ইসলাম ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে সমাবেশে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. নুরুল ইসলাম প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন। গত বুধবার রাতে খাল্লা গ্রামে ইউপি চেয়ারম্যান সফিকুলের ঘরে ঢুকে উপর্যুপরি গুলি করে হত্যার চেষ্টা করা হয়। তিনি ঢাকার একটি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। | 261,163 |
-1 | international | আন্তর্জাতিক | ২৬ আগস্ট ২০১৪, ০০:০৭ | ২৬ আগস্ট ২০১৪, ০০:০৭ | আরব বিশ্ব | 0 | ফিলিস্তিনিদের অস্ত্র দেবে তেহরান | http://www.prothom-alo.com/international/article/300904 | ফিলিস্তিনিদের অস্ত্র দেওয়ার কাজে গতি বাড়াবে তেহরান। ইরানের আকাশসীমায় ইসরায়েলি চালকবিহীন বিমান (ড্রোন) মোতায়েন করার পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে এ পদক্ষেপ নেওয়া হবে। ইরানের একজন সামরিক কমান্ডার গতকাল সোমবার এ কথা বলেছেন।এদিকে গাজার বিভিন্ন এলাকায় গতকালও বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এতে আরও চার ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে ১৯ আগস্ট অস্ত্রবিরতি ভেঙে পড়ার পর ৩৫০টির বেশি ইসরায়েলি বিমান হামলায় ১০৬ ফিলিস্তিনির প্রাণহানি ঘটল। একই সময়ে গাজা থেকে অন্তত ৬৫০টি রকেট ইসরায়েলে ছোড়া হয়েছে, যার মধ্যে একটির আঘাতে এক ইসরায়েলি কিশোরের মৃত্যু হয়েছে।ইরানের অভিজাত রেভল্যুশনারি গার্ডের দাপ্তরিক ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে তাদের বিমানবাহিনীর কমান্ডার জেনারেল আমির আলী হাজিজেদাহ বলেন, ‘আমরা পশ্চিম তীরকে (ফিলিস্তিনের) অস্ত্রসজ্জিত করার কাজে গতি বাড়াব এবং যেকোনো ধরনের জবাব দেওয়ার অধিকার আমাদের রয়েছে।’ফিলিস্তিনের গাজায় গত ৮ জুলাই বিমান হামলা শুরু করে ইসরায়েল। এরপর গাজা শাসনকারী ইসলামপন্থী গ্রুপ হামাস ও ইসলামিক জিহাদ ইসরায়েলের ভেতরে যেসব রকেট নিক্ষেপ করেছে, তার প্রযুক্তি ইরান সরবরাহ করেছে বলে নিশ্চিত করেছে তেহরান।ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের অস্ত্র দেওয়ার গতি আরও বাড়ানো হবে বলে ইরানের এ হুমকির এক দিন আগে দেশটির রেভল্যুশনারি গার্ড জানায়, তারা ইরানের আকাশসীমায় ঢুকে পড়া একটি ইসরায়েলি ড্রোন ভূপাতিত করেছে। স্টিলথ প্রযুক্তির ‘হার্মেস’ ড্রোনটি ইরানের মধ্যাঞ্চলে অবস্থিত নাতাঞ্জ ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্রের কাছে ভূপাতিত করা হয়। ড্রোনটির খণ্ডগুলো অক্ষত অবস্থায় পাওয়া গেছে। সেগুলো পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে।মিসরের নতুন প্রস্তাব: মিসরের মধ্যস্থতাকারীরা ইসরায়েল-হামাস অস্ত্রবিরতির জন্য নতুন একটি প্রস্তাব দিয়েছে, যেখানে আট বছর ধরে অবরুদ্ধ গাজার বেশ কিছু ক্রসিং খুলে দেওয়া এবং ত্রাণ ও নির্মাণসামগ্রী যাওয়ার অনুমতি দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। একজন জ্যেষ্ঠ ফিলিস্তিনি কর্মকর্তা গতকাল এ কথা জানান। ইসরায়েল মানলে হামাসসহ ফিলিস্তিনিরাও এ ধরনের প্রস্তাব মানবে বলে ইঙ্গিত দেন তিনি। | 88,191 |
সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ১৫ এপ্রিল ২০১৭, ২১:৪৫ | ১৫ এপ্রিল ২০১৭, ২১:৪৬ | সিরাজগঞ্জ,দুর্ঘটনা | 0 | সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল শিশুসহ তিনজনের | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1146251 | সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার বগুড়া-সিরাজগঞ্জ আঞ্চলিক সড়কের শিয়ালকোল এলাকার শিলন্দায় বাস ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার সংঘর্ষে শিশুসহ তিনজন নিহত হয়েছে। শনিবার রাত সাড়ে আটটার দিকে এ ঘটনা ঘটে।সিরাজগঞ্জ সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রফিকুল ইসলাম জানান, সিরাজগঞ্জ শহর থেকে নলকাগামী একটি অটোরিকশা শিলন্দা পৌঁছালে পেছনদিক থেকে একটি যাত্রীবাহী বাস সেটিকে ধাক্কা দিয়ে দ্রুত চলে যায়। এতে অটোরিকশার যাত্রীরা ছিটকে রাস্তার ওপর পড়ে বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে পাঁচ মাসের একটি শিশু ও এক ব্যক্তি ঘটনাস্থলেই মারা যায়। এ সময় অপর দুই যাত্রী গুরুতর আহত হয়। পরে হাসপাতালে নেওয়ার পথে তাদের আর একজন মারা যায়। তবে নিহতদের পরিচয় পাওয়া যায়নি।এ দুর্ঘটনার পর সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। | 311,514 |
রাজশাহী প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ০৫ নভেম্বর ২০১৬, ০২:২৯ | ০৫ নভেম্বর ২০১৬, ০২:৩০ | রাজশাহী,রাজশাহী বিভাগ | null | সমাবর্তনের নিবন্ধন ফি নিয়ে আপত্তি | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1014565 | রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের দশম সমাবর্তন আগামী ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এ জন্য গত বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হয়েছে অংশগ্রহণকারীদের নিবন্ধন। সমাবর্তনে অংশগ্রহণের জন্য নিবন্ধন ফি নিয়ে আপত্তি তুলেছেন শিক্ষার্থীরা। মানবিক দিক বিবেচনা করে ফি কমানোর দাবি তাঁদের।বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ২০১১-১৪ সময়কালে পিএইচডি, এমফিল ও স্নাতকোত্তর এবং এমবিবিএস, বিডিএস ও ডিভিএম ডিগ্রি অর্জনকারীরা এ সমাবর্তনে অংশ নিতে পারবেন। ৩ নভেম্বর থেকে নিবন্ধন শুরু। দশম সমাবর্তন আগামী ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা করা হয়েছে। এ-সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে পাওয়ার কথা বলা হলেও গতকাল শুক্রবার বিকেল চারটা পর্যন্ত সেখানে কোনো তথ্য দেওয়া হয়নি। এ বছর নিবন্ধন ফি ৩ হাজার ৫৭০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।লোকপ্রশাসন বিভাগের ২০০৯-১০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী নাদিয়া সুলতানা বলেন, ‘সমাবর্তন একজন শিক্ষার্থীর জীবনে সবচেয়ে কাঙ্ক্ষিত বিষয়। সবাই চায় সমাবর্তনের মাধ্যমে শিক্ষাজীবন সমাপ্তির সনদ গ্রহণ করতে। কিন্তু এই ফির কারণে অনেকেই এবারের সমাবর্তনে অংশ নিতে পারবে না। কারণ, আমি ২০১৪ সালে মাস্টার্স শেষ করেছি; আমি জানি, আমার অনেক বন্ধু এই টাকা দিয়ে সমাবর্তনে অংশ নিতে পারবে না।’মার্কেটিং বিভাগের ২০০৮-০৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী শাওন কাইয়ুম বলেন, ‘ক্যাম্পাস জীবনে দেখেছি, একটু চাঁদা বেশি হলে অনেক বন্ধুই পিকনিকে যেতে পারত না। নানা অজুহাত দিয়ে কাটিয়ে দিত। এই সমাবর্তনেও তেমনটাই হবে। আমার বেকার বন্ধুরা এত টাকা দিয়ে সমাবর্তনে আসতে পারবে না, লজ্জায় হয়তো টাকার সমস্যার কথা বলতেও পারবে না।’জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক এন্তাজুল হক বলেন, গত বছরও একই পরিমাণ ফি ছিল। সবকিছুর দাম বাড়লেও ফি বাড়ানো হয়নি। এটা কমানোর কোনো সুযোগ নেই। তিনি আরও বলেন, ‘আমরা কাউকে জোর করছি না। কেউ না পারলে আসবে না।’ | 262,491 |
এএফপি, মার্কা, রয়টার্স | sports | খেলা | ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ০২:২৬ | ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ০২:২৬ | খেলা,আন্তর্জাতিক ফুটবল | 0 | এনরিকে তবু স্বপ্ন দেখেন | http://www.prothom-alo.com/sports/article/1082479 | বার্সেলোনা কি চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষ আটে জায়গা করে নিতে পারবে? এমন এক জরিপ চালালে ‘হ্যাঁ’ বাক্সে ভোট দেওয়ার লোক কজন পাওয়া যাবে? লুইস এনরিকে অন্তত আছেন। চারদিকে ‘গেল গেল’ রব। বার্সেলোনার বিদায়ঘণ্টা শুনতে পাচ্ছেন বেশির ভাগ মানুষ। সমর্থকেরা বিমর্ষ। চ্যাম্পিয়নস লিগের ইতিহাসে নকআউট পর্বে প্রথম লেগে ৪ বা তার চেয়ে বেশি গোলে পিছিয়ে থাকা কোনো দলের পরের রাউন্ডে যাওয়ার রেকর্ড নেই। কোচ লুইস এনরিকে তবু স্বপ্ন দেখেন—নিজেদের মাঠে ভালো কিছু উপহার দিয়ে শেষ আটে জায়গা করে নেবে বার্সেলোনা!পিএসজির কাছে ৪-০ গোলের হারে এলোমেলো হয়ে পড়েছে বার্সেলোনা। হতাশা লুকাতে পারেননি এনরিকেও। এর বহিঃপ্রকাশ তিনি করেন ম্যাচ শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই টিভি থ্রির এক সাংবাদিকের ওপর রেগে গিয়ে, ‘আপনার এই সুর আমার ভালো লাগছে না। আমরা প্রত্যেকবার জয়ের পর যে আচরণটা পাই, আজ (পরশু) হারের পরও একই আচরণ আশা করি।’ম্যাচটির পর থেকেই বার্সেলোনার হারের চুলচেরা বিশ্লেষণ চলছে চারদিকে। সাধারণ সমর্থক থেকে শুরু করে ফুটবল-পণ্ডিতদের অনেকেই দুষছেন এনরিকের কৌশলকে। ম্যাচটিতে বার্সার সেরা তারকা মেসি ছিলেন অনেকটাই নিষ্প্রভ। ইংল্যান্ডের সাবেক দুই তারকা ফুটবলার রিও ফার্ডিনান্ড আর স্টিভেন জেরার্ড মেসির এই নিষ্প্রভ হয়ে থাকাকেই হারের কারণ মনে করেন। শিষ্যদের প্রতি অভিযোগ বা অনুযোগ নেই এনরিকের। দায় নিজের কাঁধে নিয়েছেন আস্তুরিয়ান এই কোচ, ‘সহজ বিষয় নিয়ে আর সময় নষ্ট না করি—ফুটবল-রোমাঞ্চকর এক খেলা এবং এখানে জটিলতা সব সময়ই থাকে। দায় সব আমার।’বার্সেলোনা শেষ ষোলোর বাধা পেরিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে যেতে পারেনি এ ঘটনা সর্বশেষ ঘটেছে ২০০৭ সালে। সেবার লিভারপুলের কাছে হেরে শেষ ষোলো থেকে বিদায় নিয়েছিল তারা। এই পরিসংখ্যানই হয়তো স্বপ্ন দেখাচ্ছে এনরিকেকে, ‘আমাদের জন্য কাজটা এখন কঠিন। আমরা দ্বিতীয় লেগ আমাদের স্টেডিয়ামে খেলব। আর সত্যি আমাদের বীরত্বপূর্ণ ফুটবল খেলতে হবে। কিন্তু স্বপ্ন কেন দেখব না?’ফুটবলে শেষ বলে কিছু নেই। আর বার্সেলোনার আক্রমণত্রয়ী মেসি-নেইমার-সুয়ারেজ জ্বলে উঠলে কী হতে পারে, তা-ও সবার জানা। উনাই এমেরিও তাই দ্বিতীয় লেগের ম্যাচটি নিয়ে সতর্ক, ‘পরের ম্যাচটি নিয়ে আমি খুব সতর্ক। একইভাবে চেষ্টা করে যেতে হবে আমাদের।’ বার্সার মাঠ কাম্প ন্যুতে দ্বিতীয় লেগের ম্যাচটি হবে আগামী ৮ মার্চ। | 294,035 |
নিজস্ব প্রতিবেদক, চাঁপাইনবাবগঞ্জ | bangladesh | বাংলাদেশ | ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ০১:১২ | ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ০১:১৪ | চাঁপাইনবাবগঞ্জ,রাজশাহী বিভাগ,বিশাল বাংলা | 0 | দুই শিশুর খুনিদের ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1085439 | চাঁপাইনবাবগঞ্জে দুই শিশুকে হত্যার ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের ফাঁসির দাবিতে গতকাল সোমবার বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছেন এলাকাবাসী। এসব কর্মসূচিতে এলাকার কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীসহ শত শত মানুষ অংশ নেয়।১২ ফেব্রুয়ারি খেলতে গিয়ে নিখোঁজ হয় চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর এলাকার নামোশংকরবাটী ভবানীপুর-ফতেপুর মহল্লার মিলন রানার মেয়ে সুমাইয়া খাতুন (৭) এবং আবদুল মালেকের মেয়ে মেহজাবিন আক্তার (৬)। দুই দিন পর প্রতিবেশী ইয়াসিন আলীর পুত্রবধূ লাকী আক্তারের ঘর থেকে বস্তাবন্দী অবস্থায় ওই দুই শিশুর লাশ উদ্ধার হয়। এ ঘটনায় লাকী আক্তার গত বুধবার আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে স্বর্ণালংকারের জন্য শিশুদের হত্যা করার কথা স্বীকার করেন।কর্মসূচি উপলক্ষে গতকাল পৌর এলাকার রাজারামপুর হামিদুল্লাহ উচ্চবিদ্যালয় মাঠে সকাল সাড়ে ৯টা থেকে মানুষ জড়ো হতে থাকে। সকাল ১০টায় হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবি-সংবলিত ব্যানার-ফেস্টুন নিয়ে শুরু হয় বিক্ষোভ মিছিল। মিছিলটি তিন কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে এসে মানববন্ধন করে।কর্মসূচিতে নিহত সুমাইয়া খাতুন ও মেহজাবিন আক্তারের স্কুল নামোশংকরবাটী ছোটমণি বিদ্যানিকেতনসহ এলাকার বেশ কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা অংশ নেয়। বেলা পৌনে ১১টা থেকে হওয়া দেড় ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধনে বক্তব্য দেন নিহত সুমাইয়ার বাবা মিলন রানা ও মা কুলসুম বেগম, মেহজাবিনের বাবা আবদুল মালেক, পৌরসভার নারী কাউন্সিলর সিদ্দিকা সিরাজুম মনিরা, সাবেক কাউন্সিলর শরিফা খাতুন, ছোটমণি বিদ্যানিকেতনের প্রধান শিক্ষক খাইরুল ইসলাম প্রমুখ। | 295,719 |
অনলাইন ডেস্ক | sports | খেলা | ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৩, ২০:৩৫ | ০৭ অক্টোবর ২০১৮, ১১:০৬ | মাশরাফি বিন মুর্তজা,দেশের ক্রিকেট | null | ফিরছেন মাশরাফি, ২৮ সদস্যের দল ঘোষণা | http://www.prothom-alo.com/sports/article/50690 | সর্বশেষ ওয়ানডেটি খেলেছিলেন গত বছরের ডিসেম্বরে। ইনজুরির কারণে বাংলাদেশের জিম্বাবুয়ে সফরেও দলে ছিলেন না দলের প্রধান পেসার মাশরাফি বিন মুর্তজা। তবে সব ঠিক থাকলে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজটাতেই আবার দলে ফিরতে পারেন এই ডানহাতি পেসার। আজ ওয়ানডে সিরিজের জন্য ঘোষিত ২৮ সদস্যের প্রাথমিক দলে জায়গা করে নিয়েছেন মাশরাফি।দীর্ঘদিন মাঠের বাইরে কাটাতে হলেও আবার যে ফেরার জন্য প্রস্তুত হয়েছেন, ঘরোয়া ক্রিকেটে সেটার ইঙ্গিত বেশ ভালোমতোই দিয়েছেন মাশরাফি। ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশনে মোহামেডানের হয়ে তিন ম্যাচ খেলে নিয়েছেন সাতটি উইকেট। ঘরোয়া ক্রিকেটে ভালো পারফরম্যান্স দেখিয়ে প্রথমবারের মতো জাতীয় দলে ডাক পেয়েছেন আল আমিন। চার ম্যাচে ১৪টি উইকেট নিয়ে সর্বোচ্চ উইকেটশিকারির তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে আছেন আবাহনীর এই ডানহাতি পেসার।প্রাথমিক এই দল ঘোষণা ছাড়াও বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের নির্বাহী কমিটির সভায়। গ্রহণ করা হয়েছে প্রধান নির্বাচক আকরাম খানের পদত্যাগপত্র। অন্যদিকে নির্বাচক কমিটির সদস্য মিনহাজুল আবেদীন ও হাবিবুল বাশারের সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে আগামী বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজটির জন্য জাতীয় দলের ম্যানেজার হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে সাবেক অধিনায়ক নাঈমুর রহমানকে।২৮ সদস্যের প্রাথমিক দল: মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ, এনামুল হক, তামিম ইকবাল, সাকিব আল হাসান, নাসির হোসেন, মোহাম্মদ ইলিয়াস, জিয়াউর রহমান, মাশরাফি বিন মুর্তজা, জহুরুল ইসলাম, শফিউল ইসলাম, আবদুর রাজ্জাক, নাঈম ইসলাম, সোহাগ গাজী, রুবেল হোসেন, মুমিনুল হক, শামসুর রহমান, মার্শাল আইয়ুব, রবিউল ইসলাম, ফরহাদ রেজা, মেহরাব হোসেন, সাজেদুল ইসলাম, আল আমিন, এনামুল হক (জুনিয়র), সৌম্য সরকার, সাব্বির রহমান, মুক্তার আলি ও নূর হোসেন। | 19,457 |
ক্রীড়া প্রতিবেদক | sports | খেলা | ১২ মার্চ ২০১৭, ০৪:৩৩ | ১২ মার্চ ২০১৭, ০৪:৩৫ | খেলা | 0 | সেই দিল্লিতে এমন বিদায় সিদ্দিকুরের! | http://www.prothom-alo.com/sports/article/1105489 | ২০১৩ সালে দিল্লি হিরো ইন্ডিয়ান ওপেনের শিরোপা জিতেছিলেন সিদ্দিকুর রহমান। যেটি ছিল তাঁর দ্বিতীয় এশিয়ান ট্যুর জয়। অথচ এবার সেই টুর্নামেন্টেই দ্বিতীয় রাউন্ড শুরু করেন কাট মিসের শঙ্কা নিয়ে! শেষ পর্যন্ত কাট এড়াতে পারলেন না সিদ্দিকুর। দ্বিতীয় রাউন্ডের খেলা পরশু শেষ করতে পারেননি বৃষ্টি ও আলোকস্বল্পতার কারণে। মাত্র ৮ হোলের খেলা শেষ করে ফিরে যেতে হয়েছিল পরশু। কাল সকালে খেলতে শুরু করে বাকি হোলগুলোয় মোটেও ভালো করতে পারেননি। দুই রাউন্ড মিলিয়ে পারের চেয়ে ১১ শট বেশি খেলেছেন সিদ্দিকুর। ৯৮তম হয়ে ছিটকে গেছেন টুর্নামেন্ট থেকে। আর পারের চেয়ে ৬ শট কম খেলে যৌথভাবে শীর্ষে রয়েছেন স্পেনের কার্লোস পিগেম, ইংল্যান্ডের এডি পেপরেল এবং ভারতের শিবশঙ্কর প্রাসাদ চৌরাসিয়া। | 301,881 |
খেলা ডেস্ক | sports | খেলা | ২২ মার্চ ২০১৯, ১১:৫৩ | ২৩ মার্চ ২০১৯, ১৩:৫৯ | ফুটবল,ব্রাজিল,নেইমার | 0 | নেইমারের দশ নম্বর জার্সি কার গায়ে? | http://www.prothom-alo.com/sports/article/1584697 | চোটের কারণে ব্রাজিলের হয়ে দুটি প্রীতি ম্যাচ খেলতে পারবেন না ব্রাজিলের দশ নম্বর জার্সিধারী তারকা নেইমার। নেইমার যেহেতু নেই, ব্রাজিলের ঐতিহ্যবাহী দশ নম্বর জার্সিটা কে পরবেন এই দুই ম্যাচে? ব্রাজিলের কোচ তিতে পছন্দ করেছেন এসি মিলানের তরুণ মিডফিল্ডার লুকাস পাকেতাকে।যুগে যুগে কিংবদন্তি অনেক খেলোয়াড় ব্রাজিলের দশ নম্বর জার্সির জৌলুশ বাড়িয়েছেন। পেলে, রোনালদিনহো, জিকো, কাকা, রিভালদো, জাইর, রিভেলিনো, জুনিনহোর মতো তারকার পথ ধরে গত কয়েক বছর ধরে এই জার্সিটা এখন নেইমারের সম্পত্তি। কিন্তু পায়ের চোটের কারণে নেইমার এখন মাঠের বাইরে। নেইমারের অনুপস্থিতিতে ঐতিহ্যবাহী দশ নম্বর জার্সি পরার সম্মান পেতে যাচ্ছেন লুকাস পাকেতা।কিন্তু কে এই পাকেতা? ব্রাজিলিয়ান ফুটবলের অন্যতম সেরা উদীয়মান তারকা তিনি। রোমারিও, জিকো, লিওনিদাস, বেবেতো, গারসন, জাইরের মতো বিশ্ব কাঁপানো ব্রাজিল তারকারা যে ক্লাব থেকে উঠে এসেছেন, সেই ফ্ল্যামেঙ্গো থেকে উঠে এসেছেন পাকেতাও। আক্রমণাত্মক মিডফিল্ডার হিসেবে খেলা এই উদীয়মান তারকাকে এর মধ্যেই 'নতুন কাকা' হিসেবে অভিহিত করা হচ্ছে। ফলে ৩৫ মিলিয়ন ইউরোর বিনিময়ে গত জানুয়ারিতে ফ্ল্যামেঙ্গো থেকে এই তারকাকে নিয়ে এসেছে ইতালিয়ান পরাশক্তি এসি মিলান, যে এসি মিলানে থেকেই কাকা বিশ্বসেরা হয়েছিলেন। এসি মিলানে দুর্দান্ত খেলার সুবাদে ব্রাজিল দলেও ডাক পাচ্ছেন এখন। সেই পাকেতার গায়েই এবার দশ নম্বর জার্সি চাপাচ্ছেন কোচ তিতে।সামনের জুনে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া কোপা আমেরিকার প্রস্তুতি হিসেবে পানামা ও চেক প্রজাতন্ত্রের বিপক্ষে এই সপ্তাহে দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলছে ব্রাজিল। নেইমারের অনুপস্থিতিতে এই দুই ম্যাচের জন্য দশ নম্বর জার্সি পরার অধিকার পেলেন পাকেতা।এত বড় দায়িত্ব চেপেছে কাঁধে, পাকেতা নিজে কি ভাবছেন এই জার্সি পরা নিয়ে? 'দশ নম্বর জার্সি পরতে পারাটা আমার কাছে অনেক বড় ব্যাপার। তবে আমি আমার দায়িত্ব সম্পর্কে জানি। রোনালদিনহো, পেলে, জিকোর মতো খেলোয়াড়েরা এই জার্সি পরেছেন। সেই জার্সির দায়িত্ব এখন আমার কাঁধে দেওয়া হয়েছে। আশা করি, আমি আমার ওপর রাখা প্রত্যাশা অনুযায়ী খেলতে পারব। দশ নম্বর জার্সির একটা আলাদা ওজন আছে। কিন্তু ভুলে যাওয়া চলবে না, ব্রাজিলের জার্সিরই একটা আলাদা ওজন আছে। পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন এই জার্সি। নম্বর সেখানে কোনো ব্যাপার না।' | 394,812 |
অনলাইন ডেস্ক | education | শিক্ষা | ২৭ জুন ২০১৯, ১৩:১৫ | ২৭ জুন ২০১৯, ১৩:১৭ | শিক্ষা | 0 | ঢাকায় ইন্টারন্যাশনাল এডুকেশন এক্সিবিশন অনুষ্ঠিত | http://www.prothom-alo.com/education/article/1601372 | ঢাকার গুলশানের ওয়েস্টিন হোটেলের বল রুমে গত ২১ জুন এইচ অ্যান্ড আই কাউন্সিলের আয়োজনে ইন্টারন্যাশনাল এডুকেশন এক্সিবিশন-২০১৯ অনুষ্ঠিত হয়।এই শিক্ষামেলায় অংশ নেয় ৬টি দেশের স্বনামধন্য ১২টি কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি। বিপুলসংখ্যক ছাত্রছাত্রী ও অভিভাবকের উপস্থিতিতে মেলা জমে উঠেছিল। বিভিন্ন দেশের শিক্ষাব্যবস্থা ও কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে এই মেলা থেকে সহজেই তথ্য পান অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা।মেলায় এসে যে সব শিক্ষার্থী আবেদন করেন, তাঁদের জন্য আয়োজক সংস্থার পক্ষ থেকে বিমান টিকিট ও স্কলারশিপের ব্যবস্থা করা হয়। আগ্রহী শিক্ষার্থীরা বিস্তারিত তথ্যের জন্য ঢাকা ও চট্টগ্রামে এইচ অ্যান্ড আই কাউন্সিলের অফিসে যোগাযোগ করতে পারেন। তাঁরা বিনা মূল্যে প্রয়োজনীয় তথ্য পাবেন। | 407,719 |
নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম | bangladesh | বাংলাদেশ | ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৫, ০২:২৩ | ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৫, ০২:২৪ | চট্টগ্রাম,চট্টগ্রাম বিভাগ,মহানগর,অপরাধ | 0 | চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের সামনে ককটেলের বিস্ফোরণ | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/444598 | টানা অবরোধ ও হরতালে গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে ষোলশহর এলাকায় চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের সামনে দুটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এর আগে সকালে ষোলশহরে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস কার্যালয়ের গাড়ি পার্কিং করার জায়গা থেকে দুটি তাজা ককটেল উদ্ধার করে পুলিশ। অন্য দিনের মতো গতকালও দিনের বিভিন্ন সময় জিইসি, বাদামতলী, আন্দরকিল্লাহসহ বিভিন্ন এলাকায় যানজট দেখা গেছে। বেশ কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ক্লাস হয়েছে। স্বাভাবিক ছিল ট্রেন চলাচল। মহাসড়কে গাড়ির সংখ্যা আগের চেয়ে বেড়েছে বলে পরিবহনশ্রমিকেরা জানিয়েছেন।চট্টগ্রাম বন্দরে পুরোদমে পণ্য ওঠানো-নামানো হয়েছে। বন্দর সূত্র জানায়, গত বুধবার সকাল সাতটা থেকে গতকাল সকাল আটটা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ২ হাজার ৪১৮টি কনটেইনার খালাস করেছে আমদানিকারকেরা। সাড়ে তিন হাজারের বেশি ট্রাকে করে এসব মাল ঢাকাসহ বিভিন্ন গন্তব্যে পাঠানো হয়।চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার বনজ কুমার মজুমদার প্রথম আলোকে বলেন, ষোলশহরে শিক্ষা বোর্ডে ককটেল ফাটানো এবং বিমান কার্যালয়ের গাড়ি পার্কিংয়ের জায়গা থেকে দুটি ককটেল উদ্ধার করা হয়েছে। এর বাইরে অন্য কোথাও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। | 113,025 |
নিজস্ব প্রতিবেদক | bangladesh | বাংলাদেশ | ০১ সেপ্টেম্বর ২০১৫, ১৪:১৫ | ০১ সেপ্টেম্বর ২০১৫, ১৫:৫০ | আইন ও বিচার | null | ব্লগার ওয়াশিকুর হত্যায় অভিযোগপত্র | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/619132 | ব্লগার ওয়াশিকুর রহমান ওরফে বাবু হত্যা মামলায় নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের পাঁচ সদস্যকে অভিযুক্ত করে আজ মঙ্গলবার আদালতে অভিযোগপত্র দিয়েছে ঢাকা মহানগর (ডিএমপি) গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।ডিএমপির মুখপাত্র ও যুগ্ম কমিশনার মনিরুল ইসলাম আজ এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান। রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে কথা বলেন তিনি।ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে এই অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছে বলে আদালত সূত্র জানিয়েছে।যুগ্ম কমিশনার মনিরুল ইসলাম বলেন, অভিযোগপত্রভুক্ত পাঁচ আসামি হলেন জিকরুল্লাহ, আরিফুল ইসলাম, সাইফুল ইসলাম, জুনায়েদ ওরফে তাহের ও হাসিব আবদুল্লাহ। এঁদের মধ্যে জিকরুল্লাহ, আরিফুল ও সাইফুল কারাগারে আছেন। এতে জুনায়েদ ও হাসিবকে পলাতক দেখানো হয়েছে।ডিএমপির মুখপাত্রের ভাষ্য, ওয়াশিকুর হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী হাসিব। গ্রেপ্তার হওয়া তিনজন হত্যার কথা স্বীকার করেছেন। লেখালেখির কারণেই তাঁরা ওয়াশিকুরকে হত্যা করেছেন। পলাতক দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করতে চেষ্টা চলছে।চলতি বছরের ৩০ মার্চ সকালে রাজধানীর তেজগাঁওয়ের দক্ষিণ বেগুনবাড়ীতে প্রকাশ্যে ওয়াশিকুরকে হত্যা করা হয়। ঘটনার পর পালানোর সময় ধরা পড়েন জিকরুল্লাহ ও আরিফুল।ওয়াশিকুর হত্যার পরদিন ৩১ মার্চ তাঁর ভগ্নিপতি মনির হোসেন বাদী হয়ে জিকরুল্লাহ ও আরিফুলসহ চারজনের নাম উল্লেখ করে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানায় মামলা করেন। পরে মামলার তদন্তভার ডিবিকে দেওয়া হয়।মামলার তদন্ত তদারক কর্মকর্তা ডিবির অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম সম্প্রতি প্রথম আলোকে বলেছিলেন, ওয়াশিকুর হত্যাকাণ্ডে আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের পাঁচ সদস্যের জড়িত থাকার প্রমাণ মিলেছে। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী দুজন হিজড়াসহ অন্তত ১০ জনকে এই মামলায় সাক্ষী করা হচ্ছে।মামলার তদন্তসংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, আগে গ্রেপ্তার হওয়া সাইফুল এই হত্যা মামলায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। তাঁর জবানবন্দি ও তদন্তে বেরিয়ে এসেছে, হাসিব ও সাইফুলের পরিকল্পনা এবং নির্দেশনায় জিকরুল্লাহ, আরিফুল ও জুনায়েদ সরাসরি হত্যায় অংশ নেন। এর মধ্যে জিকরুল্লাহ ও আরিফুল ধরা পড়েন। তাঁরা মাদ্রাসার ছাত্র। আর জুনায়েদ পালিয়ে যান। পুলিশের তদন্তে জানা যায়, জুনায়েদ রাজধানীর একটি মাদ্রাসার ছাত্র। তাঁর বাড়ি হবিগঞ্জে।গ্রেপ্তারের পর জিকরুল্লাহ ও আরিফুল পুলিশকে বলেছিলেন, মাসুম নামের এক বড় ভাই হত্যার আগের দিন তাঁদের নিয়ে হাতিরঝিলে বৈঠক করেন। পরে তদন্তে বেরিয়ে আসে, মাসুমের প্রকৃত নাম হাসিব।জিকরুল্লাহ ও আরিফুল রিমান্ডে ডিবিকে বলেছিলেন, সাইফুল বেগুনবাড়িতে ওয়াশিকুরের বাসার পাশে তাঁদের জন্য ঘর ভাড়া করে দিয়েছিলেন। এর আগে যাত্রাবাড়ী এলাকায় তাঁরা ভাড়া বাসায় থাকতেন।ওয়াশিকুর হত্যার পাঁচ দিন আগেই ধারালো অস্ত্রসহ যাত্রাবাড়ী এলাকা থেকে গ্রেপ্তার হন সাইফুল। পরে হত্যা পরিকল্পনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে এ মামলায় সাইফুলকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।তদন্ত তদারক কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের এডিসি সাইফুল ইসলাম প্রথম আলোকে জানিয়েছিলেন, ওয়াশিকুর হত্যাকাণ্ডে আরও চার-পাঁচজনের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে। পরে নাম-পরিচয় পাওয়া গেলে তাঁদের বিরুদ্ধে সম্পূরক অভিযোগপত্র দেওয়া হবে।ওয়াশিকুর (২৭) তেজগাঁও কলেজ থেকে লেখাপড়া শেষ করে মতিঝিলে একটি ট্রাভেল এজেন্সিতে শিক্ষানবিশ কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করতেন। একটি ব্লগে ‘বোকা মানব’ নামে কিছুদিন লিখলেও তিনি মূলত ফেসবুকে কয়েকটি নামে নানা ধরনের লেখা প্রকাশ করতেন।আরও পড়ুন:আবার ব্লগার হত্যাব্লগার ওয়াশিকুর হত্যায় অভিযোগপত্র দিচ্ছে ডিবি | 164,784 |
-1 | opinion | মতামত | ২৯ জানুয়ারি ২০১৫, ০০:০৬ | ২৯ জানুয়ারি ২০১৫, ০০:০৬ | চিঠিপত্র,মতামত | 0 | মধ্যরাতের অশ্বারোহী | http://www.prothom-alo.com/opinion/article/436759 | ধারণা করি, জাতি আজ শ্রদ্ধেয় ব্যারিস্টার ইশতিয়াক, অ্যাডভোকেট শামসুল হক চৌধুরী ও কবি-সাংবাদিক ফয়েজ আহমেদের খুব অভাববোধ করছে। স্বৈরাচার এরশাদবিরোধী গণতান্ত্রিক আন্দোলনে দুই নেত্রীকে তাঁরাই একসঙ্গে রাজপথে হাঁটাতে পেরেছিলেন। বিনিময়ে আমাদের অনেক ত্যাগের ও সাধের গণতন্ত্র ফিরে এসেছিল। মধ্যরাতের অশ্বারোহী ফয়েজ আহমেদ আর নেই। দুই নেত্রীও এক মেরুতে নেই। তাঁদের অবস্থান বিপরীতমুখী। প্রতিনিয়তই দুজন দুজনকে পরাজিত করার খেলায় মত্ত। একজন অপরজনকে অবরোধ করেন। অপরজন পুরো দেশ অবরুদ্ধ করেন। এ যেন শিল-পাটার ঘষাঘষি, যাতে জনগণ নামের মরিচের প্রাণ যায়।আমরা সুখী-সমৃদ্ধ, উন্নত সত্যিকারের শক্তিশালী গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ দেখতে চাই। সে জন্য দরকার অহিংসা, সমঝোতা, সহযোগিতা, সহমর্মিতা। কিন্তু বেদনাদায়ক সত্য, বাংলাদেশের রাজনীতি থেকে এসব নির্বাসনে গেছে। বিশেষ করে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের পর থেকে তা মহা সমস্যার রূপ নিয়েছে।বাংলাদেশের মানুষ ৪৩ বছর ধরে স্বপ্ন দেখছে আর দুঃস্বপ্নে ঘুম ভাঙছে। স্বপ্ন বাস্তবে রূপান্তরিত করার জন্য চাই রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সংলাপ, সমঝোতা ও সহযোগিতা। বিশেষ করে, বড় দুই দল ও দুই নেত্রীর মধ্যে। কেউ কি মধ্যরাতের অশ্বারোহী হবেন?আরেফিন সুমন, ঢাকা। | 110,973 |
নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম | bangladesh | বাংলাদেশ | ০৬ জানুয়ারি ২০১৭, ০১:০১ | ০৬ জানুয়ারি ২০১৭, ০১:০১ | চট্টগ্রাম,চট্টগ্রাম বিভাগ,মহানগর,রাজনীতি | 0 | ‘কর্মীরা একটু দেরিতে ঘুম থেকে ওঠেন’ | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1053727 | দলকে শক্তিশালী, গতিশীল ও ঐক্যবদ্ধ করার কথা সবাই কেবল মুখেই বলেন। অনেকেই পদে থাকলেও দায়িত্ব পালন করেন না, সভা-সমাবেশেও আসেন না। তাঁদের চিহ্নিত করে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হবে। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তিন বছর পূর্তি উপলক্ষে গতকাল বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামে ‘স্বাধীনতা, গণতন্ত্র ও সংবিধান রক্ষায়’ আয়োজিত সমাবেশে নগর আওয়ামী লীগের নেতারা এসব কথা বলেন।গতকাল বেলা সাড়ে ১১টায় চট্টগ্রামের শহীদ মিনারের সামনে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন নগর কমিটির সভাপতি এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী। সমাবেশে নেতা-কর্মীদের কম উপস্থিতি দেখে তিনি বলেন, ‘আমাদের কর্মীরা একটু দেরিতে ঘুম থেকে ওঠেন। তবু অনেকে এসেছেন। তাঁদের ধন্যবাদ।’বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে ১০ জানুয়ারি নগরের লালদীঘি ময়দানে সমাবেশ হবে বলে জানান মহিউদ্দিন চৌধুরী। সেখানে অবশ্যই কর্মীদের নিয়ে ওয়ার্ড নেতাদের অংশ নিতে নির্দেশ দেন তিনি। তিনি বলেন, ‘আমি আসলাম। মিটিংয়ের সামনে বসে বসে পা নাড়ালাম, তা হবে না। অনেক সহ্য করেছি। আর তো পারি না।’সমাবেশে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, ‘স্বাধীনতার সুফল সবার ঘরে ঘরে পৌঁছে দেওয়ার জন্য সংগঠনকে ঐক্যবদ্ধ, গতিশীল ও শক্তিশালী করার কথা সবাই মুখে বলেন। কিন্তু এর জন্য কাজের কাজ করা যেটি প্রয়োজন, সেটি করতে পারি নাই।’ তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘অনেকে পদ নিয়ে বসে আছেন, কিন্তু দায়িত্ব পালন করেন না। সভা-সমাবেশে আসেন না। আমাদেরও পদ আছে, দায়িত্ব আছে। কিন্তু তারপরও প্রতিটি সভা-সমাবেশে অংশ নিচ্ছি। পদ অলংকৃত করবেন। দলের সব সুযোগ-সুবিধা ভোগ করবেন। সংগঠনের কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করবেন না। এটি তো হতে পারে না। এটি সংগঠনের সঙ্গে প্রতারণার শামিল। নগর থেকে তৃণমূলে থানা-ওয়ার্ড পর্যায়ে এমন লোক আছেন। পদের প্রতি সুবিচার করুন। অন্যথায় সসম্মানে অব্যাহতি নিন।’নিষ্ক্রিয় নেতাদের চিহ্নিত করা হচ্ছে বলে জানিয়ে মেয়র নাছির বলেন, ‘কিছুদিনের মধ্যে কার্যকর কমিটির সভা ডাকব। যাঁরা পদ নিয়ে দায়িত্ব পালন করেননি, তাঁদের চিহ্নিত করব। পদ থেকে বঞ্চিত করব। যাঁরা সংগঠনের জন্য সময় দেন, ত্যাগী; তাঁদের মূল্যায়ন করা হবে।’নগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি খোরশেদ আলম সুজন বলেন, ‘দলে কিছু রাজনৈতিক নেতা আছেন, যাঁরা নিজের দল বাদ দিয়ে বিএনপি-জামায়াত যেদিকে আছে সেদিকে উঁকি মারেন। অন্য দলকে নয়, নিজের দলকে ভালোবাসুন।’সমাবেশে উপস্থিত থাকা সংরক্ষিত নারী আসনের সাংসদ সাবিহা মুছাকে ধন্যবাদ দিয়ে খোরশেদ আলম বলেন, ‘৫ জানুয়ারি অনেকেই রক্ত দিয়ে অনেককে এমপি বানিয়েছেন। কিন্তু আজকের সমাবেশে একজন এমপির উপস্থিতি পেয়েছি। তাঁকে ধন্যবাদ।’সমাবেশে বক্তারা বলেন, বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি নির্বাচনে না এসে দেশে অসাংবিধানিক সরকার নিয়ে আসতে চেয়েছিল। তারা দেশকে অকার্যকর করতে চেয়েছিল।নগর আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক শফিকুল ইসলামের পরিচালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন নগর কমিটির সহসভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী, কোষাধ্যক্ষ ও সিডিএ চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম, সাংগঠনিক সম্পাদক শফিক আদনান, উপপ্রচার সম্পাদক শহীদুল আলম, সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর সলিমুল্লাহ বাচ্চু প্রমুখ। | 280,742 |
অনলাইন ডেস্ক | international | আন্তর্জাতিক | ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৪, ২১:৪৩ | ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৪, ২১:৪৬ | এশিয়া | null | সোনার সিংহাসন ও ভদকার বোতল | http://www.prothom-alo.com/international/article/156517 | আফগানিস্তানের আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে সামনে রেখে জমে উঠেছে রাজনীতির মাঠ। পিছিয়ে নেই ইন্টারনেটের সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোও। প্রযুক্তিকে ব্যবহার করে এ মাধ্যমগুলোকে রীতিমতো যুদ্ধের ময়দানে পরিণত করা হয়েছে।এসব যোগাযোগ মাধ্যমে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের সমর্থকেরা একে-অপরকে বাক্যবাণে জর্জরিত করেই ক্ষান্ত হচ্ছেন না, বরং নানা ধরনের ছবি আপলোড করেও বিতর্ক সৃষ্টির চেষ্টা করছেন। আজ বুধবার বিবিসির ম্যাগাজিনে এ বিষয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।আফগানিস্তানের আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অন্যতম পদপ্রার্থী হলেন দেশটির পূর্বাঞ্চলীয় নানগরহর প্রদেশের গভর্নর গুল আঘা শেরজাই। নগর পুনর্গঠনের মহা প্রকল্প হাতে নেওয়ার সুবাদে ইতিমধ্যেই লোকজন আদর করে তাঁর নাম দিয়েছে ‘বুলডোজার’। যেসব ভোটার লিখতে বা পড়তে পারেন না, তাঁরা যাতে ব্যালট পেপার হাতে নিয়ে সহজেই তাঁর মার্কা শনাক্ত করতে পারেন, সেজন্য তিনি তাঁর নির্বাচনী প্রতীকও নিয়েছেন ‘বুলডোজার’।গত জানুয়ারি মাসে ফেসবুকের মাধ্যমে শেরজাইয়ের একটি ছবি প্রচার করা হয়। ছবিটি তাঁর নির্বাচনী প্রচার শুরুর অনুষ্ঠানের একটি ছবি। ছবিতে দেখা যায়, গুল আঘা শেরজাই একটি সোনার সিংহাসনে বসে আছেন। পাশে ছোট আরেকটি রুপার চেয়ারে বসে আছেন এক ভাইস প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী।এক ফেসবুক ব্যবহারকারী মন্তব্য করেছেন, ‘ছবিটি দেখে মনে হচ্ছে যেন কোনো রাজনৈতিক সমাবেশ নয় বরং বিয়ে বাড়ির অনুষ্ঠান চলছে।’আরও একটি ছবি সম্প্রতি ফেসবুকে সমালোচনার ঝড় তুলেছে। সেটি হলো সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও ২০০৯ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট কারজাইয়ের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আবদুল্লাহ আবদুল্লাহর একটি ছবি। ছবিটিতে দেখা যায়, চেয়ারে বসে এক সহকর্মীর সঙ্গে খোশগল্পে মেতে আছেন তিনি। ছবিটিকে প্রথম দর্শনে একটি সাদামাটা ছবি বলেই মনে হবে। তবে একটু খেয়াল করলে দেখা যাবে, তাঁদের মাঝখানে যে টেবিলটি রয়েছে তাতে বেশ বড়োসড়ো সাইজের দুটো ভদকার বোতল রাখা। তবে এটি ফটোশপ প্রযুক্তির মাধ্যমে করা হয়েছে।সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ ধরনের আক্রমণের হাত থেকে রেহাই পাননি সাবেক অর্থমন্ত্রী আশরাফ ঘানি আহমাদজাই। ফেসবুকে দেওয়া একটি ছবিতে দেখা যায়, তিনি মক্কায় পবিত্র কাবা শরিফের দিকে পশ্চািদক দিয়ে দাঁড়িয়ে প্রার্থনা করছেন।এ তো গেল ছবিবিষয়ক বিতর্ক। প্রতিদ্বন্দ্বীকে ধরাশায়ী করতে ফেসবুকের আরও বহুমুখী ব্যবহার করছেন প্রতিপক্ষের লোকজন।প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী আবদুল্লাহর নির্বাচনী স্লোগান হলো, ‘পুরুষেরা তাঁদের প্রতিশ্রুতি রক্ষা করে।’ (Men keep their promises) সমালোচকদের দাবি, এ স্লোগান নারী জাতির প্রতি অবমাননাকর।সমালোচনার আগে এই স্লোগান লেখা পোস্টারে ছেয়ে গিয়েছিল কাবুলসহ অন্যান্য শহরের দেয়ালগুলো। তবে এই সমালোচনা ওঠার পরপরই সেগুলো গায়েব হয়ে যায়।এ ছাড়া পোস্টার কিংবা সমাবেশের বক্তৃতার ভাষার বানান ভুল নিয়েও নানা ধরনের হাস্যরসের সৃষ্টি করা হচ্ছে। তবে ফেসবুকের একটি বার্তায় এক ব্যক্তি আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, নিজের প্রচার চালানোর জন্য প্রতিপক্ষকে খাটো করা ঠিক কাজ নয়। | 54,171 |
-1 | bangladesh | বাংলাদেশ | ১১ মে ২০১৭, ০০:৪০ | ১১ মে ২০১৭, ০০:৪৪ | ভাষা প্রতিযোগ | 0 | উৎসবের নানা রং | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1176396 | মা তোমাকে খুব ভালোবাসিচট্টগ্রাম অঞ্চলের ভাষা প্রতিযোগের একটি বিশেষ আকর্ষণ ছিল শিক্ষার্থীদের অনুভূতি লেখার ক্যানভাস। ‘অনুভূতি লেখো মায়ের ভাষায়’ শিরোনামের ক্যানভাসে উৎসবের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত নিজেদের অভিজ্ঞতা ও অনুভূতির কথা লিখেছে শিক্ষার্থীরা। এই ক্যানভাসে ফুটে ওঠে ভাষা প্রতিযোগসহ নানা ধরনের বিষয় নিয়ে শিক্ষার্থীদের অনুভূতি। তবে উৎসবের শেষ সময় পর্যন্ত চোখে পড়েছে ক্যানভাসে বেশ বড় করে লেখা একটি বাক্য। ‘মা তোমাকে খুব ভালোবাসি’ বাক্যটি লিখে কোনো এক শিক্ষার্থী ঠিকই বুঝিয়ে দিয়েছে মা, মাটি ও মাতৃভূমির প্রতি তার ভালোবাসা ও মমত্ববোধের কথা।নাছোড়বান্দামালিহা তারান্নুম আশকা ২২ মার্চ বিকেলে প্রাইভেট পড়া শেষ করে বন্ধুদের নিয়ে প্রথম আলোর অফিসে যায় নিবন্ধন করার জন্য। অফিসে গিয়ে জানতে পারে, নিম্নমাধ্যমিক ক্যাটাগরির নিবন্ধনের নির্দিষ্ট কোটা শেষ। মন খারাপ করে বাসায় ফিরে তার আব্বুকে বিষয়টি জানায়। মেয়ের আগ্রহ দেখে তিনি বন্ধুসভার সাধারণ সম্পাদক ও প্রথম আলোর জেলা প্রতিনিধির সঙ্গে যোগাযোগ করলে তাঁরাও তাকে না করে দেন। সব শুনে মালিহার মন খারাপ হয়ে যায়, তার ভাবনায় শুধু ভাষা প্রতিযোগে অংশগ্রহণ করা। ৩১ মার্চ সকাল ৮টার দিকে বাবাকে নিয়ে ফেনী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ে হাজির মালিহা। দেখা করেন প্রথম আলোর প্রতিনিধির সঙ্গে। তিনি মালিহার এত আগ্রহ দেখে অতিরিক্ত একটি পরীক্ষার হলে ভাষা প্রতিযোগে অংশগ্রহণের সুযোগ করে দেন।ভাষা প্রতিযোগের আঞ্চলিক উৎসবে সাধারণত জাতীয় সংগীত পরিবেশন করেন স্থানীয় বন্ধুসভার শিল্পীরা অথবা স্থানীয় কোনো শিল্পীগোষ্ঠী। কিন্তু এই দৃশ্য একটু ভিন্ন। ফেনীতে যারা জাতীয় সংগীত গাইল, তারা ফেনী সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। এই স্কুলেই হয়েছে অনুষ্ঠান। | 316,835 |
মিজানুর রহমান খান, ঢাকা | bangladesh | বাংলাদেশ | ২০ নভেম্বর ২০১৮, ১১:৫৫ | ২৫ নভেম্বর ২০১৮, ১২:০৮ | নির্বাচন,একাদশ সংসদ নির্বাচন,নির্বাচন কমিশন | null | ঘটনা ঘটলেও তদন্ত কমিটি করেনি ইসি | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1565963 | নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠলেও এখনো নির্বাচনী তদন্ত কমিটি গঠিত হয়নি। গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) অনুযায়ী, নির্বাচনী অনিয়ম ও আচরণবিধি লঙ্ঘনের ঘটনা তদন্তে যুগ্ম জেলা জজ ও সহকারী জজের সমন্বয়ে কমিটি গঠন করতে হবে।নির্বাচনী আইনে আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে অনধিক ছয় মাসের কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানার বিধান আছে। রাজনৈতিক দলগুলো গত কয়েক দিনে পরস্পরের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনলেও কোনো ঘটনারই তদন্ত হতে পারছে না। এ বিষয়ে জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলাম ও কবিতা খানম প্রথম আলোকে বলেন, এখনো তদন্ত কমিটির কাজ শুরু না হলেও আইনের লঙ্ঘন ঘটছে, তা বলা যায় না। এ কমিটি শিগগিরই কাজ শুরু করবে।খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নির্বাচন কমিশন ১৪ নভেম্বর ৩০০ আসনের জন্য ১২২টি বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠনের প্রস্তাব আইন ও বিচার মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে। এর অনুলিপি দেওয়া হয়েছে সুপ্রিম কোর্টকেও। নিম্ন ‘দেওয়ানি আদালতসমূহে ২০১৮ সালের ডিসেম্বরের ছুটি হওয়ার পূর্বে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের সাথে পরামর্শক্রমে’ কমিটি গঠনের কথা ইসির চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে।সুপ্রিম কোর্টের মুখপাত্র সাইফুর রাহমান প্রথম আলোকে বলেন, ছুটি শুরু হবে ১ ডিসেম্বর। ওই চিঠিতে জরুরি ভিত্তিতে কমিটি গঠনের তাগিদ দেওয়ার পাশাপাশি কেন ছুটি শুরু হওয়ার আগে এবং হাইকোর্ট বিভাগের সঙ্গে কেন পরামর্শ করার কথা নির্দিষ্ট করেছে তার সদুত্তর কর্মকর্তাদের কাছে জানতে চাইলেও পাওয়া যায়নি।১৪ নভেম্বরের চিঠিতে বলা হয়, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের ৯১ ক–এর বিধান অনুযায়ী, ‘নির্বাচনকালীন সময়ে নির্বাচনপূর্ব অনিয়ম প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণের’ লক্ষ্যে বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে নির্বাচনী তদন্ত কমিটি গঠন করার বিধান রয়েছে।আচরণবিধির ছয় দফায় ‘নির্বাচনপূর্ব সময়’–এর সংজ্ঞায় বলা হয়েছে, নির্বাচনপূর্ব সময় অর্থ জাতীয় সংসদের সাধারণ নির্বাচন কিংবা কোনো শূন্য আসনে নির্বাচনের ক্ষেত্রে কমিশন কর্তৃক নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার দিন থেকে নির্বাচনের ফলাফল সরকারি গেজেটে প্রকাশের তারিখ পর্যন্ত সময়কাল।অন্যদিকে একই বিধিমালার ১৭ বিধিতে ‘নির্বাচনপূর্ব অনিয়মের’ ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে, আচরণ বিধিমালার যেকোনো বিধানের লঙ্ঘন ‘নির্বাচনপূর্ব অনিয়ম’ হিসেবে গণ্য হবে এবং ওই অনিয়মের দ্বারা সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি বা নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল প্রতিকার চেয়ে নির্বাচনী তদন্ত কমিটি বা কমিশন বরাবর দরখাস্ত পেশ করতে পারবে।এক প্রশ্নের জবাবে রফিকুল ইসলাম বলেন, বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি কোনো ক্ষেত্রেই নিজেরা বিচার বা শাস্তি দিতে পারবে না। তারা কমিশনের কাছে সুপারিশ করবে। এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিব হেলালুদ্দীন বলেন, আচরণবিধির লঙ্ঘন বিচার বিভাগীয় কমিটি দেখবে না, দেখবেন নির্বাহী হাকিমেরা এবং সেটা তাঁরা দেখছেন। তবে তাঁর সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেছেন দুই নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলাম ও কবিতা খানম। তাঁরা বলেন, আচরণবিধির লঙ্ঘন দেখার দায়িত্ব বিচার বিভাগীয় নির্বাচনী তদন্ত কমিটির। আবার নির্বাহী হাকিমেরাও তা দেখতে পারবেন।অপর এক প্রশ্নের জবাবে দুই নির্বাচন কমিশনার ও ইসি সচিব বলেন, মনোনয়ন কেনা নিয়ে শোডাউন বা অন্যবিধ যা ঘটেছে, তা আচরণবিধির আওতায় তদন্তযোগ্য নয়। কারণ, আচরণবিধিতে মননোয়নপত্র সংগ্রহের বিষয়ে কিছু বলা নেই। প্রার্থীদের বিষয়ে বলা আছে।এ বিষয়ে জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশনের সাবেক অতিরিক্ত সচিব জেসমিন টুলি প্রথম আলোকে বলেছেন, এটা ঠিক যে আচরণবিধিতে ফরম কেনার বিষয়টি নেই। কিন্তু আচরণবিধির শিরোনামে শুধু প্রার্থীর বিষয়ে নয়, রাজনৈতিক দলের কথাও বলা আছে। সুতরাং ফরম সংগ্রহ পর্বটি রাজনৈতিক দলের আচরণের মধ্যে পড়ে।তদন্ত কমিটি প্রসঙ্গে জেসমিন টুলি বলেন, কমিটি কবে কাজ শুরু করবে, আইনে তা নির্দিষ্ট না থাকলেও কমিটির কাজ এখনো শুরু না হওয়ায় আইনের ‘পরোক্ষ লঙ্ঘন’ ঘটছে। তিনি ব্যাখ্যা দেন যে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হওয়ার কারণে এই কমিটির কার্যক্রম আগে ততটা প্রাধান্য পায়নি। এবারের পরিস্থিতির কারণে একটা ভিন্নমাত্রা তৈরি হয়েছে। | 383,025 |
নিজস্ব প্রতিবেদক | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৯ মার্চ ২০১৫, ০১:২৪ | ২৯ মার্চ ২০১৫, ০১:২৭ | মহানগর,খুলনা,খুলনা বিভাগ | 0 | ৬০ ভাগ নলকূপে পানি না পাওয়ার শঙ্কা | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/489064 | গ্রীষ্মকাল না আসতেই খুলনা মহানগরের গুরুত্বপূর্ণ অনেক এলাকার ভূ-গর্ভস্থ পানির স্তর আশঙ্কাজনক হারে কমতে শুরু করেছে। এতে গ্রীষ্মকালে নগরের ৬০ ভাগ নলকূপে পানি না পাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। অনেক এলাকার মানুষ এখনই পানির অভাবে দুর্ভোগে পড়েছে।খুলনা ওয়াসা সূত্রে জানা যায়, নগরের ১৫ লাখ মানুষের প্রতিদিনের পানির চাহিদা ২৪ কোটি লিটার। এর পুরোটাই ভূ-গর্ভ থেকে উত্তোলন করা হয়। এর মধ্যে ওয়াসা ৮৩টি উৎপাদক নলকূপের মাধ্যমে প্রতিদিন ১০ কোটি লিটার পানি সরবরাহ করে। বাকিটা নগরবাসী হস্তচালিত নলকূপ ও নলকূপে পাম্প লাগিয়ে নিজস্ব পদ্ধতিতে উত্তোলন করে।চলতি মৌসুমে ওয়াসা পরিচালিত গত কয়েক মাসের জরিপ বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, গত বছরের আগস্ট মাসে নগরে পানির গড় স্তর ছিল ১৬ থেকে ১৯ ফুটের মধ্যে। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে তা নেমে ১৯ থেকে ২৪ ফুটে দাঁড়ায়। আর মার্চের মাঝামাঝিতে তা কোথাও কোথাও ২৭ থেকে ২৮ ফুটে নেমেছে। ওয়াসার প্রকৌশলীরা বলছেন, এর মধ্যে বৃষ্টি না হলে আগামী এপ্রিলে কোথাও কোথাও পানির স্তর ৩০ ফুটের নিচে নেমে যেতে পারে।পানির স্তর পরিমাপের জন্য ওয়াসার নিয়মিত জরিপ এলাকা ৭০টি। এর মধ্যে মার্চের মাঝামাঝি সময়ে পরিচালিত জরিপের ফলাফল বলছে, নগরের পিটিআই মোড়, নিরালা শিশুপার্ক, সোনাডাঙা ট্রাক টার্মিনাল, খালিশপুর ও মুজগুন্নী এলাকায় পানির স্তর গড়ে ২৫ ফুটে নেমে এসেছে। ২০ থেকে ২৪ ফুটের মধ্যে রয়েছে এমন এলাকার সংখ্যা ২০টিরও বেশি।এ বিষয়ে খুলনা ওয়াসার উপব্যবস্থাপনা পরিচালক এম ডি কামালউদ্দিন বলেন, সাধারণত পানির স্তর ২৬ ফুটের নিচে নামলে হস্তচালিত নলকূপ থেকে পানি ওঠে না। আর যদি তা ৩০ ফুটের নিচে নেমে যায়, তাহলে বাসা-বাড়িতে মোটর দিয়ে পানি ওঠানোও অসম্ভব হয়ে পড়ে। তাঁর আশঙ্কা, বৃষ্টি না হলে এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে নগরের ৬০ ভাগ হস্তচালিত নলকূপ অকার্যকর হয়ে পড়বে। গত বছর এ সময়টায় বৃষ্টি না হওয়ায় নগরের ২৭টি এলাকায় পানির স্তর স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক নিচে ছিল।নগরের শেখপাড়া এলাকার কয়েকজন বাসিন্দা জানান, মোটর দিয়ে এখনই তাঁরা পানি বেশি পাচ্ছেন না। পানি আসার গতিও ধীর। সোনাডাঙ্গা বাস টার্মিনাল এলাকায় গিয়ে জানা যায়, কিছু কিছু হস্তচালিত নলকূপ দিয়ে পানি আসছে না।আসন্ন এই সংকট মোকাবিলায় স্বাভাবিকের চেয়ে অতিরিক্ত সময় পাম্প চালানো, ওয়াসার নিজস্ব ১০ হাজার হস্তচালিত নলকূপ মেরামত ও নতুন যন্ত্রপাতি সংযোজনসহ অধিক ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলো চিহ্নিত করে সেখানে নতুন উৎপাদক নলকূপ স্থাপনের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে বলে জানান ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আবদুল্লাহ। তিনি বলেন, ‘বিষয়টিকে আমরা প্রাকৃতিক দুর্যোগ হিসেবে দেখছি। দীর্ঘস্থায়ী সমাধানের জন্য ভূ-গর্ভস্থ পানির ওপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে এনে ভূ-উপরিস্থ পানির ব্যবহার বাড়ানোর ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে। এ জন্য মধুমতী নদী থেকে পানি এনে তা পরিশোধন করে নগরবাসীর মধ্যে সরবরাহের জন্য খুলনা ওয়াটার সাপ্লাই প্রজেক্ট নামের একটি প্রকল্প চলমান আছে।’ | 126,907 |
নিজস্ব প্রতিবেদক | bangladesh | বাংলাদেশ | ১১ জুলাই ২০১৩, ০২:১১ | ১১ জুলাই ২০১৩, ০২:১২ | রাজধানী (জাতীয়) | 0 | বাংলাদেশ-সংক্রান্ত তথ্য সঠিক: টিআইবি | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/22346 | বাংলাদেশ-সংক্রান্ত ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের প্রতিবেদন সঠিক বলে দাবি করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। গতকাল বুধবার টিআইবির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই দাবি করা হয়। বিবৃতিতে বলা হয়, বিভিন্ন খাত ও প্রতিষ্ঠানে দুর্নীতির অবস্থা সম্পর্কে উত্তরদাতারা যে ধারণা পোষণ করেন, তার মধ্যে শীর্ষে রয়েছে পুলিশ এবং রাজনৈতিক দল (৯৩% উত্তরদাতার মতে, এ দুটি প্রতিষ্ঠান কোনো না কোনো মাত্রায় দুর্নীতিগ্রস্ত)। এর পরই রয়েছে বিচার বিভাগ (৮৯% উত্তরদাতা মনে করেন, এটি কোনো না কোনো মাত্রায় দুর্নীতিগ্রস্ত)। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ব্র্যাক সেন্টার মিলনায়তনে ৯ জুলাই সংবাদ সম্মেলনে এটিই উপস্থাপন করা হয়েছে। টিআই বাংলাদেশের ওয়েবসাইটেও এটি পাওয়া যাবে। প্রদত্ত তথ্য বিশ্লেষণে আরও দেখা যায়, উত্তরদাতাদের মধ্যে পুলিশের ক্ষেত্রে ৬৪%, রাজনৈতিক দলের ক্ষেত্রে ৪৫% এবং বিচার বিভাগের ক্ষেত্রে ৫৩% মনে করেন যে প্রতিষ্ঠানগুলোতে দুর্নীতি উদ্বেগজনক পর্যায়ে (বেশ বা খুব বেশি মাত্রায়) রয়েছে। ব্র্যাক সেন্টার মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনেও তা-ই বলা হয়েছে। কিন্তু টিআই তার ওয়েবসাইটে এগুলোকেই কেবল দুর্নীতিগ্রস্ত বলে উল্লেখ করায় সংশ্লিষ্ট সবার মধ্যে ভুল-বোঝাবুঝির অবকাশ সৃষ্টি হয়েছে। এ বিষয়ে টিআইর সঙ্গে টিআইবির পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হয়েছে এবং বিষয়টি তারা অবিলম্বে সংশোধন করার ব্যবস্থা করবে বলে জানিয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়, টিআইবি প্রকাশিত ফলাফলের মধ্যে কোনো ভুলভ্রান্তির অবকাশ নেই। সর্বোচ্চ সতর্কতার সঙ্গে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি অবলম্বন করে সংগৃহীত তথ্যের ভিত্তিতেই টিআইবি তার প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। | 1,813 |
বান্দরবান প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ০৫ জুন ২০১৬, ০২:২৭ | ০৫ জুন ২০১৬, ০২:২৮ | বান্দরবান,চট্টগ্রাম বিভাগ,নির্বাচন | 0 | বান্দরবান সদর ও আলীকদমের পাঁচ ইউনিয়নের নির্বাচন শান্তিপূর্ণ | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/878584 | বান্দরবান সদর উপজেলার একটি ও আলীকদমের চারটি ইউনিয়ন পরিষদে গতকাল শনিবার অনুষ্ঠিত নির্বাচনে বড় কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। কয়েকটি ভোটকেন্দ্রে সরকারি দলের লোকজন প্রভাব খাটানোর চেষ্টা করলে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। গতকাল সকাল থেকে বান্দরবান সদর উপজেলার কুহালং ইউনিয়নের বিভিন্ন কেন্দ্র ঘুরে দেখা যায়, উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট গ্রহণ চলেছে। তবে দুপুর সাড়ে ১২টার পর থেকে এ চিত্র পাল্টাতে থাকে। বেলা দেড়টায় ভোকেশনাল টেক্সটাইল স্কুল কেন্দ্রে গিয়ে ভোটারের দেখা পাওয়া যায়নি। রিটার্নিং কর্মকর্তা রিয়াজ উদ্দিন বলেন, আচরণবিধি লঙ্ঘনের বিচ্ছিন্ন কয়েকটি ঘটনা ঘটলেও নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হয়েছে। আলীকদম উপজেলার চারটি ইউনিয়নের মধ্যে আলীকদম সদর ইউনিয়নের কয়েকটি কেন্দ্রে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া হয়েছে। | 229,324 |
অনলাইন ডেস্ক | entertainment | বিনোদন | ১০ ডিসেম্বর ২০১৩, ১১:৫৫ | ১০ ডিসেম্বর ২০১৩, ১১:৫৮ | বলিউড | null | ‘আমিরই সেরা’ বললেন শাহরুখ! | http://www.prothom-alo.com/entertainment/article/95155 | দিন কয়েক আগে আমির, সালমান ও শাহরুখ এই তিন খানের মধ্যে সবচেয়ে বড় তারকা কে জানতে চাইলে সালমানকে তাঁর চেয়েও বড় তারকা বলেছিলেন আমির খান। সালমানের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হলেও শাহরুখকে নিয়ে মন্তব্য করেননি আমির। কিন্তু সম্প্রতি উদারতার পরিচয় দিয়ে আমিরকে ভারতের সেরা অভিনয়শিল্পী বলে স্বীকৃতি দিয়েছেন ‘বলিউড বাদশাহ’ শাহরুখ।এ প্রসঙ্গে শাহরুখের ভাষ্য, ‘আমির খান আমাদের দেশের সবচেয়ে ভালো অভিনয়শিল্পী। বরাবরই তিনি পথপ্রদর্শকের ভূমিকা পালন করেছেন। সব সময় তাঁর কাজ দেখে অনুপ্রাণিত হয়েছি আমরা। তাঁর শারীরিক ও মানসিক শক্তির কোনো তুলনা হয় না। সত্যিই তাঁর কাজ আমার অনেক ভালো লাগে।’ সম্প্রতি এক খবরে এমনটিই জানিয়েছে পিটিআই।শাহরুখ আরও বলেন, ‘আমির ‘‘ধুম ৩’’ ছবিতে চরিত্রের প্রয়োজনে তাঁর শারীরিক অবয়বে যে ধরনের পরিবর্তন এনেছেন তা কেবল তাঁর মতো নিবেদিতপ্রাণ একজন অভিনেতার পক্ষেই সম্ভব। ছবিটির একটি দৃশ্যে দড়িতে ঝুলে যে ধরনের শারীরিক কসরত তিনি দেখিয়েছেন তা দেখে তাঁকে দক্ষ ক্রীড়াবিদ বলেই মনে হয়েছে। এমন কঠিন দৃশ্য এত নিখুঁতভাবে ফুটিয়ে তোলার বিষয়টি এক কথায় অসাধারণ। সত্যিই তাঁর কাজ দেখে অনেক কিছু শেখার আছে।’‘ধুম ৩’ ছবিতে খল চরিত্রে অভিনয় করেছেন আমির খান। ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে ‘ডর’, ‘বাজিগর’ এবং ‘আনজাম’ ছবিতে খল চরিত্রে অভিনয় করলেও, অনেক দিন এ ধরনের চরিত্রে দেখা যায়নি শাহরুখকে।এ প্রসঙ্গে শাহরুখ বলেন, ‘অনেক দিন হয়ে গেল এ ধরনের চরিত্রে অভিনয় করা হয়নি আমার। যদিও ‘‘ডন’’ সিরিজের ছবিতে খল চরিত্রে অভিনয় করেছি। কিন্তু ডন চরিত্রটিকে সেই অর্থে নেতিবাচক বলা যায় না। আবারও খল চরিত্রে অভিনয় করতে চাই আমি। এমন চরিত্রে অভিনয়ের প্রস্তাব পেলে সানন্দেই রাজি হয়ে যাব। তবে সে ক্ষেত্রে ছবির ব্যবসায়িক সাফল্য হুমকির মুখে পড়তে পারে। ১০০ কিংবা ২০০ কোটির ক্লাবে হয়তো ঠাঁই পাবে না ছবিটি।’প্রসঙ্গত, সবচেয়ে বড় তারকা কে? সম্প্রতি আমির খানকে এমন প্রশ্ন করলে জবাবে আমির বলেছিলেন, ‘সবচেয়ে বড় তারকা হিসেবে নিজের নামটি বলতে পারি। প্রতিদ্বন্দ্বিতাকে আমি ইতিবাচক চোখেই দেখি। তবে আমার ভাবনার সঙ্গে সবার তো মিল নাও থাকতে পারে। অন্যের অভিনয় দেখে মাঝেমধ্যে মুগ্ধ হয়ে ভাবি, সে কীভাবে এত ভালো অভিনয় করতে পারে! আমি কীভাবে আরও ভালো অভিনয় করতে পারব তা নিয়েও ভাবি।’ আমির আরও বলেছিলেন, ‘“মুন্নাভাই এমবিবিএস” দেখে সঞ্জয় দত্তের অভিনয় যেমন অসাধারণ লাগে, তেমনি রণবীর কাপুরের “বরফি” আমাকে মুগ্ধ করে। তবে যখন “দাবাং” দেখি, তখন আমার বন্ধু সালমানের অভিনয় আমাকে মুগ্ধ করে। আমার চেয়ে সালমান নিঃসন্দেহে বড় তারকা। অভিনয় করতে তার যেন কিছুই করতে হয় না। তার মধ্যে যেন তারকাখ্যাতি ভরপুর। সালমানের অভিনয়ে সামান্য বেল্ট নাড়ানো কিংবা চশমা ঠিক করার স্টাইলই দর্শকের মনোরঞ্জনের জন্য যথেষ্ট।’ সালমানের সঙ্গে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতা নেই বলেও জানিয়েছিলেন আমির। | 34,472 |
-1 | sports | খেলা | ০৮ আগস্ট ২০১৬, ০২:৫২ | ০৮ আগস্ট ২০১৬, ০২:৫৩ | অলিম্পিক,আন্তর্জাতিক ফুটবল | 0 | শেষ আটে ব্রাজিলের মেয়েরা | http://www.prothom-alo.com/sports/article/939613 | রিও অলিম্পিকে সোনা জয়ের পাশাপাশি আরেকটি লক্ষ্য ছিল তাঁদের—মেয়েদের ফুটবলকেও ব্রাজিলে সমান জনপ্রিয় করে তোলা। সে পথেই বেশ ভালোই এগোচ্ছেন মার্তা-ক্রিস্টিয়ানরা। টানা দুই জয় নিয়ে উঠে গেছেন কোয়ার্টার ফাইনালে। পরশু রিও ডি জেনিরোর অলিম্পিক স্টেডিয়ামে ব্রাজিল ৫-১ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে সুইডেনকে।চীনের বিপক্ষে ৩-০ গোলের জয় দিয়ে অলিম্পিকযাত্রা শুরু হয়েছিল ব্রাজিলের। প্রথম ম্যাচে যা করেছেন ৯০ মিনিটে, পরশু মার্তারা তা করেছেন প্রথমার্ধে। বিয়াত্রিজ ও ক্রিস্টিয়ানের গোলের পর মার্তার পেনাল্টি গোলে ৩-০ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় ব্রাজিলের মেয়েরা। তবে মার্তা নন, এই ম্যাচে গোল করে ব্রাজিলের নায়িকা ক্রিস্টিয়ান। ব্যাক ফ্লিকে যে গোলটি করলেন, সেটি তাঁর ১৪তম গোল—অলিম্পিকে সর্বোচ্চ। ব্রাজিল গোলের ধারা টেনে নিয়ে যায় দ্বিতীয়ার্ধেও, বিয়াত্রিজ ও মার্তা করেছেন নিজেদের দ্বিতীয় গোল। ম্যাচের শেষ দিকে লোটা শেলিন সুইডেনের সান্ত্বনাসূচক গোলটি করেন।প্রথম ম্যাচে প্রায় অর্ধেক ফাঁকা গ্যালারির সামনেই চীনকে হারিয়েছিল ব্রাজিল। দ্বিতীয় ম্যাচে ৬০ হাজার দর্শকের অলিম্পিক স্টেডিয়ামের গ্যালারি ছিল প্রায় পূর্ণ। সব মিলিয়ে তাই নতুন এক চ্যালেঞ্জই দেখছেন ব্রাজিল কোচ ভাদাও, ‘প্রথম দিকে চাপটা শুধু ছিল ভালো খেলার আর মেয়েদের ফুটবলকে ভালোভাবে চেনানোর। এখন, এত ভালো খেলার পর, চাপটা বদলে যাচ্ছে। মানুষের প্রত্যাশা বেড়ে যাওয়ায় এখন নতুন চাপের মুখে পড়তে হচ্ছে।’মানুষের প্রত্যাশা স্বাভাবিকভাবেই অলিম্পিকের সোনা। ছেলে বা মেয়ে, ব্রাজিলের কোনো ফুটবল দলই কখনো জেতেনি এই আরাধ্য পদক। তবে এবারও কাজটা সহজ হচ্ছে না ব্রাজিলের জন্য। বর্তমান বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ও টানা তিনটি সোনাজয়ী যুক্তরাষ্ট্র এবং জার্মানি উঠে গেছে কোয়ার্টার ফাইনালে। অধিনায়ক কার্লি লয়েডের গোলে ফ্রান্সকে ১-০ গোলে হারিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। অলিম্পিকে যেটি তাদের টানা ১৩তম জয়। দুবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন জার্মানি ২ গোলে পিছিয়ে পড়েও শেষ পর্যন্ত ২-২ গোলে ড্র করেছে কানাডার সঙ্গে। এএফপি। | 247,617 |
সুহাদা আফরিন | bangladesh | বাংলাদেশ | ২২ নভেম্বর ২০১৭, ১০:১৪ | ২২ নভেম্বর ২০১৭, ১০:২৫ | -1 | 0 | কপিরাইটে আগ্রহ কম | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1370891 | প্রচারণা, সচেতনতার অভাব ও বাধ্যতামূলক নয় বলে কপিরাইটে আগ্রহ নেই বেশির ভাগে সৃজনশীল মানুষের। সমস্যা হচ্ছে না বলে অনেকেই নিবন্ধন করান না। আবার অনেকে বিপদে পড়ে এসে নিজের কাজের কপিরাইট করিয়ে নিচ্ছেন। কপিরাইট অফিস বলছে, মানুষ এর মূল্যটাই বোঝে না।মেধাস্বত্বের মালিকানাই হচ্ছে কপিরাইট। সাহিত্য, নাট্য, সংগীত, রেকর্ড, শিল্প, চলচ্চিত্র, বেতার সম্প্রচার, টেলিভিশন সম্প্রচার, কম্পিউটার-সফটওয়্যার কর্ম, অর্থাৎ সৃজনশীল মৌলিক কাজের নিবন্ধন করিয়ে নেওয়াই হচ্ছে কপিরাইট। রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে বাংলাদেশ কপিরাইট অফিস আছে। এটি আধা বিচার বিভাগীয় প্রতিষ্ঠান। কপিরাইট নিবন্ধন বাধ্যতামূলক নয়। তবে নিবন্ধন করা থাকলে মালিকানা নিয়ে আইনগত জটিলতা দেখা দিলে, ‘কপিরাইট নিবন্ধন সনদ’ আইনি সহায়তা পেতে সাহায্য করে।মেধাস্বত্ব নিবন্ধনের জন্য ফি এক হাজার টাকা। নিজের কাজের সিডি, স্ক্রিপ্ট বা বইয়ের দুই কপি, জাতীয় পরিচয়পত্র বা পাসপোর্টের সত্যায়িত কপি ও পাসপোর্ট সাইজের ছবি আবেদন ফরমের সঙ্গে জমা দিতে হবে। আবেদনের এক মাসের মধ্যে নিবন্ধন সার্টিফিকেট দেওয়া হয়। অনলাইনেও আবেদন করা যাবে।কোনো লেখক বা প্রণেতার বই বা কোনো সৃষ্টকর্ম যদি কেউ নকল করে, তাহলে দেওয়ানি ও ফৌজদারি উভয় প্রতিকার চাইতে পারবেন। শাস্তি হিসেবে কপিরাইট ভঙ্গকারীর চার বছরের জেল ও সর্বনিম্ন ছয় মাসের জেল হতে পারে। সঙ্গে সর্বোচ্চ দুই লাখ টাকার জরিমানা ও সর্বনিম্ন ৫০ হাজার টাকা জরিমানারও বিধান আছে। তবে চলচ্চিত্রের ক্ষেত্রে এ শাস্তি সর্বোচ্চ পাঁচ বছর ও সর্বনিম্ন এক বছর। আর সর্বোচ্চ পাঁচ লাখ ও সর্বনিম্ন এক লাখ টাকা জরিমানা রয়েছে। দায়রা জজ আদালতে ফৌজদারি বিচার হবে। জেলা জজ আদালতেও ক্ষতিপূরণ ও নিষেধাজ্ঞার প্রতিকার চাওয়া যাবে।১৯৬২ সালে কপিরাইট কার্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। এ পর্যন্ত মেধাস্বত্বের নিবন্ধন হয়েছে ১৫ হাজার। গত বছরে হয়েছে ৬৩১টি। কপিরাইট অফিসের রেজিস্ট্রার জাফর আর চৌধুরী বলেন, কিছু কিছু ক্ষেত্রে আজ পর্যন্ত কোনো নিবন্ধনই হয়নি। ফটোগ্রাফ নিবন্ধনে এত বছরে কেউ আসেনি। গত ১৩ নভেম্বর প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ ফটোগ্রাফিক সোসাইটির প্রেসিডেন্ট আশফাক আহমেদ নিজের একটি ছবি নিবন্ধন করিয়ে নেন। আশফাক আহমেদ বলেন, কপিরাইট নিয়ে তেমন ধারণা ছিল না। তবে এর প্রয়োজন আছে।ছবি নিয়ে কাজ করে দৃক। দৃকের কিউরেটর এ এস এম রেজাউর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, নিবন্ধন জরুরি না। তবে করলে বাড়তি আইনগত সুবিধা পাওয়া যায়।চলচ্চিত্রে এখন পর্যন্ত ৭২টি নিবন্ধন হয়েছে। কপিরাইট অফিসের রেজিস্ট্রার বলেন, কপিরাইট করা থাকলে পাইরেসি রোধেও আইনি সহায়তা পাওয়া যায়। চলচ্চিত্রকার মোরশেদুল ইসলাম বলেন, ‘ফিল্ম মেকাররা আগ্রহী না। কেন তা জানি না। আমি নিজেও করিনি। যেহেতু সমস্যা হয়নি। তাই হয়তো কেউ আগ্রহ বোধ করে না।’ তবে তিনি বলেন, সমস্যা হলে কপিরাইট করা থাকলে উপকার পাওয়া যায়। এটা নিয়ে এখনো সেভাবে সচেতনতা গড়ে ওঠেনি। তবে কপিরাইট করা উচিত।গীতিকার কবির বকুল কপিরাইট বিষয়ে বললেন, সচেতনতার অভাব। তিনি বলেন, ‘ইউটিউব, রিংটোন ডাউনলোড থেকে শুরু করে যেসব ক্ষেত্রে গান ব্যবহার করা হয়, সেখানে রয়্যালটি নির্ধারণ করা থাকে না। অন্তত আমি পাইনি। এককালীন টাকা দেওয়া হয়।’ তিনি বলেন, একটি গানের প্রথম মালিকানা হলো গীতিকার ও সুরকারের। কিন্তু বাংলাদেশে এখন স্বেচ্ছাচারিতা চলছে। গান করতে গেলে এখন আগেই চুক্তি করিয়ে নেওয়া হয়। এই গীতিকার বলেন, আইন সম্পর্কে ভালোভাবে না জানার কারণেই হয়তো গানের ক্ষেত্রে অরাজকতা চলছে।সবচেয়ে বেশি কপিরাইট নিবন্ধন হয় সাহিত্যকর্ম। গত বছর হয়েছে ৩২২টি। লেখক হায়াৎ মামুদ বলেন, কপিরাইট আইন আছে। তবে অনেকেই এর ব্যাপারে তেমন সচেতন না। আরেকজন লেখক জ্যোতি প্রকাশ দত্ত বলেন, কপিরাইট আইন লঙ্ঘনের ফলে কোনো প্রকাশকের শাস্তি হয়েছে কি না, জানা নেই। নিজেদের সচেতনতার পাশাপাশি আইনের প্রয়োগটাও ঠিকমতো হতে হবে।কপিরাইট আইন সংশোধনের জন্য একটি খসড়া তৈরি হয়েছে। কপিরাইট অফিসের রেজিস্ট্রার জাফর আর চৌধুরী বলেন, এ মাসের মধ্যেই খসড়াটি কেবিনেটে পাঠানো হবে। খসড়ায় তাঁরা টাস্কফোর্স ও ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার সুপারিশ রেখেছেন।নিবন্ধন কম হওয়ার কারণ হিসেবে এই রেজিস্ট্রার বলেন, সচেতনতা কম। এ ছাড়া প্রচারণার জন্য আলাদা কোনো বাজেটও নেই। যেহেতু এটা ঐচ্ছিক একটি বিষয়, তাই যাঁর স্বত্ব, তাঁর ওপর নির্ভর করে। | 345,553 |
নিজস্ব প্রতিবেদক | bangladesh | বাংলাদেশ | ০৫ আগস্ট ২০১৫, ০১:৫৯ | ০৫ আগস্ট ২০১৫, ০২:০০ | খবর,রাজনীতি | 0 | খালেদার সঙ্গে কুয়েতের রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/593917 | বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন কুয়েতের বিদায়ী রাষ্ট্রদূত আলী আহমেদ ইব্রাহিম আল দাফারি। গতকাল মঙ্গলবার রাতে গুলশানে খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক কার্যালয়ে এ সাক্ষাৎ হয়।বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয় সূত্র জানায়, সাক্ষাতে বাংলাদেশের সঙ্গে কুয়েতের সম্পর্ক ভবিষ্যতে আরও দৃঢ় হবে বলে খালেদা জিয়া ও বিদায়ী রাষ্ট্রদূত আলী আহমেদ ইব্রাহিম আশা প্রকাশ করেন। প্রায় এক ঘণ্টা তাঁরা কথা বলেন। এ সময় বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সাবিহ উদ্দিন আহমেদ উপস্থিত ছিলেন। | 157,649 |
সাউদাম্পটন থেকে প্রতিনিধি | sports | খেলা | ২৩ জুন ২০১৯, ২২:০৯ | ২৫ জুন ২০১৯, ১২:০০ | ক্রিকেট,বিশ্বকাপ ক্রিকেট ২০১৯,বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দল,বাংলাদেশ ক্রিকেট,মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন | null | মিথ্যা খবর দিয়ে দলের ক্ষতি না-করার অনুরোধ বাংলাদেশ কোচের | http://www.prothom-alo.com/sports/article/1600780 | কাল প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন বারবার জানালেন, আজ ফিটনেস পরীক্ষা হবে সাইফউদ্দিনের। এই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ না হতে পারলে তাঁর বিকল্পও দেখা হতে পারে বলে গুঞ্জন বেরোল। আজ দুপুরে রোজ বোলে স্টেডিয়ামে এসে যে ছবিটা দেখা গেল, তাতে গুঞ্জনটা গুঞ্জনই মনে হলো।রোজ বেলের পাশেই আরেকটি মাঠের নেটে সাইফউদ্দিন টানা ১৫টা বল করলেন। সেখানে কিছুটা সময় ব্যাটিং অনুশীলনও করলেন। সাইফউদ্দিন অনেকটা সেরে উঠেছেন। তবে কাল আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচটা খেলতে পারবেন কি না, সেটি বলার উপায় নেই। দলীয় সূত্রে জানা গেল, এখনো সাইফউদ্দিনের সম্ভাবনা ৫০-৫০। সাইফউদ্দিন অবশ্য ম্যাচটা খেলতে উন্মুখ। তবে ম্যাচের দিন সকালে তিনি কেমন অনুভব করেন, সেটির ওপর সবকিছু নির্ভর করছে।গত দুদিনে বড় ঝড়ই গেল সাইফউদ্দিনের ওপর। খবর বেরিয়েছে, তিনি নাকি ‘বিগ ম্যাচ ফোবিয়া’ থেকে ইচ্ছে করে অস্ট্রেলিয়া ম্যাচ থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন। প্রশ্ন উঠেছে তাঁর চোটের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে। এ ধরনের খবরে মানসিকভাবে বড় ধাক্কাই খেয়েছেন বাংলাদেশ দলের তরুণ পেস বোলিং অলরাউন্ডার। যেভাবে খবরটি ছড়িয়েছে, সেটি স্বাভাবিকভাবে নিতে পারেননি বাংলাদেশ কোচ স্টিভ রোডস। আজ সংবাদ সম্মেলনে সাইফউদ্দিনের চোট-প্রসঙ্গে রোডস যা বলেছেন, সেটি হুবহু তুলে দেওয়া হলো এখানে—‘প্রথমে ওর শারীরিক অবস্থার কথা বলি। তার বিশ্রামের প্রয়োজন ছিল। ওর পিঠের ব্যথাটা ওকে ভোগাচ্ছে। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচে ওর না খেলার এটাই আসল কারণ। সে বল করতে পারেনি। আপনি এমন কোনো বোলারকে দলে নিতে পারবেন না, যে বল করতে পারবে না। ওর মানসিক অবস্থা আমার মনে হয় খুব গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার। কারণ পত্রিকায় যেসব প্রতিবেদন এসেছে, সেগুলো সত্যি নয়। এমন কথাটা শোনা গেছে যে, সাইফউদ্দিনের বদলি ঠিক করতে আমার সঙ্গে মাশরাফির নাকি একটা বৈঠক হয়েছে, কিন্তু বৈঠকটা আসলে হয়নি। তাই আমার অনুরোধ থাকবে খেলোয়াড়দের সততা নিয়ে প্রশ্ন করার আগে সেটা সত্য কি না, সেই বিষয়টা শতভাগ নিশ্চিত হয়ে নিতে। কারণ কোনো মিথ্যা খবর প্রকাশিত হলে সেটি সেই খেলোয়াড় কিংবা বাংলাদেশের জন্য ভালো নয়। এখানে বাংলাদেশ থেকে যে সাংবাদিকেরা এসেছেন, দলের সঙ্গে যে কর্মকর্তারা আছেন, সবাই মনেপ্রাণে চান আমরা যেন ভালো করি। কিন্তু এমন কিছু যদি লেখা হয়, যা সত্যি নয়, সেটা দলের ক্ষতি করতে পারে। আমি বিশ্বকাপ জিততে উন্মুখ। এটা একটা বড় চ্যালেঞ্জ। আমাদের পাহাড় ডিঙাতে হবে। এর পথচলায় যদি এমন কিছু আসে, সেটা লেখার আগে দয়া করে একটু নিশ্চিত হয়ে নেবেন।’ | 407,056 |
নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম | bangladesh | বাংলাদেশ | ১০ ডিসেম্বর ২০১৬, ২১:৫০ | ১০ ডিসেম্বর ২০১৬, ২১:৫১ | চট্টগ্রাম,চট্টগ্রাম বিভাগ,রাজনীতি | null | জিয়ার নকল কবর সরাতে হবে: আ ক ম মোজাম্মেল | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1037561 | মুক্তিযোদ্ধাবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, জাতীয় সংসদের আঙিনা থেকে জিয়াউর রহমানের নকল কবর সরাতে হবে। সেখানে তাঁর মৃতদেহও নেই বলে দাবি করেন মন্ত্রী। জিয়াউর রহমান হত্যার বিচারও চান তিনি।আজ শনিবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম এম এ আজিজ স্টেডিয়াম-সংলগ্ন মাঠে ‘মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মঞ্চে’ আয়োজিত এক স্মৃতিচারণা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন মুক্তিযোদ্ধাবিষয়ক মন্ত্রী। মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা পরিষদ এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।আ ক ম মোজ্জামেল হক বলেন, জিয়াউর রহমানের তথাকথিত কবর মহান জাতীয় সংসদের আঙিনায় আছে। চারদিক থেকে আজ প্রশ্ন আসছে, সেখানে তাঁর লাশ আদৌ আছে কি না? সেখানে তাঁর লাশ নেই। হত্যাকারীরা তাঁকে হত্যা করে পেট্রল দিয়ে পুড়িয়ে পুঁতে রেখেছিল। তারা কাঠের বক্স দিয়ে সেখানে সমাহিত করে আজকে নকল জিয়ার মাজার বানিয়েছে।জিয়াউর রহমানের মৃতদেহের ছবি দেখানোর চ্যালেঞ্জ দিয়ে অনুষ্ঠানে আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, ‘যদি ছবি দেখাতে না পারেন, তাহলে ডিনএনএ টেস্ট করে প্রমাণ করুন, এটি জিয়াউর রহমানের লাশ। আর না হয় জিয়ার মাজার বলে এত বছর ধরে যে মিথ্যাচার করেছেন, তা ধোঁকাবাজি। তাই এ নকল কবর অবশ্য অবশ্যই সরাতে হবে। ভিন্ন কোনো পথ নেই।’স্বাধীনতাযুদ্ধে জিয়াউর রহমান রাজনৈতিক সরকারের অধীনে যুদ্ধ করতে চাননি বলে দাবি করেন মুক্তিযোদ্ধাবিষয়ক মন্ত্রী। তিনি আরও বলেন, জিয়া মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচিহ্নগুলো ধ্বংস করতে চেয়েছিলেন। তিনি ধর্মের নামে রাজনীতি করার জন্য জামায়াতকে নিয়ে এসেছিলেন।অনুষ্ঠানে মন্ত্রী বলেন, সারা দেশে মুক্তিযোদ্ধার কবরগুলো একই নকশায় করা হবে। বধ্যভূমিগুলো সংরক্ষণ করা হবে।আজকের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী। বক্তব্য দেন মুক্তিযোদ্ধা নূর উদ্দিন, রেজাউল করিম চৌধুরী, মহিউদ্দিন রাশেদ, খোরশেদ আলম, মোহাম্মদ আলী মিন্টু প্রমুখ।বক্তারা চট্টগ্রামে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ও মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিসৌধ নির্মাণের জন্য মন্ত্রীর কাছে দাবি জানান। | 272,927 |
নিজস্ব প্রতিবেদক, কুড়িগ্রাম | bangladesh | বাংলাদেশ | ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৩, ০৩:২১ | ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৩, ০৩:২২ | কুড়িগ্রাম,রংপুর বিভাগ,বিশাল বাংলা | 0 | অসম্পূর্ণ সৃজনশীল পদ্ধতি বাতিলের দাবি | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/48330 | যথাযথ আয়োজন ছাড়া জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যাচেলর (অনার্স) ডিগ্রি রেগুলেশন অ্যাক্ট-২০১০, অসম্পূর্ণ সৃজনশীল পদ্ধতি বাতিলসহ আট দফা দাবিতে কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে শিক্ষামন্ত্রী বরাবর স্মারকরিপি পেশ করা হয়েছে। সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট কুড়িগ্রাম জেলা শাখার পক্ষ থেকে গতকাল মঙ্গলবার এটি পেশ করা হয়।স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০০৯-১০ শিক্ষাবর্ষে অসম্পূর্ণ সৃজনশীল (গ্রেডিং) পদ্ধতি চালুর পর থেকেই ফল বিপর্যয় ঘটেই চলছে। ২০১০-১১ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষে ৪৮ এবং দ্বিতীয় বর্ষে ৪৮ শতাংশ শিক্ষার্থী অকৃতকার্য হন। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত এসব শিক্ষার্থীর শিক্ষাজীবন প্রায় অনিশ্চিত। এ কারণে বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থী ঝরে পড়বেন। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে এ পদ্ধতি চালুর শুরুতেই সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, যথাযথ আয়োজন ছাড়া অসম্পূর্ণ সৃজনশীল পদ্ধতি চালু করা হলে ফল বিপর্যয় ঘটবে। এর দায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে নিতে হবে।সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট কুড়িগ্রাম জেলা শাখার সংগঠক গৌতম কুমার জানান, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন প্রায় এক হাজার ৮০০ কলেজের ১২ লক্ষাধিক শিক্ষার্থীর শিক্ষাজীবন নিশ্চিতকরণে শিক্ষামন্ত্রীকে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট উত্থাপিত আট দফা দাবি মেনে নেওয়ার আহ্বান জানানো হচ্ছে। | 17,451 |
লন্ডন প্রতিনিধি | entertainment | বিনোদন | ১৬ অক্টোবর ২০১৬, ০০:৫৪ | ১৬ অক্টোবর ২০১৬, ০০:৫৬ | বিনোদন,বিদেশের গান | 0 | আলী জ্যাকোর ‘ওয়ার্কিং ম্যান’ | http://www.prothom-alo.com/entertainment/article/1000749 | কিকবক্সার থেকে পাশ্চাত্য সংগীতে নাম লেখানো আলী জ্যাকো আবারও হাজির হয়েছেন তাঁর নতুন গান নিয়ে। নতুন গান ‘ওয়ার্কিং ম্যান’ মুক্তি পাচ্ছে মঙ্গলবার। এটি জ্যাকোর তৃতীয় একক গান। একই সঙ্গে অবমুক্ত হচ্ছে গানটির অডিও ও ভিডিও।সিলেটের ছাতকে জন্ম নেওয়া ব্রিটিশ নাগরিক আলী জ্যাকো বলেন, ‘আগের দুটি গান থেকে আমার এই গানটি পুরোপুরি আলাদা। বেশ জমজমাট একটা গান। আশা করি গানের কথা, সুর ও ভিডিও চিত্র সবার ভালো লাগবে।’ গানটির ভিডিও চিত্রে বিভিন্ন শ্রম ও পেশাজীবী মানুষকে দেখা যাবে। লন্ডনের বিভিন্ন এলাকায় গানটির ভিডিও ধারণ করা হয়েছে। গানটির কথা লিখেছেন জ্যাকো নিজেই, সুর করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের সংগীত পরিচালক দ্য ইয়শম্যান। অনলাইনে ইউটিউব, আইটিউন, অ্যামাজন, স্পোর্টিফাইসহ বিভিন্ন মাধ্যমে পাওয়া যাবে গানটি। এটি প্রকাশিত হচ্ছে জ্যাকোর নিজস্ব প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান জিএ মিউজিক থেকে।গত বছরের নভেম্বরে ‘গিভ মাই লাভ আ ব্র্যান্ড নিউ নেম’ দিয়ে আলী জ্যাকো সংগীতজগতে প্রবেশ করেন। এরপর গত ১৯ জুন বাবা দিবসে মুক্তি পায় তাঁর দ্বিতীয় একক গান ‘ইউ আর দ্য রিজন’। | 256,430 |
-1 | entertainment | বিনোদন | ০২ জানুয়ারি ২০১৫, ০০:০২ | ০২ জানুয়ারি ২০১৫, ০০:০২ | বিনোদন | 0 | abc আজকের আয়োজন | http://www.prothom-alo.com/entertainment/article/413164 | বুদ্ধির বাত্তি জ্বালাওআশীফ এন্তাজ রবি ও রাজীব হাসানের সঙ্গেরাত ১১.২০ থেকে ২.০০হাওয়া বদলকথাবন্ধু শারমীন ওড. মাহবুব পিয়ালের সঙ্গেবেলা ২.০০ বিকেল ৫.০০ | 103,680 |
ধুনট (বগুড়া) প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ০৮ মে ২০১৫, ০১:১৯ | ০৮ মে ২০১৫, ০১:২০ | ধুনট,বগুড়া,রাজশাহী বিভাগ,অপরাধ,বিশাল বাংলা | 0 | সেতু হুমকিতে ফেলে বালু উত্তোলন | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/521953 | বগুড়ার ধুনটে নিমগাছি বেড়েরবাড়ি এলাকায় বাঙ্গালী নদীর সেতুর নিচ থেকে শ্যালো ইঞ্জিনচালিত যন্ত্র বসিয়ে বালু তুলছেন আওয়ামী লীগের স্থানীয় এক নেতা। এ কারণে সেতু ও আশপাশের বসতবাড়ি ধসে পড়ার আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী। এ বিষয়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাঁকে কয়েকবার নিষেধ করলেও তিনি তা মানছেন না বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) প্রায় চার বছর আগে নিমগাছি ও বেড়েরবাড়ির গ্রামের নিকট প্রায় আট কোটি টাকা ব্যয়ে বাঙ্গালী নদীর ওপর ২৮৬ মিটার দীর্ঘ একটি পাকা সেতু নির্মাণ করে। সেতুর দুই পাশে বেড়েরবাড়ি মৌজার প্রায় ছয় একর সরকারি বালুমহাল রয়েছে। রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যে প্রতিবছর এ বালুমহাল ইজারা দেওয়া হয়। জেলা প্রশাসন এ বছরও প্রায় সোয়া চার লাখ টাকায় এটি বার্ষিক ইজারা দিয়েছে। বেড়েরবাড়ি গ্রামের রায়হান আলীর নামে বালুমহালটি ইজারা নিয়েছে নিমগাছি ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য (ইউপি সদস্য) নবাব আলী ও তাঁর ভাই বাটুল প্রামাণিক।সেতু ধসের আশঙ্কায় উপজেলা প্রশাসন সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী, সেতু থেকে কমপক্ষে ৫০০ মিটার দূর থেকে ইজারাদারকে বালু উত্তোলনের নির্দেশ দিয়েছে। কিন্তু ওই ইজারাদার প্রশাসনের নির্দেশ উপেক্ষা করে সেতুর ১০০ মিটারের মধ্য থেকে বালু উত্তোলন করছেন। এ জন্য বর্ষা মৌসুমে স্রোতে নদীর গভীরতা সৃষ্টি হয়ে সেতু ও আশপাশের বসতবাড়ি ভাঙনের কবলে পড়তে পারে।এ ব্যাপারে এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে গত সপ্তাহে উপজেলা প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাফিজুর রহমান সংশ্লিষ্ট এলাকা পরিদর্শন করে বালু উত্তোলন বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন। এর পরও ইজারাদার নবাব আলী ও তাঁর লোকজন প্রশাসনের সেই নির্দেশ অমান্য করে সেতুর নিচ থেকে বালু তোলা অব্যাহত রেখেছেন।নিমগাছি গ্রামের আফছার আলী বলেন, ‘সেতু নিচোত লদি (নদী) থাইকা যে হারে বালু তোলা হচ্ছে, সে হারে বালু তুললে বর্ষার সময় সেতু থাকপারলয় (থাকবে না)। সেই হিনি হামাইগরে ও বাড়িঘর থাকপারলয়। হামারা তার জন্নি দরখাস্ত করছি। কিন্তু কোনো কাম হচ্ছে না।’বালু উত্তোলনকারী আওয়ামী লীগের সহসভাপতি নবাব আলী বলেন, ‘সেতু থেকে ৫০০ মিটার দূরে বালু উত্তোলনের নির্দেশ আছে ঠিক। কিন্তু ৫০০ মিটার দূরে বালু না থাকায় সেতুর নিচ থেকে সামান্য কয়েক দিনের জন্য অল্প কিছু বালু তোলা হয়েছে। প্রশাসন তাতে বাধা দেওয়ায় সেতু থেকে এখন অনেক দূর সরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সামান্য বালু তোলায় সেতুর কোনো ক্ষতি হবে না।’নিমগাছি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সুজাউদ্দৌলা বলেন, ‘সরকারি নিয়ম অমান্য করে বালু উত্তোলন করায় সেতু ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। এভাবে বালু তোলার জন্য ইজারাদারকে নিষেধ করেও কোনো কাজ হয়নি। এ কারণে বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) জানানো হয়েছে।’ধুনট উপজেলা প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম জানান, সেতুর নিচ থেকে বালু উত্তোলনের জন্য ইজারাদারকে নিষেধ করা হয়েছে। এ ছাড়া ইউএনওসহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবগত করেছি।ইউএনও হাফিজুর রহমান বলেন, এলাকাবাসীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গত মাসে বালুমহাল পরিদর্শন করে শ্যালো ইঞ্জিন সেতুর নিচ থেকে সরিয়ে দিয়ে বালু উত্তোলন বন্ধ করা হয়েছিল। এর পরও সেতুর নিচ থেকে বালু তোলার অভিযোগ পেলে তাঁদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। | 137,387 |
বিনোদন প্রতিবেদক | entertainment | বিনোদন | ১১ আগস্ট ২০১৪, ০১:২৩ | ১১ আগস্ট ২০১৪, ০১:২৪ | বিনোদন,টেলিভিশন | 0 | অল্পের জন্য রক্ষা পেলেন নোবেল! | http://www.prothom-alo.com/entertainment/article/288034 | রানওয়েতে বিমান ছুটছে। পেছন থেকে মোটরসাইকেলে চেপে বিমানের পিছু ধাওয়া করেছেন নোবেল। একপর্যায়ে বিমান ও মোটরসাইকেল খুব কাছাকাছি চলে আসে। দেখা দেয় দুর্ঘটনার আশঙ্কা। বিমানচালকের বুদ্ধিমত্তায় শেষ পর্যন্ত অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পান নোবেল।ফেস নাটকের শুটিং করতে গিয়ে ব্যাংককের পাতায়া বিমানবন্দরের রানওয়েতে এমন অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হন তিনি। নোবেল বলেন, ‘পরিচালকের কাছ থেকে ঝুঁকিপূর্ণ দৃশ্যটি বুঝে নেওয়ার পর আমি কাজ শুরু করি। দৃশ্যটি যথাযথভাবে ফুটিয়ে তোলার জন্য আমি এতটাই মনোযোগী ছিলাম যে কখন বিমানের এত কাছাকাছি চলে এসেছি, তা টেরই পাইনি। ইউনিটের অনেকেই চিৎকার করে আমাকে সতর্কও করার চেষ্টা করে। কিন্তু বিমানের শব্দ ও চরিত্রে ডুবে থাকায় তাদের চিৎকার আমি শুনতে পাইনি। শুটিং শেষে সবাই যখন আমার কাছে এসে ঘটনার বর্ণনা দিল, তখন বুঝেছি।’ নোবেল এয়ারটেল বাংলাদেশের হেড অব বিজনেস (করপোরেট সেলস) হিসেবে কাজ করছেন।নোবেল বলেন, ‘ফেস আমার দ্বিতীয় ধারাবাহিক নাটক। প্রথম ধারাবাহিকে কাজ করেছিলাম প্রায় এক যুগ আগে। সাপ্তাহিক ছুটির সময় পরিবারকে বঞ্চিত করে ফেস ধারাবাহিকের কাজ করেছি।’আজ সোমবার থেকে এসএ টিভিতে ফেস ধারাবাহিকটির প্রচার শুরু হচ্ছে। এতে নোবেল একজন মাফিয়া সদস্যের চরিত্রে অভিনয় করেছেন। এই নাটকের অন্য অভিনয়শিল্পীরা হলেন তানিয়া আহমেদ, শাহেদ, তারিক আনাম খান, আবুল হায়াত, পিয়া বিপাশা। | 84,138 |
মো. তৌহিদ হোসেন | opinion | মতামত | ০৬ মার্চ ২০১৮, ২৩:৪৫ | ০৭ মার্চ ২০১৮, ০৯:০১ | বিতর্ক | null | কোটাব্যবস্থায় সংস্কার জরুরি | http://www.prothom-alo.com/opinion/article/1444991 | সরকারি চাকরিতে, আরও সঠিকভাবে বললে, বেসামরিক প্রশাসনের চাকরিতে একটা কোটাব্যবস্থা বিদ্যমান আছে। বিভাজনটা সবাই জানেন, তবু এখানে উল্লেখ করছি: বিজ্ঞাপিত পদের ৪৫ শতাংশ চাকরি দেওয়া হবে মেধার ভিত্তিতে। অবশিষ্ট ৫৫ শতাংশের মধ্যে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা, যা এখন তাঁদের সন্তানসন্ততি, নাতি-নাতনিদের জন্য বরাদ্দকৃত। ১০ শতাংশ নারীর জন্য, ৫ শতাংশ উপজাতীয় কোটা, অবশিষ্ট ১০ শতাংশ জেলা কোটা। প্রতিবন্ধীদের জন্য ১ শতাংশ কোটা আছে, তবে তা উল্লেখিত কোটাগুলোর কোনো অব্যবহৃত অংশ থেকে দিতে হবে। সমাজে প্রতিবন্ধীদের জীবন যেমন প্রান্তিক, কোটাব্যবস্থায়ও তাদের তেমনি প্রান্তিক অবস্থানে রাখা হয়েছে।কোটাব্যবস্থার পক্ষে-বিপক্ষে প্রচুর কথাবার্তা, মতামত, লেখালেখি হয়ে থাকে। বলা বাহুল্য, পক্ষে কম, অধিকাংশ মতামতই বিপক্ষে। নিদেনপক্ষে বিদ্যমান কোটাব্যবস্থার সংস্কার যে কাম্য, তা প্রায় সবাই স্বীকার করেন মুষ্টিমেয় প্রত্যক্ষ সুবিধাভোগী ছাড়া। কোটাব্যবস্থা তরুণসমাজের যে অংশের জন্য চাকরিপ্রাপ্তিকে অনেক কঠিন করে তুলেছে, তাদের মধ্যে এর বিরুদ্ধে রয়েছে প্রবল ক্ষোভ। অনেকে বিষয়টিকে খুব সংবেদনশীল বিবেচনা করে চুপ থাকাই শ্রেয় মনে করেন। আমার মনে হয়, এই বিতর্ক আজ এমন একটা পর্যায়ে পৌঁছেছে যে এ নিয়ে খোলামেলা আলোচনা হওয়া প্রয়োজন এবং কঠিন হলেও এর সংস্কারে পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি। মনে রাখতে হবে, অন্ধ হলেই প্রলয় বন্ধ হবে না।কোটাব্যবস্থা আইনসিদ্ধ কি না-এ প্রশ্ন অনেক সময় উত্থাপিত হয়। এ ব্যাপারে আমাদের সংবিধান কী বলে? সংবিধানের ১৯ (১) ধারা অনুযায়ী, রাষ্ট্র প্রজাতন্ত্রের সব নাগরিকের জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করার চেষ্টা করবে। ২৯ (১) ধারায় আবার বলা হয়েছে, প্রজাতন্ত্রের চাকরিতে সব নাগরিকের সমান অধিকার থাকবে। তবে ক্ষেত্রবিশেষে এর ব্যত্যয় করার ব্যবস্থাও আমাদের সংবিধানে আছে। সংবিধানের ২৯ (৩) ধারায় অনগ্রসর জনগোষ্ঠীকে এগিয়ে নেওয়ার এবং প্রজাতন্ত্রের চাকরিতে তাদের যথাযথ প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করার জন্য বিশেষ সুবিধা দেওয়াকে আইনসম্মত করা হয়েছে। বিদ্যমান কোটাব্যবস্থাকে সংবিধানের এই প্রভিশনের আলোকে বিচার করতে হবে। আমাদের দেখতে হবে, কোটাব্যবস্থার সুবিধা যাদের আমরা দিচ্ছি, চূড়ান্ত বিচারে তারা অনগ্রসর জনগোষ্ঠী হিসেবে বিবেচিত হতে পারে কি না।প্রথমেই আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে তুলনামূলক অনগ্রসরতার মাপকাঠি কী হবে। আমার মনে হয়, যেকোনো জনগোষ্ঠীর সংখ্যার তুলনায় চাকরিতে বা লেখাপড়ায় তাদের তুলনামূলক প্রতিনিধিত্ব যদি কম থাকে, তবে তাদের ওই পরিমাণ অনগ্রসর হিসেবে বিবেচনা করা যায়। কোটার লক্ষ্য যদি হয় অনগ্রসরদের এগিয়ে নিয়ে সামাজিক সমতাবিধান, তাহলে তুলনামূলক প্রতিনিধিত্ব অর্জন না করা পর্যন্ত তাদের ক্ষেত্রে কোটাব্যবস্থা বজায় রাখা আমাদের সংবিধানের আলোকে যথাযথ বলেই মনে হয়।নারী কোটা নিয়েই শুরু করা যাক। আজকাল প্রায়ই দেখি কেউ কেউ বলেন যে নারীরা তো কম মেধাবী নন, আর তা ছাড়া তাঁরা তো প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় বেশ ভালো করছেন, তাহলে আর এই কোটা রাখার যৌক্তিকতা কোথায়? এ কথা যাঁরা বলেন, তাঁদের সবিনয়ে স্মরণ করিয়ে দিতে চাই যে দেশের জনগোষ্ঠীর অর্ধেকই নারী। নিঃসন্দেহে নারীরা আগের তুলনায় অনেক ভালো করছেন, তাঁদের মেধা নিয়েও সন্দেহ করার কোনো সুযোগ নেই। কিন্তু ১০ শতাংশ কোটা থাকার পরও তাঁরা কোনো ক্যাডারেই অর্ধেক চাকরি পাননি। কোটা না থাকলে চিত্রটা কী হতো, তা অনুমান করা কঠিন নয়। নারী কোটা থাকার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে তর্ক তাই অর্থহীন। যে শুভদিনে আমাদের নারীরা কোটা ছাড়াই অর্ধেক চাকরি পাবেন, সেদিন থেকে নারী কোটা তুলে দেওয়া অবশ্যই যুক্তিযুক্ত হবে।৫ শতাংশ উপজাতি কোটা চালু হয়েছে সম্ভবত ১৯৯৭ সাল থেকে। বাংলাদেশের উপজাতি জনসংখ্যা সার্বিক জনসংখ্যার ১ শতাংশের বেশি নয়। বিস্তারিত তথ্য আমার কাছে নেই, তবে এটা দৃশ্যমান যে অনেক ক্যাডার চাকরিতেই উপজাতীয়দের সংখ্যা এখন ১ শতাংশের বেশি। বিষয়টি পর্যবেক্ষণে রেখে কালক্রমে এই কোটা সর্বোচ্চ ২ শতাংশে সীমিত করা যায়।১০ শতাংশ জেলা কোটা আমার কাছে খানিকটা অদ্ভুতই মনে হয়। যে জেলা থেকে ক্যাডার পদে যথোপযুক্ত প্রতিনিধিত্ব আছে, তার কোটা থাকার যৌক্তিকতা কী, তা আমার বোধগম্য হয় না। প্রতিনিধিত্বের বিচারে তলানিতে পড়ে আছে যে জেলাগুলো, শুধু সেই জেলাগুলোকে জেলা কোটার আওতায় রাখা প্রয়োজন। সীমিতসংখ্যক এরূপ জেলার ক্ষেত্রে কোটা বজায় রাখলে সমতাসাধনের লক্ষ্য অর্জন অনেকটা সহজ হতে পারে।মুক্তিযোদ্ধা কোটার ব্যাপারে সরাসরি ভুক্তভোগী ছাড়া সহজে কেউ কিছু বলতে চান না। সংবেদনশীল বিধায় বিষয়টি অনেকেই এড়িয়ে চলেন, পাছে তাঁদের প্রতি কোনোরূপ অসম্মান প্রকাশ পায়। জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ করে যে বীর মুক্তিযোদ্ধারা দেশকে স্বাধীন করেছেন, বাংলাদেশের মানুষ তাঁদের চিরদিন পরম শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ রাখবে। আমি নিশ্চিত, একজনও প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা ব্যক্তিগত লাভ বা পদ-পদবির আশায় যুদ্ধে নামেননি। আর তাই মুক্তিযোদ্ধা কোটায় মুক্তিযোদ্ধার নাতি-নাতনিদের নিয়োগের যথার্থতা নিয়ে আলোচনা হলে তাতে তাঁদের অমর্যাদা হয়, আমার তা মনে হয় না। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রকৃত অমর্যাদা যদি কিছুতে হয়ে থাকে তা হলো বরং গত কয়েক বছরে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার সনদ কেলেঙ্কারি এবং তার মাধ্যমে অনৈতিক সুবিধা নেওয়ার অসুস্থ প্রতিযোগিতা।যুদ্ধোত্তর সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশে প্রশাসন পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় কর্মকর্তার অভাব ছিল। তড়িঘড়ি করে নামমাত্র পরীক্ষা নিয়ে বেশ একটা বড়সংখ্যক মুক্তিযোদ্ধাকে প্রথম শ্রেণির চাকরিতে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল (সংখ্যাটি সম্ভবত ১ হাজার ৩১৪ জন, যাঁদের বড় অংশকে পদায়ন করা হয়েছিল প্রশাসন ও পুলিশে)। আমার মনে হয় (আমার এই ধারণা ভুল হওয়াও সম্ভব) শূন্যপদ পূরণ ছাড়াও বিজয়ীর বেশে ফিরে আসা মুক্তিযোদ্ধাদের অন্তত একাংশকে পুরস্কৃত করাও এই নিয়োগের পেছনে বিবেচ্য ছিল। আমলাতন্ত্রের পরিমণ্ডলে অনুগত একটি গ্রুপ সৃষ্টির লক্ষ্য থাকাও অসম্ভব নয়।যত দূর জানি, অস্ত্র হাতে রণাঙ্গনে যুদ্ধ করেছেন এরূপ মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা কমবেশি দুই লাখ। প্রকৃত সংখ্যাটা আমি জানি না, আমার জানামতে কেউ জানে না। এর মধ্যে বিরাটসংখ্যক ছিলেন ছাত্র, যাঁরা লেখাপড়ায় ফিরে গেছেন। অনেকে অবস্থাপন্ন ঘরের সন্তান, সরকারি চাকরিতে আগ্রহ ছিল না। অনেকের বয়স ছিল বেশি, সরকারি চাকরিতে নিয়োগের মতো নয়। তাঁরা যদি সংখ্যায় মোটামুটি অর্ধেক হয়ে থাকেন, তো এরপর বাকি থাকে এক লাখ। সরকারের প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তা থেকে পিয়ন পর্যন্ত, সেই সঙ্গে পুলিশ আর সেনাবাহিনী মিলিয়ে এই এক লাখ মুক্তিযোদ্ধার সবাইকে পরিকল্পিতভাবে পর্যায়ক্রমে চাকরি দেওয়া সম্ভব ছিল। এটি হতে পারত মুক্তিযোদ্ধাদের একটি সার্বিক পুনর্বাসন প্রকল্প, যা একই সঙ্গে যুদ্ধোত্তর সদ্য স্বাধীন দেশটির সামাজিক স্থিতিশীলতায়ও উল্লেখযোগ্য অবদান রাখতে পারত। পত্রপত্রিকায় বিভিন্ন সময়ে একজন মুক্তিযোদ্ধা ভিক্ষা করছেন বা রিকশা চালাচ্ছেন, এমন খবর দেখার দুর্ভাগ্য আমাদের হয়েছে। উল্লিখিত কার্যক্রম নিলে হয়তো আমরা এরূপ অঘটনকে পাশ কাটাতে পারতাম।যাহোক, এই ‘মুক্তিযোদ্ধা ব্যাচ’-এর নিয়োগের পর যখন সিভিল সার্ভিসে নিয়মিত নিয়োগ শুরু হলো, তখন প্রতি ব্যাচে প্রতি ক্যাডারে মোট নিয়োগের ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা প্রার্থীদের জন্য নির্ধারিত হলো (মেধায় যে মুক্তিযোদ্ধারা চাকরি পাবেন, এই হিসাব তার বাইরে)। দুঃখজনক সত্য হলো, এই সুবিধা বহাল হলো যেদিন থেকে, সেদিন থেকেই শুরু হলো ভুয়া সনদ জোগাড়ের মাধ্যমে এর অপব্যবহার। অসংখ্যবার যাচাই-বাছাই করেও এর হাত থেকে আজও মুক্তি মেলেনি।এই কোটাব্যবস্থার কারণে পরীক্ষায় ভালো ফল করেও যাঁরা কাঙ্ক্ষিত ক্যাডারে স্থান পেতেন না, তাঁরা এতে ক্ষুব্ধ হতেন। অন্যরা ভাবতেন যে আর তো কটা দিন, মুক্তিযোদ্ধাদের চাকরির দরখাস্ত করার বয়স পার হয়ে গেলে বিষয়টা এমনিতেই শেষ হয়ে যাবে। কিন্তু বিষয়টা শেষ হলো না।এক সরকারি নির্দেশে মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তান বা পোষ্যদের এই বিশেষ সুবিধার আওতায় নিয়ে আসা হলো। তাঁদের এবং সেই সঙ্গে সন্দেহজনক অনেক মুক্তিযোদ্ধার নাতি-পুতিরাও এখন এই সুবিধা ভোগ করছেন। এর ফলে সমাজে একটি বিশেষ সুবিধাভোগী শ্রেণির সৃষ্টি হয়েছে। জন্ম, বর্ণ বা বংশপরিচয় বিবেচনায় কাউকে কোনো বিশেষ সুবিধা দেওয়ার ব্যাপারে সংবিধানের নিষেধাজ্ঞা এর মাধ্যমে সুস্পষ্টভাবে লঙ্ঘিত হয়েছে। এর ফলে যে দুর্নীতির একটি নতুন ক্ষেত্রও সৃষ্টি হয়েছে, এ ব্যাপারেও তেমন কোনো দ্বিমত নেই।আমার মনে হয়, সময় হয়েছে কোটাব্যবস্থা নিয়ে একটি যৌক্তিক পরিবর্তিত বিন্যাসে উপনীত হওয়ার পক্ষে খোলামেলা আলোচনা শুরু করার। অস্ত্র হাতে মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা যদি কমবেশি দুই লাখ হয়ে থাকে, তখন তাঁরা ছিলেন মোট জনসংখ্যার শূন্য দশমিক ৩ শতাংশ। বৈবাহিক সূত্রে সম্ভবত সমসংখ্যক মানুষ তাঁদের পরিবারভুক্ত হয়েছেন। তাহলে সংখ্যাটা দাঁড়াচ্ছে শূন্য দশমিক ৬। অর্থাৎ রাষ্ট্র ১ শতাংশের কম মানুষের ছেলেপুলে, নাতি-পুতিদের জন্য চাকরির ৩০ শতাংশ পদ নির্দিষ্ট করে রেখেছে (যে ছেলেপুলে, নাতি-পুতিদের কোনো ব্যক্তিগত অবদান নেই একমাত্র মুক্তিযোদ্ধার পরিবারে জন্ম নেওয়া ছাড়া)। এরূপ প্রবল বৈষম্যমূলক একটি ব্যবস্থা প্রজাতন্ত্রের মূল চেতনার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।খোলামেলা আলোচনার লক্ষ্যে আমি একগুচ্ছ প্রস্তাব রাখছি: ক. চাকরিতে মেধাভিত্তিক নিয়োগ বাড়িয়ে ৭০ শতাংশ করা হোক;খ. মেয়েদের কোটা ১০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করা হোক। এই ব্যবস্থা তত দিন বহাল থাকবে, যত দিন না শুরুর পর্যায়ে তাদের নিয়োগ কমবেশি ৫০ শতাংশে পৌঁছায়;গ. মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের জন্য বিশেষ সুবিধা হিসেবে বরাদ্দ করা হোক ৫ শতাংশ চাকরি। মেধায় যাঁরা আসবেন, তাঁরা এর বাইরে থাকবেন। নাতি-পুতিদের এই সুবিধা সম্পূর্ণ বাতিল করা হোক।ঘ. জেলা কোটা ১০ শতাংশের স্থলে ৬ শতাংশ বহাল থাকুক, তবে এই সুবিধার আওতায় থাকবে শুধু সেই সব জেলা, চাকরিরতদের মধ্যে যাঁদের প্রতিনিধিত্ব জনসংখ্যার অনুপাতের তুলনায় ৮০ শতাংশের কম।ঙ.৫ শতাংশের পরিবর্তে ২ শতাংশ কোটা বরাদ্দ হোক উপজাতীয়দের জন্য। তাঁদের প্রকৃত সংখ্যার তুলনায় এটা যথেষ্ট;চ. বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী প্রায় ১৫ শতাংশ মানুষ কোনো না কোনো প্রকারে প্রতিবন্ধী। তার মধ্যে ২-৪ শতাংশ মানুষ গুরুতর প্রতিবন্ধী। একটি প্রতিবন্ধীবান্ধব সমাজ নির্মাণের লক্ষ্যে তাদের জন্য ন্যূনতম ২ শতাংশ কোটা নির্দিষ্ট থাকুক, অন্যান্য কোটার অব্যবহৃত অংশ থেকে নয়।আমার এসব প্রস্তাবই যে সর্বোৎকৃষ্ট, এমন দাবি করার ধৃষ্টতা আমার নেই। এ নিয়ে চর্চা হোক, এই আমার প্রত্যাশা। আমি আশাবাদী, এর চেয়ে আরও ভালো সমাধান নিশ্চয় বেরিয়ে আসবে।মো. তৌহিদ হোসেন: সাবেক পররাষ্ট্রসচিব | 357,041 |
অনলাইন ডেস্ক | entertainment | বিনোদন | ২৫ নভেম্বর ২০১৫, ২৩:০৭ | ২৫ নভেম্বর ২০১৫, ২৩:১৯ | আইন ও বিচার,বলিউড | null | আমির খানের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা | http://www.prothom-alo.com/entertainment/article/694267 | মন্তব্য করে বিতর্কে জড়িয়ে পড়া বলিউড তারকা আমির খানের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা হয়েছে। কানপুরের স্থানীয় একটি আদালতে আজ বুধবার আমিরের বিরুদ্ধে মামলাটি করেন আইনজীবী মনোজ কুমার দীক্ষিত। দ্য হিন্দু অনলাইনের খবরে এ কথা জানানো হয়। মনোজ কুমারের অভিযোগ, অসহিষ্ণুতা নিয়ে আমির খানের মন্তব্য সমাজে এক ধরনের আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে এবং এতে সাম্প্রদায়িক অস্থিরতা সৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে। আগামী ১ ডিসেম্বর এ মামলার শুনানি হবে। আমির খান সম্প্রতি জানিয়েছেন, ভারতে চলমান অসহিষ্ণুতায় তাঁর স্ত্রী কিরণ রাও সন্তানদের নিরাপত্তা নিয়ে ভীত হয়ে পড়েছেন। আমির খান বলেন, সন্তানদের নিরাপত্তার প্রয়োজনে কিরণ তাঁকে দেশ ছাড়তে বলেছেন। এ প্রসঙ্গে আমির জানিয়েছেন, তিনি ভারতের এই ক্রমবর্ধমান অসহিষ্ণুতায় শঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। বেশ কিছু দিন ধরে তিনি এই বিষয়টি লক্ষ্য করছেন যে এমন ঘটনা দিন দিন বেড়েই চলেছে। তিনি জানান, ইদানীং দৈনিক সংবাদপত্র পড়তেও তিনি ভয় পান। আমির খানের বক্তব্যের সঙ্গে পুরোপুরি সহমত প্রকাশ করেছেন অস্কারজয়ী ভারতীয় সংগীত পরিচালক এ আর রাহমান। আমির খান এ ব্যাপারে পাশে পেয়েছেন আরও অনেককে। আজ ভারতের সমাজবাদী দলের প্রধান মুলায়ম সিং যাদবও আমিরের পাশে দাঁড়িয়েছেন।আরও পড়ুনআমিরকে ভারত ছাড়ার কথা বলেন কিরণ! | 177,394 |
নিজস্ব প্রতিবেদক | bangladesh | বাংলাদেশ | ১৮ এপ্রিল ২০১৪, ০০:০১ | ১৮ এপ্রিল ২০১৪, ০০:০৭ | মহানগর,রাজধানী (জাতীয়) | 0 | ছয় হাজার কোটি টাকার নিরীক্ষা আপত্তি | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/195001 | সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও দপ্তরের ১৭টি নিরীক্ষা ও হিসাব প্রতিবেদন রাষ্ট্রপতির কাছে জমা দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এসব প্রতিবেদনে ছয় হাজার ১৯৫ কোটি টাকার নিরীক্ষা আপত্তি রয়েছে। এর মধ্যে চারটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকেরই নিরীক্ষা আপত্তি রয়েছে দুই হাজার ১৫৬ কোটি টাকার।বাংলাদেশের মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক (সিএজি) মাসুদ আহমেদ গত মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এসব নিরীক্ষা ও হিসাব প্রতিবেদন হস্তান্তর করেন।২০০৯-১০ ও ২০১০-১১ অর্থবছরের ওপর এই ১৭টি নিরীক্ষা ও হিসাব প্রতিবেদন প্রস্তুত করা হয়েছে। এর মধ্যে ছয়টি বার্ষিক নিরীক্ষা, ছয়টি বিশেষ নিরীক্ষা, দুটি ইস্যুভিত্তিক, একটি পারফরম্যান্স নিরীক্ষা ও দুটি হিসাব নিরীক্ষা প্রতিবেদন রয়েছে। এতে ২৮৫টি আপত্তি ও পর্যবেক্ষণ রয়েছে।জানা গেছে, এর মধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত চারটি ব্যাংকের ২০১০-১১ অর্থবছরের নিরীক্ষায় সোনালী ব্যাংকের ৬৬৩ কোটি, অগ্রণী ব্যাংকের ৭১৩ কোটি এবং জনতা ও রূপালী ব্যাংকের ৭৮০ কোটি টাকার আপত্তি তোলা হয়েছে। | 66,753 |
আশরাফুল ইসলাম | economy | অর্থনীতি | ২৪ আগস্ট ২০১৭, ০১:০৩ | ২৪ আগস্ট ২০১৭, ০১:০৪ | -1 | null | আন্তর্জাতিক কলে আয় বৃদ্ধির প্রস্তাব হিমাগারে | http://www.prothom-alo.com/economy/article/1300211 | আন্তর্জাতিক কল ব্যবসা থেকে সরকারের আয় বাড়াতে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) কয়েকটি প্রস্তাবের বিষয়ে চার মাসেও কোনো অগ্রগতি হয়নি। বিষয়টি নিয়ে সিদ্ধান্তহীনতার কারণে আন্তর্জাতিক কল ব্যবসা থেকে গত দুই বছরে সরকারের ক্ষতি ২ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে। আর সরকারসহ সব পক্ষকে বঞ্চিত করে এই খাত থেকে আন্তর্জাতিক গেটওয়ে (আইজিডব্লিউ) অপারেটরদের বাড়তি আয়ের পরিমাণ বেড়েই চলেছে।আন্তর্জাতিক কল রেট নিয়ে একটি সিদ্ধান্তে আসার জন্য গত বছরের ডিসেম্বরে বিটিআরসিকে দায়িত্ব দেয় ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ। এরপর বিটিআরসি একটি ১৩ সদস্যের কমিটি গঠন করে। এই কমিটিতে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ, বিটিআরসি ছাড়াও অর্থ মন্ত্রণালয় ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) প্রতিনিধিও রাখা হয়। কমিটি আইজিডব্লিউ, মোবাইল ফোন অপারেটর, আইসিএক্সসহ (ইন্টার কানেকশন এক্সচেঞ্জ) সব পক্ষের মতামত নিয়ে বেশ কিছু সুপারিশ তৈরি করে।বিটিআরসির সুপারিশের প্রথমেই ছিল কল ব্যবসা থেকে সরকারের আয়ের ভাগ ৪০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৪৩ শতাংশ করা। আরেকটি সুপারিশ ছিল বিদেশি কল আনার সর্বোচ্চ মূল্য ২ টাকা ৮০ পয়সা থেকে ১ টাকা ২৮ পয়সায় নামিয়ে আনা।কল আনার সর্বনিম্ন মূল্য ১ টাকা ৬০ পয়সা থেকে কমিয়ে ১ টাকা ২০ পয়সা করার সুপারিশ করে বিটিআরসি। একই সঙ্গে সর্বনিম্ন মূল্যে, অর্থাৎ ১ টাকা ২০ পয়সা হিসেবে সরকারসহ সব পক্ষের সঙ্গে আয় ভাগাভাগির প্রস্তাব করা হয়। বর্তমানে আইজিডব্লিউ অপারেটররা ১ টাকা ৬০ পয়সা দরে বিদেশ থেকে কল আনলেও আয় ভাগাভাগি হচ্ছে ১ টাকা ২০ পয়সা দরে।বর্তমানে বিদেশ থেকে আসা প্রতি এক মিনিট কল থেকে যে আয় হয়, তার ৪০ শতাংশ সরকার, ১৭ দশমিক ৫ শতাংশ আইসিএক্স, ২২ দশমিক ৫ শতাংশ মুঠোফোন অপারেটর আর বাকি ২০ শতাংশ আইজিডব্লিউ কোম্পানিগুলো পেয়ে থাকে। নতুন নিয়ম কার্যকর হলে সরকার ৪৩ শতাংশ, আইজিডব্লিউ অপারেটর ১৮ শতাংশ এবং মুঠোফোন অপারেটর পাবে ২১ দশমিক ৫ শতাংশ। আইসিএক্স অপারেটরের আয়ের অনুপাত আগের মতোই থাকবে।খাত সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, ২০১৫ সালের ২৪ জুন থেকে আন্তর্জাতিক কল ব্যবসা পরিচালনার দায়িত্ব আইওএফ (আইজিডব্লিউ অপারেটর ফোরাম) নামের বেসরকারি একটি ব্যবসায়ী গোষ্ঠীর নিয়ন্ত্রণে চলে যাওয়ার পর থেকে কলের সংখ্যা কমতে শুরু করে। আইওএফ গঠনের তিন মাস পর কলরেট ১ টাকা ২০ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ১ টাকা ৬০ পয়সা করা হয়। কলরেট বাড়লেও তখন থেকেই বাড়তি আয় হওয়া ৪০ পয়সা পাচ্ছে শুধু আইজিডব্লিউ অপারেটররা।জানতে চাইলে আইওএফের উপপ্রধান নির্বাহী খন্দকার মাজহারুল হক কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে একটি আইজিডব্লিউর একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রথম আলোকে বলেন, এখন পর্যন্ত আইওএফ সব কাজ আইনের মধ্যে থেকে করেছে। অবৈধ ভিওআইপি ও অ্যাপভিত্তিক কলের কারণে আন্তর্জাতিক কলের সংখ্যা কমছে। অবৈধ ভিওআইপি ঠেকানোর দায়িত্ব বিটিআরসির। এ বিষয়ে যেকোনো সহযোগিতা আইওএফ করবে।বিটিআরসির দায়িত্বশীল কোনো কর্মকর্তা এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।মোবাইল ফোন অপারেটরদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব মোবাইল টেলিকম অপারেটরস অব বাংলাদেশের (অ্যামটব) এক হিসাব অনুযায়ী, ২০১৫ সালের জুন থেকে ২০১৬ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত শুধু এই খাতে সরকারের সরাসরি আর্থিক ক্ষতি হয়েছে ৬৩০ কোটি টাকা। আর কলের সংখ্যা কমে যাওয়া এবং আয়ের ভাগ না পাওয়ায় আরও ১ হাজার ৪০০ কোটি টাকা আয়ের সুযোগ হারিয়েছে সরকার। চলতি বছরের আট মাসে সরকারের এই আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ আরও বেড়েছে।দেশে বর্তমানে মোট লাইসেন্সপ্রাপ্ত আইজিডব্লিউ রয়েছে ২৯টি। এর মধ্যে ২২টির কার্যক্রম বর্তমানে চালু আছে। কল কমেছে ৪০ শতাংশবিটিআরসির হিসাব অনুযায়ী, এখন প্রতিদিন বৈধ পথে গড়ে সাড়ে ৬ কোটি মিনিট কল আসছে। ২০১৫ সালে প্রতিদিন গড়ে ১১ কোটি মিনিটের বেশি কল আসত। অর্থাৎ, দুই বছরে কল আসা কমেছে ৪০ শতাংশের বেশি। | 334,744 |
নিজস্ব প্রতিবেদক | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৮ এপ্রিল ২০১৫, ১৪:১৫ | ২৮ এপ্রিল ২০১৫, ২০:৫৬ | সিটি নির্বাচন | null | পুলিশের বন্দুক ভেঙেছে, প্রিসাইডিং কর্মকর্তা আহত | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/514972 | ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আজ মঙ্গলবার ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাফরুল উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে পুলিশের দুটি বন্দুকই ভেঙে ফেলেছে হামলাকারীরা। তাদের সঙ্গে পুলিশের পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনায় কেন্দ্রটির প্রিসাইডিং কর্মকর্তা মাজহারুল ইসলাম চোখে আঘাত পেয়েছেন। একই সঙ্গে তিনজন পোলিং অফিসার, ১০-১২ জন ভোটার ও পুলিশের দুজন কনস্টেবলও আহত হয়েছেন। এর মধ্যে লিয়াকত নামের এক কনস্টেবলকে পুলিশ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।জানা গেছে, হামলাকারীরা বেলা ১১টার দিকে কেন্দ্রটি দখল করে জাল ভোট দিতে থাকে। তারা ২০-৩০টি ব্যালট বাক্সও ভেঙে ফেলে। তাদের সঙ্গে পুলিশের আধা ঘণ্টা ধরে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া চলে। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। দুপুর ১২টার দিকে ভোটগ্রহণ বাতিল ঘোষণা করা হয়। পরে নির্বাচন কমিশন, পুলিশের মিরপুর জোন ও র্যাবের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে আসেন এবং এক ঘণ্টারও বেশি সময় পরে আবার ভোটগ্রহণ শুরু হয়।এ হামলার ঘটনায় আওয়ামী লীগ-সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী মাহমুদা বেগম একই দলের বিদ্রোহী প্রার্থী মতিউর রহমান মোল্লা অনুসারীদের দায়ী করেন। অন্যদিকে মতিউর রহমান মোল্লার অনুসারীরা দায়ী করেন মাহমুদা বেগমকে।সংঘর্ষের সময়ে পুলিশ পাঁচজনকে আটক করেছে। এ ছাড়া তারা প্রার্থী মাহমুদা বেগমের স্বামী শামীম আহমেদ ও ভাই মাহবুব আলী রানাকে বেধড়ক পিটিয়ে কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়। | 134,780 |
ডা. রাহনুমা পারভীন | life-style | জীবনযাপন | ৩১ ডিসেম্বর ২০১৬, ০২:৪১ | ৩১ ডিসেম্বর ২০১৬, ০২:৪৩ | আমার ডাক্তার | 0 | ক্যানসার রোধে কী খাবেন | http://www.prothom-alo.com/life-style/article/1049927 | একসময় ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়াকে ভাগ্যের লিখন বলেই মেনে নেওয়া হতো। কিন্তু গবেষণা বলছে, বেশির ভাগ ক্যানসারের ঝুঁকির অন্যতম কারণ অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন পদ্ধতি, স্থূলতা ও অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস। তার মানে চাইলে এই প্রাণঘাতককে প্রতিরোধ করা সম্ভব। তার জন্য চাই ধূমপান সম্পূর্ণভাবে বর্জন, স্বাস্থ্যসম্মত খাদ্যাভ্যাস, নিয়মিত ব্যায়াম ও সুশৃঙ্খল জীবনযাপন।প্রক্রিয়াজাত মাংস (হ্যাম, বেকন, সসেজ ইত্যাদি), লাল মাংস (গরু, খাসি, ভেড়া) এবং লবণ দিয়ে সংরক্ষণকৃত খাদ্য সরাসরি ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ায়। যুক্তরাজ্যের ক্যানসার রিসার্চ ইউকে বলছে, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস থেকে অন্তত ছয় ধরনের ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ে। এগুলো হলো মুখগহ্বর, গলা, কণ্ঠনালি, ফুসফুস, পাকস্থলী ও অন্ত্রের ক্যানসার। আর ফলমূল, শাকসবজি ও আঁশসমৃদ্ধ খাবার ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়। ক্যানসার প্রতিরোধে চাই একটি সুষম স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস। খাদ্যতালিকায় যোগ করুন নানা ধরনের রঙিন শাকসবজি, ফলমূল, বাদাম, গোটা শস্যের তৈরি খাবার ও শিমজাতীয় সবজি। এসবে আছে প্রচুর অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট (বিটা ক্যারোটিন, ভিটামিন সি, ভিটামিন ই), ফলেট, সেলেনিয়াম, ফ্লাভনয়েড, লাইকোপিনসহ বিভিন্ন উপাদান, যা ক্যানসার রোধে কার্যকর। কী ধরনের খাবার ক্যানসারের ঝুঁকি কমায় তার একটি তালিকা: * প্রচুর ফলমূল পাকস্থলী ও ফুসফুসের ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়* কমলা, কমলার রস, পেঁপে ফুসফুসের ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়* রসুন, বিভিন্ন ধরনের পেঁয়াজ, পেঁয়াজপাতা ও কলি পাকস্থলী, অন্ত্র ও পায়ুপথের ক্যানসার রোধ করে* ক্যারোটিনয়েডসমৃদ্ধ সবজি, যেমন: গাজর, মিষ্টি আলু, পালংশাক, গাঢ় সবুজ শাকসবজি ইত্যাদি ফুসফুস, মুখগহ্বর, কণ্ঠনালি ও খাদ্যনালির ক্যানসার রোধ করে* শর্করাবিহীন সবজি, যেমন: ফুলকপি, ব্রোকলি, শসা, মাশরুম, শিম ইত্যাদি পাকস্থলী ও খাদ্যনালির ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়* ভিটামিন সি-যুক্ত খাবার, যেমন: কমলা, জাম, মটর, ক্যাপসিকাম ইত্যাদি খাদ্যনালির ক্যানসার কমায় * লাইকোপেনসমৃদ্ধ খাবার, যেমন: টমেটো, পেয়ারা, তরমুজ ইত্যাদি প্রস্টেট ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়।তাই ক্যানসার রুখতে প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় বিভিন্ন ধরনের সবুজ ও রঙিন শাকসবজি রাখুন। যতটা সম্ভব কাঁচা ও খোসাসহ খান, অথবা অল্প তাপে রান্না করুন।মেডিসিন বিশেষজ্ঞ, এক্স ফেলোন্যাশনাল ক্যানসার সেন্টার, সিঙ্গাপুর | 278,868 |
-1 | sports | খেলা | ০৭ আগস্ট ২০১৫, ০২:০৮ | ০৭ আগস্ট ২০১৫, ০২:১০ | খেলা,আন্তর্জাতিক ফুটবল | 0 | রিভার প্লেটকে ‘ঈশ্বরের পুরস্কার’ | http://www.prothom-alo.com/sports/article/595786 | দুঃস্বপ্নের সেই ইতিহাস বেশি দিন আগের নয়। ক্লাব ইতিহাসে প্রথমবারের মতো আর্জেন্টাইন ফুটবলের প্রথম বিভাগ থেকে নেমে যেতে হয়েছিল ২০১১ সালে। পুনরুত্থানের দুর্দান্ত এক গল্প লিখে কী দারুণভাবেই না সেই অন্ধকার অধ্যায় থেকে ফিরে এল রিভার প্লেট! চার বছরের মধ্যেই আর্জেন্টাইন ক্লাবটি জিতে নিল দক্ষিণ আমেরিকার ক্লাব ফুটবলের শ্রেষ্ঠত্বসূচক কোপা লিবার্তাদোরেস।গত বুধবার বুয়েনস এইরেসে ফাইনালের দ্বিতীয় লেগে মেক্সিকোর তিগ্রেসকে ৩-০ গোলে হারিয়ে এসেছে এই শিরোপা। মেক্সিকোতে প্রথম লেগটি ছিল গোলশূন্য। তৃতীয়বারের মতো মহাদেশীয় সেরা হলো রিভার প্লেট, যাতে অবসান প্রায় ১৯ বছরের অপেক্ষার।৪৪টি ফাউল ও ৯টি হলুদ কার্ড, যার মধ্যে পাঁচটিই প্রথম ২৫ মিনিটে—বৃষ্টিভেজা ভারী মাঠে খেলাটি কেমন নাটকীয় ছিল, এই পরিসংখ্যানই তা বলে দিচ্ছে। তবে পুরো ম্যাচে আধিপত্য ছিল রিভার প্লেটেরই। ৪৫ মিনিটে আলারিও প্রথম গোলটি করেন। দ্বিতীয়ার্ধের ৭৫ থেকে ৭৯—চার মিনিটের মধ্যে কার্লোস সানচেজ ও রামিরো মোরি বাকি দুটি।পুরো টুর্নামেন্টেই অবশ্য নাটকীয়তা ঘিরে রেখেছিল রিভার প্লেটকে। নকআউট পর্বে খেলাই অনিশ্চিত ছিল দলটির। শেষ ষোলোতে খেলতে তাদের ‘সাহায্য’ করেছে তিগ্রেসই। গ্রুপের শেষ ম্যাচে তিগ্রেস পেরুর ক্লাব হুয়ান অরিচকে হারানোতেই নকআউটে খেলা নিশ্চিত হয় রিভার প্লেটের। কোয়ার্টার ফাইনালে জয়ও চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী বোকা জুনিয়র্সের সমর্থকদের ‘বোকামি’তেই। প্রথম লেগে ১-০ গোলে জিতেছিল বোকা, নিজেদের মাঠে দ্বিতীয় লেগের প্রথমার্ধ গোলশূন্য। এর মধ্যেই বোকার সমর্থকেরা খেলোয়াড়দের দিকে ‘পেপার স্প্রে’ ছুড়তে শুরু করলে খেলা বন্ধ হয়ে যায়। ম্যাচে এগিয়ে থাকা সত্ত্বেও শৃঙ্খলাভঙ্গের দায়ে টুর্নামেন্ট থেকে বাদ পড়ে যায় বোকা জুনিয়র্স।শিরোপা জেতার পর ভাগ্যকেও তাই ধন্যবাদ জানাতে ভুললেন না রিভার প্লেটের কোচ মার্সেলো গালার্দো, ‘এটা সহজ ছিল না। আমরা অনেকগুলো বাধা পেরিয়েছি। ঈশ্বর আমাদের পুরস্কার দিয়েছেন।’ এএফপি। | 158,228 |
-1 | sports | খেলা | ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৪, ০২:০৫ | ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৪, ০২:০৫ | খেলা,আন্তর্জাতিক ক্রিকেট | null | কেয়ার্নস ভারতের পক্ষে এবং বিপক্ষে! | http://www.prothom-alo.com/sports/article/138385 | এক দিকে ভারতকে পিষে মারার কথা বলছেন। আবার ভারতের হয়ে সাফাইও গাইছেন ক্রিস কেয়ার্নস!বোঝাই যাচ্ছে, নিউজিল্যান্ডের সাবেক বিতর্কিত অলরাউন্ডারের ভারত বিরোধিতা মাঠের লড়াই নিয়ে। তবে মাঠের বাইরে আইসিসি নিয়ে তিন ‘জমিদারে’র বিস্ময়কর প্রস্তাবের ব্যাপারে ভারতকে অকুণ্ঠ সমর্থনই জানাচ্ছেন তিনি।দ্রুতগতির বাউন্সি উইকেটে ওয়ানডে সিরিজে ভারতকে বিধ্বস্ত করেছে নিউজিল্যান্ড। টেস্ট সিরিজেও ভারতকে একই রেসিপিতেই নাজেহাল করতে চাইছে কিউইরা। কেয়ার্নসেরও চাওয়া সবুজ উইকেট বানিয়ে ভারতকে বিধ্বস্ত করুক নিউজিল্যান্ড।ওয়ানডে সিরিজের ফল সবাইকে চমকে দিয়েছে জানিয়ে কেয়ানর্স ক্রীড়া ওয়েবসাইট ‘স্টাফ ডট কম ডট এনজেড’-এ নিজের কলামে লিখেছেন, ‘জানুয়ারিতে ভারতের মতো দলের বিপক্ষে ৪-০ ফলের কথা বললে, অনেকে আপনাকে উন্মাদ বা পাগল বলত। কিন্তু আমরা সেটা পেরেছি।’টেস্ট সিরিজের আগেও উত্তরসূরিদের নিয়ে একই রকম আত্মবিশ্বাসী ৪৩ বছর বয়সী কেয়ার্নস। শর্ত একটাই, উইকেট হতে হবে সবুজ, ‘এখন আমাদের মনোযোগ দিতে হবে দুই টেস্টের সিরিজে। খেলোয়াড়েরা মাঠে তাদের আকাঙ্ক্ষা এবং সাহস ওয়ানডে সিরিজে দেখিয়েছে। এখন বাউন্সি উইকেট বানিয়ে নিউজিল্যান্ড ক্রিকেটকে দেখাতে হবে খেলোয়াড়েরা ঠিক সে রকমই আছে।’তবে দ্রুতগতির উইকেটে প্রতিপক্ষ পেসাররাও বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারেন বলে উত্তরসূরিদের সতর্কও করছেন ৬২ টেস্ট ও ২১৫টি ওয়ানডে খেলা কেয়ার্নস। বিশেষ করে অভিজ্ঞ জহির খানের নাম বলেছেন স্পষ্ট করেই।বিরোধিতার ব্যাপারটা সরিয়ে রেখে কেয়ানর্স এরপর সেই ভারতের সাফাই গেয়েছেন। ‘বিগ থ্রি’র বিতর্কিত প্রস্তাবে এরই মধ্যে সম্মতি দিয়েছে নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট। বোর্ডের অবস্থানকে সমর্থন করে কেয়ানর্স বলেছেন ‘বিগ থ্রি’র প্রস্তাব অনুযায়ী আর্থিকভাবে লাভবানই হবে নিউজিল্যান্ড, ‘আমি বিশ্বাস করি, এনজেডসি সদস্য মার্টিন স্নেডেন দেরি না করে ‘বিগ থ্রি’র পাশে দাঁড়ানোর যে কৌশল নিয়েছে, সেটা যথার্থ। বিশ্বে আর কোনো খেলা নেই, যেখানে সেটির বৈশ্বিক আয়ের ৮০ শতাংশের উৎসই একটি দেশ।’ ওয়েবসাইট। | 48,495 |
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা | bangladesh | বাংলাদেশ | ১১ জুন ২০১৮, ১৮:২৯ | ১১ জুন ২০১৮, ১৮:৩২ | -1 | null | ‘গৃহকর্মী হিসেবে মেয়েদের কেন পাঠাতে হবে?’ | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1507821 | বিদেশফেরত নারীদের পাশে রাষ্ট্রসহ সবাইকে আহ্বান জানিয়ে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক বলেছেন, বাংলাদেশি নারীদের কেন গৃহকর্মী হিসেবে বিদেশে পাঠাতে হবে, যেখানে তাঁরা নিরাপদ নন? বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাক এবং লেদার-গুডস অ্যান্ড ফুটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (এলএফএমইএবি) যৌথ উদ্যোগে বিদেশফেরত নারীদের সহায়তা ও সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান এ আহ্বান জানান। আজ সোমবার সকালে ব্র্যাক সেন্টারে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে কাজী রিয়াজুল হক বলেন, ‘বিদেশফেরত নারীদের আর কত কান্না আমরা শুনব? মধ্যপ্রাচ্যে নারীরা শারীরিক, মানসিক এবং যৌন নিপীড়নের শিকার হচ্ছেন। ফিলিপাইন, শ্রীলঙ্কা যখন নারী কর্মী পাঠানো কমিয়ে দিচ্ছে, কেন আমরা গৃহকর্মী পাঠাচ্ছি? গৃহকর্মে তো মানুষ নিরাপদ নয়। আর সৌদি আরবে তো তারা পরিবার-পরিজনের সঙ্গে কথা বলতে পারে না।’ কাজী রিয়াজুল হক বলেন, মানুষ তো পণ্য নয়। প্রত্যেক মানুষের মানবাধিকার ও মর্যাদা নিশ্চিত করতে হবে। এটা সরকারের দায়িত্ব। দেশের ভেতর যদি শুধু পোশাক খাতেই ৪০ লাখ নারীর কাজ করতে পারেন, তাহলে কেন বিদেশে গৃহকর্মী পাঠাতে হবে? মানুষের যদি অধিকার নিশ্চিত না হয়, তাহলে কোনো উন্নয়নে কাজ হবে না। নারী কর্মী পাঠানোর আগে অবশ্যই নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। বিদেশফেরত নারীদের পাশে প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ সবাইকে থাকার আহ্বান জানিয়ে কাজী রিয়াজুল হক বলেন, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের কথা শুনতে হবে। শুধু বেসরকারি প্রতিষ্ঠান কেন সরকারকেও এগিয়ে আসতে হবে। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন ব্র্যাকের পরিচালক (অ্যাডভোকেসি ফর সোশ্যাল চেঞ্জ, টেকনোলজি অ্যান্ড পার্টনারশিপ স্ট্রেনদেনিং ইউনিট) কে এম মোরশেদ। তিনি বলেন, এ রকম নির্যাতন চলতে পারে না। কেউ যদি বলে নির্যাতন হচ্ছে না, তাহলে তাঁরা অসত্য বলছেন। আর এত নির্যাতনের পরেও কেন সৌদি আরবে নারীরা যেতে চাচ্ছেন বা পাঠানো হবে, সেটা খতিয়ে দেখা উচিত। লেদার-গুডস অ্যান্ড ফুটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (এলএফএমইএবি) প্রেসিডেন্ট সায়ফুল ইসলাম বলেন, ‘বাংলাদেশ এখন মধ্য আয়ের দেশ। বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশে আমরা কেন এভাবে বিদেশে গৃহকর্মী পাঠাব যেখানে তারা নির্যাতিত হবে? আমরা চাই আমাদের নারীরা সম্মান ও মর্যাদা নিয়ে বাঁচুক। আমরা চাই অন্য সব খাতের ব্যবসায়ীরাও এভাবে এগিয়ে আসুক।’ সাম্প্রতিক সময়ে সৌদি আরবে বিপদে পড়া এবং ফেরত আসা এই নারী কর্মীদের সহায়তা দিতে জরুরি সহায়তা কর্মসূচি নিয়েছে ব্র্যাক।ব্র্যাকের অভিবাসন কর্মসূচির প্রধান শরিফুল ইসলাম হাসান এর যৌক্তিকতা তুলে ধরে বলেন, বাংলাদেশ থেকে যেসব নারী বিদেশে কাজ করতে যান, অধিকাংশই দরিদ্র। ভাগ্যবদলের আশায় বিদেশে যাওয়া এই নারীদের অনেকেই শূন্য হাতে ফেরত আসছেন। শরীরে তাঁদের নির্যাতনের ক্ষত অনেকে বিপর্যস্ত। বিমানবন্দর থেকে তাঁদের অনেকের বাড়ি যাওয়ার খরচও থাকছে না। ব্র্যাক তাঁদের বাড়ি যাওয়ার খরচের পাশাপাশি সাময়িকভাবে থাকা ও খাওয়ার ব্যবস্থা, জরুরি স্বাস্থ্যসেবা, মনোসামজিক কাউন্সেলিং প্রদান করছে। তবে ফিরে আসা বেশ কয়েকজন নারী কর্মী মানসিক সংকটে পড়ছেন। অনেকে পরিবারে ফিরতে পারছে না বা পরিবার নিতেও চাচ্ছে না। সমাজও তাঁদের স্বাভাবিকভাবে নিচ্ছে না। এর ফলে নির্যাতনের শিকার হয়ে দেশে ফিরে আসা নারীরা পারিবারিক ও সামাজিকভাবে ফের ঝুঁকিতে পড়ছেন। অথচ তাঁরা যখন বিদেশ থেকে টাকা পাঠান, সবাই সেটা গ্রহণ করেন। আলোচনা অনুষ্ঠান শেষে বিদেশে ফেরতদের পুনরেকত্রীকরণে ব্র্যাক ও এলএফএমইএবির মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। এলএফএমইএবির পক্ষে সভাপতি মো. সায়ফুল ইসলাম এবং ব্র্যাকের পক্ষে অভিবাসন কর্মসূচির প্রধান শরিফুল ইসলাম হাসান এতে স্বাক্ষর করেন। অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ভাগ্য বদলাতে যে নারীরা বিদেশে যাচ্ছেন, একটু সুখের আশায় সেখানে বেতন তো পাচ্ছেনই না, উল্টো অনেক সময়ই তাদের কপালে জুটছে নির্যাতন নিপীড়নের ঘটনা। সৌদি আরব থেকে নির্যাতিত হয়ে দেশে ফেরা এই নারীদের সংখ্যা বাড়ছেই।বর্তমানে মধ্যপ্রাচ্যসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ৭ লাখ ৩৫ হাজার ৫৭৫ জন নারী কর্মরত আছেন। এঁদের মধ্যে সৌদি আরবে গেছেন ২ লাখ ৩৪ হাজার ৮৩১ জন নারী। বিশেষ করে ২০১৫ সালে সমঝোতা হওয়ার পর দুই লাখের বেশি নারী বিদেশে গেছেন। তাঁদের অনেকেই সংকটে পড়ে দেশে ফিরে আসতে বাধ্য হয়েছেন। তবে এ পর্যন্ত চাকরি শেষ করে বা প্রতারণার শিকার হয়ে কতজন নারী শ্রমিক দেশে ফেরত এসেছে তার কোনো সুনির্দিষ্ট তথ্য কারও কাছে নেই। অবশ্য গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত তিন বছরে প্রায় পাঁচ হাজার নারী ফেরত এসেছে। এর মধ্যে অন্তত এক হাজার ফিরেছে এ বছরই। চলতি বছরের মে থেকে ১০ জুন পর্যন্ত শুধু সৌদি আরবের রিয়াদের ইমিগ্রেশন ক্যাম্প থেকে দেশে ফিরেছেন ৩৬০ জন নারী কর্মী। একই ধরনের নির্যাতনের শিকার নারী কর্মীকে নিরাপদে দেশে ফেরত আনার জন্য ব্র্যাক মাইগ্রেশন প্রোগ্রাম থেকে ১২৫ জনের জন্য লিখিত আবেদন করা হয় ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডে। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ইতিমধ্যে ৯০ জন কর্মী নিরাপদে দেশে ফিরেছেন আর বাকিরা দেশে ফেরার অপেক্ষায় আছেন। বিদেশে ফেরত নারীদের সমস্যা সমাধানে ব্র্যাকসহ অভিবাসন নিয়ে কাজ করা ১১টি সংগঠন আজ সকালে প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব নমিতা হালদারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে নারীদের নিরাপত্তা রক্ষায় কয়েকটি সুনির্দিষ্ট দাবি তুলে ধরেছে। এর মধ্যে রয়েছে সংকট সমাধানে সৌদি আরবসহ বিদেশে কাজ করতে যাওয়া প্রতিটি নারী শ্রমিকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে দ্বিপক্ষীয় চুক্তির মাধ্যমে গন্তব্য দেশের আইন অনুযায়ী আইনি সুরক্ষা, নির্যাতনকারীদের আইনের আওতায় এনে বিচারের মুখোমুখি করা, ক্ষতিপূরণ, স্বাস্থ্যসেবা ও প্রাপ্য মজুরি নিশ্চিত করা, পুনরেকত্রীকরণের ব্যবস্থা। সচিব নারীদের সুরক্ষার বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের কাজ সম্পর্কে তাদের জানান। | 366,881 |
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা | bangladesh | বাংলাদেশ | ০৩ আগস্ট ২০১৮, ১৯:০০ | ০৭ আগস্ট ২০১৮, ১৭:৩৩ | রাজনীতি,বিএনপি,নিরাপদ সড়ক আন্দোলন | null | মানুষের ক্ষোভেরও বিস্ফোরণ ঘটবে: মওদুদ | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1546366 | বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ বলেছেন, সরকারের সীমাহীন দুর্নীতি, অপশাসন নিয়েও মানুষের মধ্যে ক্ষোভ আছে। এই ক্ষোভেরও বিস্ফোরণ ঘটবে। এটা ঘটতে বাধ্য।আজ শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশের লেবার পার্টির (একাংশ) এক আলোচনা সভায় মওদুদ আহমদ এ কথা বলেন।নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের প্রসঙ্গ টেনে মওদুদ আহমদ বলেন, ‘আমাদের শিক্ষার্থীরা বলেছে যে আমরা আওয়ামী লীগের ডিজিটাল বাংলাদেশ দেখতে চাই না, আমরা নিরাপদ বাংলাদেশ দেখতে চাই। নিরাপদ বাংলাদেশ মানে হলো আমরা একটি সুন্দর বাংলাদেশ দেখতে চাই। এটা গণবিস্ফোরণের একটি অংশ।’মওদুদ বলেন, জনবিস্ফোরণ ঘটার ক্ষেত্রে শুধু বিএনপি নয়, দেশের সব গণতান্ত্রিক ও রাজনৈতিক দল, যারা দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে চায়, তারা ঐক্যবদ্ধভাবে মাঠে নামবে এবং তার সঙ্গে দেশের সাধারণ মানুষও মাঠে নামবে। তিনি সরকারকে সংলাপের আহ্বান জানিয়ে বলেন, জনবিস্ফোরণ হলে তখন সংলাপ করতে সরকার বাধ্য হবে। কারণ মানুষের ক্ষোভের যদি একবার বিস্ফোরণ ঘটে, সেই ক্ষোভ ঠেকানোর ক্ষমতা সরকারের থাকবে না।আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সাধুবাদ জানিয়ে মওদুদ বলেন, ‘আজকে আমার গাড়িও থামিয়েছে একজন ইয়ং ছেলে, বয়স বড়জোর ১৭-১৮ বছর হবে। গাড়ি থামিয়ে ড্রাইভারকে বলেছে, আপনার গাড়ির কাগজ দেখান। তারপর আমার ড্রাইভার কাপড় থেকে কাগজ দেখাল। বলল, আপনার কাগজ ঠিক আছে, আপনি যান। তবে কাগজ ওখানে রাখবেন না। ব্লুবুকের ভেতরে রাখবেন। এটা দেখে একদিকে আমি আশ্চর্য হয়ে গেছি, অন্যদিকে অনুপ্রাণিত হয়েছি, গর্বিত হয়েছি।’মওদুদ আহমদ বলেন, এটা তো পুলিশের কাজ। তাদের এই কাজ কেন করতে হচ্ছে? এটাই প্রমাণ করে যে রাষ্ট্র পরিচালনায় এই সরকার সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থতার পরিচয় দিচ্ছে। এ সময় তিনি মিরপুরে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার নিন্দা জানিয়ে সরকারের উদ্দেশে বলেন, ‘মিরপুরে যুবলীগ-ছাত্রলীগকে নামিয়ে দিয়েছেন রাস্তায়। ঠিক আগের মতো। কোটা আন্দোলনের সময়ে তাদের সমর্থন দিয়ে পরে যখন ব্যাক-ট্র্যাক করেছেন। আজকে আবার একই কাজ করছেন।’লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপি নেতা আমানউল্লাহ আমান, লেবার পার্টির নেতা আমিনুল ইসলাম প্রমুখ। | 372,487 |
রাঙামাটি অফিস | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৯ এপ্রিল ২০১৬, ০১:৫৭ | ২৯ এপ্রিল ২০১৬, ০১:৫৮ | রাঙামাটি,চট্টগ্রাম বিভাগ,বিশাল বাংলা | 0 | মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি সংরক্ষণে সচেতন হওয়ার আহ্বান | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/844330 | মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি সংরক্ষণে সচেতন হওয়ার পাশাপাশি অসাম্প্রদায়িক ও বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠায় কাজ করার অঙ্গীকার করলেন শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্য, মুক্তিযোদ্ধা, জনপ্রতিনিধি ও সরকারি কর্মকর্তারা। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে রাঙামাটি শহরের পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান কার্যালয়ের মাইনী সম্মেলনকক্ষে শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবারকে সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে তাঁরা এ অঙ্গীকার করেন।স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত শহীদ মুক্তিযোদ্ধা আবদুল আলীসহ নয়জন মুক্তিযোদ্ধার পরিবারের সদস্যদের সম্মাননা জানাতে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি সংরক্ষণ পরিষদ তাঁদের সম্মাননা দেয়। মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি সংরক্ষণ পরিষদের সদস্যসচিব সুনীল কান্তি দে জানান, মুক্তিযুদ্ধের শুরুতে নয়জন মুক্তিযোদ্ধা প্রথম রাঙামাটি শহরে প্রবেশ করেন। তাঁরা সবাই শহীদ হন। এই নয়জন মুক্তিযোদ্ধা হলেন তৎকালীন মহকুমা প্রশাসক আবদুল আলী, আবদুস শুক্কুর, শফিকুল ইসলাম, এস এম কামাল উদ্দিন, স্বপন বিশ্বাস, ইফতেখার উদ্দিন, আবদুল মামুন, নাজমুল হক ও মো. ইয়াছিন। প্রথম পাঁচজনের স্বজনদের হাতে সম্মাননা স্মারক তুলে দেওয়া হয়। অপর চারজন মুক্তিযোদ্ধার পরিবারের খোঁজ পাওয়া যায়নি বলে জানান সুনীল কান্তি দে।মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি সংরক্ষণ পরিষদের আহ্বায়ক দীপংকর তালুকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সম্মাননা অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণার পাশাপাশি শিল্পীরা দেশাত্মবোধক গান পরিবেশন করেন।অনুষ্ঠানে সংরক্ষিত নারী আসনের সাংসদ ফিরোজা বেগম বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস সংরক্ষণ করতে হবে।রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতি ধরে রাখা আমাদের সবার দায়িত্ব।’আরও বক্তব্য দেন জেলা প্রশাসক মো. সামসুল আরেফিন, পুলিশ সুপার মো. সাঈদ তারিকুল হাসান। স্মৃতিচারণা করেন মুক্তিযোদ্ধা রণবিক্রম কিশোর ত্রিপুরা, প্রীতি কান্তি ত্রিপুরা, শহীদ আবদুল আলীর কন্যা নাজমা আক্তার, শহীদ আবদুস শুক্কুরের ছোট ভাই এমদাদুল হক। | 224,676 |
পাটগ্রাম (লালমনিরহাট) প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৫ ডিসেম্বর ২০১৬, ০১:৩৪ | ২৫ ডিসেম্বর ২০১৬, ০১:৩৫ | পাটগ্রাম,লালমনিরহাট,রংপুর বিভাগ,বিশাল বাংলা,দুর্ঘটনা | 0 | ট্রেনে কাটা পড়ে কলেজশিক্ষকের মৃত্যু | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1046119 | লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার পশ্চিম বেজগ্রাম এলাকার রেলগেটে গত শুক্রবার ট্রেনে কাটা পড়ে মুসা কলিমুল্লা (৩৭) নামের এক কলেজশিক্ষকের মৃত্যু হয়েছে।কলিমুল্লার বাড়ি কালীগঞ্জ উপজেলার মাস্টারপাড়া গ্রামে। তিনি লালমনিরহাট সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রভাষক ছিলেন।প্রত্যক্ষদর্শী ও লালমনিরহাট রেলওয়ে থানা-পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, পশ্চিম বেজগ্রামে গত শুক্রবার বিকেলে মুসা কলিমুল্লা পারিবারিক কাজকর্ম শেষে মোটরসাইকেলে করে কালীগঞ্জের বাড়িতে ফিরছিলেন। কিন্তু পশ্চিম বেজগ্রামের রেলগেট অতিক্রম করার সময় লালমনিরহাট থেকে ছেড়ে আসা বুড়িমারীগামী যাত্রীবাহী একটি ট্রেনের সঙ্গে তাঁর মোটরসাইকেলের সংঘর্ষ হয়। এ সময় তিনি ট্রেনের নিচে কাটা পড়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হন।এ ব্যাপারে লালমনিরহাট রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান ট্রেনের ধাক্কায় মুসা কলিমুল্লার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। | 277,284 |
নিজস্ব প্রতিবেদক | bangladesh | বাংলাদেশ | ১৮ নভেম্বর ২০১৩, ০১:২৫ | ১৮ নভেম্বর ২০১৩, ০১:২৭ | মানবতাবিরোধী অপরাধ,আইন ও বিচার | 0 | বাবার হত্যার বিবরণ দিলেন আবদুল মালেক | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/76162 | জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির এ কে এম ইউসুফের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গতকাল রোববার রাষ্ট্রপক্ষের দুজন সাক্ষী জবানবন্দি দিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষের ষষ্ঠ সাক্ষী আবদুল মালেক ফকির একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধকালে রাজাকারদের হাতে তাঁর বাবার হত্যাকাণ্ডের প্রত্যক্ষদর্শীর বিবরণ দেন।বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২-এ গতকাল প্রথমে জবানবন্দি দেন আবদুল মালেক (৫৭)। জবানবন্দিতে তিনি বলেন, একাত্তরে তাঁর বাবা জয়নাল ফকির সুন্দরবনে মুক্তিযুদ্ধের প্রশিক্ষণ নেন এবং স্থানীয় রাজাকারদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেন। একাত্তরের ৯ জুন দুপুরে তাঁর বাবা অন্য মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে তাফালবাড়ি বাজারের কাছে গেলে ৩০-৩৫ জন রাজাকারের হাতে ধরা পড়েন। তাঁর বাবাকে নির্দয়ভাবে মারধর করা হয়।জবানবন্দির এ পর্যায়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন রাষ্ট্রপক্ষের এ সাক্ষী। কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে তিনি জবানবন্দিতে বলেন, তাঁর বাবাকে রাইফেলের বাঁট দিয়ে পেটানো হয়। তিনি ওই সময় রুটি বিক্রি করার জন্য বাজারে ছিলেন। বাবাকে বাঁচাতে তিনি কাছে গেলে রাজাকাররা তাঁকেও রাইফেলের বাঁট দিয়ে মারার হুমকি দেয়। তিনি হতবুদ্ধি হয়ে দাঁড়িয়ে ঘটনা দেখতে থাকেন। একপর্যায়ে রাজাকাররা তাঁর বাবাকে টানতে টানতে স্থানীয় নদীর পাড়ে নিয়ে গুলি করে হত্যা করে এবং লাশ নদীতে ছুড়ে ফেলে দেয়। তিন দিন পর তাঁরা লাশ খুঁজে পান এবং বাড়িতে নিয়ে দাফন করা হয়।আবদুল মালেক বলেন, ওই ঘটনার সময় তিনি ইউসুফসহ স্থানীয় কয়েকজন রাজাকারকে চিনতে পারেন। তাঁর বাবা মাটিতে পড়ে থাকা অবস্থায় ইউসুফ তাঁর হাতের ওপর দাঁড়িয়ে ছিলেন।মালেক জবানবন্দির শেষ পর্যায়ে আসামির কাঠগড়ায় থাকা ইউসুফকে শনাক্ত করেন। পরে তাঁকে জেরা করেন আসামিপক্ষের আইনজীবী সৈয়দ মিজানুর রহমান। জেরা শেষে আবদুল মালেকের মা আছিয়া খাতুনকে রাষ্ট্রপক্ষ সপ্তম সাক্ষী হিসেবে হাজির করে। রাষ্ট্রপক্ষ জানায়, আছিয়া খাতুন অসুস্থ, রাষ্ট্রপক্ষ তাঁর জবানবন্দি টেন্ডার (পূর্বের সাক্ষীকে সমর্থন করে জবানবন্দি দেওয়া) করতে চান।ট্রাইব্যুনাল অনুমতি দিলে আছিয়া খাতুনকে জেরা শুরু করেন মিজানুর রহমান। তাঁকে আজ সোমবার আবার জেরা করবে আসামিপক্ষ। | 28,824 |
বিনোদন প্রতিবেদক | entertainment | বিনোদন | ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ১১:৩৫ | ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ১১:৩৬ | ঢালিউড | 0 | ‘আলতাবানু’র ডাবিং নিয়ে ব্যস্ত মম | http://www.prothom-alo.com/entertainment/article/1325411 | মম এখন নিজেকে ‘আলতা’ মনে করছেন। কারণ, ‘আলতাবানু’ ছবির নাম ভূমিকায় অভিনয় করেছেন তিনি। তাই মুম্বাই থেকে ঢাকা ফিরেই ডাবিংয়ের সময় নিজেকে পুরোপুরিভাবে আলতার মধ্যেই ধরে রেখেছেন এই অভিনয়শিল্পী। কিছুদিন আগে ‘আলতাবানু’ ছবির শুটিং শেষ হয়েছে। এ ছবির ডাবিং নিয়ে এই মুহূর্তে তাঁর যত ব্যস্ততা। দিন দুয়েকের মধ্যে কাজটি শেষ হবে।কথাসাহিত্যিক ফরিদুর রেজা সাগরের গল্প অবলম্বনে তৈরি হচ্ছে ‘আলতাবানু’ ছবিটি। পরিচালক অরুণ চৌধুরী। নতুন ছবি ‘আলতাবানু’ প্রসঙ্গে মম বললেন, ‘এই সিনেমায় কাজের অভিজ্ঞতা খুব ভালো। চমৎকার একটি গল্পের জন্য ফরিদুর রেজা সাগর ভাইকে ধন্যবাদ। গল্পটি পড়ার পর মনে হয়েছিল, আলতা চরিত্র আমি করতে চাই। কাজটা মোটামুটি বেশ কষ্টসাধ্য ছিল।’উল্লেখ্য, মম সম্প্রতি মুম্বাইয়ের যে সিনেমার জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন, সেটি নির্মিত হবে ঋতুপর্ণ ঘোষের গল্পের ছায়া অবলম্বনে। আগামী ডিসেম্বর থেকে ছবির শুটিং শুরু হবে বলে জানান পরিচালক ফয়সাল সাইফ।রিয়্যালিটি শো ‘লাক্স-চ্যানেল আই সুপারস্টার’ প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে অভিনয়ে নাম লেখান মম। প্রথম সিনেমা ‘দারুচিনি দ্বীপ’-এ অভিনয় করে অর্জন করেছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে সেরা নায়িকার সম্মাননা। ২০১৫ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘ছুঁয়ে দিলে মন’ সিনেমার জন্যও প্রশংসিত হন মম। মমর ‘স্বপ্নবাড়ি’ ছবিটি মুক্তির অপেক্ষায় আছে। | 338,557 |
নিজস্ব প্রতিবেদক | bangladesh | বাংলাদেশ | ১০ মার্চ ২০১৫, ০১:৩৭ | ১০ মার্চ ২০১৫, ০১:৩৯ | -1 | 0 | বাংলাদেশের জয়ে অভিনন্দন | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/472828 | ইতিহাস গড়ে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ ক্রিকেটের কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠায় বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে অভিনন্দন জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বিরোধীদলীয় নেত্রী রওশন এরশাদ ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যক্তি ও সংগঠন।গতকাল সোমবার পৃথক বিবৃতিতে তাঁরা এই অভিনন্দন জানান। গতকাল অস্ট্রেলিয়ার অ্যাডিলেডে এক রুদ্ধশ্বাস লড়াইয়ে ইংল্যান্ডকে হারায় টাইগাররা।রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব ইহসানুল করিম লন্ডন থেকে ফোনে বাসসকে জানান, এ বিজয়ের জন্য রাষ্ট্রপতি জাতীয় দলের খেলোয়াড়, ম্যানেজার, কোচ ও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) কর্মকর্তাদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন। বিশ্বকাপের আগামী ম্যাচগুলোতেও বাংলাদেশ দল বিজয়ের এ ধারা অব্যাহত রাখবে বলে রাষ্ট্রপতি আশা প্রকাশ করেন। চিকিৎসার জন্য রাষ্ট্রপতি বর্তমানে লন্ডনে অবস্থান করছেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের প্রেস উইং সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, প্রধানমন্ত্রী এক অভিনন্দন বার্তায় বাংলাদেশ ক্রিকেট দল ও বিশ্বকাপ ক্রিকেটে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ দলের কোনো খেলোয়াড় সেঞ্চুরি করায় মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে অভিনন্দন জানান। বাংলাদেশ দলের ম্যানেজার, কোচ, ক্রিকেট বোর্ডের কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানান তিনি।পরিকল্পনামন্ত্রী ও আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) সভাপতি আ হ ম মুস্তফা কামাল ক্রিকেট দলকে অভিনন্দন জানান। যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বীরেন শিকদার ক্রিকেট দলকে ২০ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছেন।বাংলাদেশ ক্রিকেটের সব সময়ের শুভাকাঙ্ক্ষী ও দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেটের সাবেক প্রধান আলী বাখার বাংলাদেশ দলকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। বিসিবির সাবেক সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, তাঁকে ফোন করে আলী বাখার অভিনন্দন জানিয়েছেন। সাবের হোসেন চৌধুরীও ক্রিকেট দলকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। আরও অভিনন্দন জানিয়েছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ, বিকল্পধারা বাংলাদেশের সভাপতি এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী, যুব ও ক্রীড়া উপমন্ত্রী আরিফ খান জয়, গভর্নর আতিউর রহমান, সিপিবির সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম ও সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবু জাফর আহমেদ, জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত আমির মকবুল আহমাদ, জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি কামাল উদ্দিন সবুজ ও সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমদ প্রমুখ। | 121,843 |
খেলা ডেস্ক | sports | খেলা | ০১ জুন ২০১৮, ১৫:২৬ | ০১ জুন ২০১৮, ১৫:৩৬ | ফুটবল | null | রিয়াল মাদ্রিদের কোচ হতে পারেন পচেত্তিনো | http://www.prothom-alo.com/sports/article/1500736 | সবাইকে অবাক করে দিয়ে টানা তিনবার চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতেই রিয়াল মাদ্রিদের দায়িত্ব ছেড়ে দিয়েছেন কোচ জিনেদিন জিদান। বাজারে এখন নতুন কোচের সন্ধানে রিয়াল মাদ্রিদ, আর নতুন কোচ হিসেবে রিয়াল মাদ্রিদ সভাপতি ফ্লোরেন্তিনো পেরেজের মূল পছন্দ টটেনহাম কোচ মরিসিও পচেত্তিনো।সবাইকে অবাক করে দিয়ে রিয়াল মাদ্রিদের কোচের পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন জিনেদিন জিদান। টানা তিন চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতে এভাবে হুট করে জিদানের চলে যাওয়ার কারণে কপালে ভাঁজ পড়েছে রিয়াল সভাপতি ফ্লোরেন্তিনো পেরেজের। নতুন কোচের সন্ধানে নেমেছে রিয়াল মাদ্রিদ, আর পরবর্তী কোচ হিসেবে ইংলিশ ক্লাব টটেনহাম হটস্পারের আর্জেন্টাইন কোচ মরিসিও পচেত্তিনোকে মনে ধরেছে পেরেজের।গত সপ্তাহেই টটেনহামের সঙ্গে ২০২৩ সাল পর্যন্ত চুক্তি নবায়ন করেছেন পচেত্তিনো। এই আর্জেন্টাইনকে আনতে গেলে বেশ কাঠখড় পোড়াতে হবে রিয়ালকে। তবে শোনা গেছে পচেত্তিনোর এই নতুন চুক্তিতে একটা শর্ত আছে যে রিয়াল মাদ্রিদ যদি পচেত্তিনোকে চায়, তবে টটেনহাম তাঁকে ছেড়ে দিতে বাধ্য থাকবে, যদিও টটেনহাম চুক্তির এই বিশেষ শর্তের ব্যাপারটা অস্বীকার করেছে।এবার চ্যাম্পিয়নস লিগের গ্রুপপর্বে একই গ্রুপে ছিল রিয়াল মাদ্রিদ আর টটেনহাম, দুই লেগের প্রথমটায় বার্নাব্যুতে গিয়ে ১-১ গোলে ড্র করে আসা টটেনহাম নিজের মাঠ ওয়েম্বলিতে রিয়াল মাদ্রিদকে হারিয়েছিল ৩-১ গোলে, এই মরিসিও পচেত্তিনোর কৌশলের জোরেই। রিয়াল মাদ্রিদকে হটিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়নও তারাই হয়েছিল। তখন থেকেই মূলত পচেত্তিনোর দিকে নজর ফ্লোরেন্তিনো পেরেজের।রিয়াল মাদ্রিদের কোচ হওয়ার দৌড়ে আরও রয়েছেন সদ্য আর্সেনালের দায়িত্ব ছাড়া কোচ আর্সেন ওয়েঙ্গার, রিয়াল মাদ্রিদের অনূর্ধ্ব-১৯ দলের কোচ হোসে মারিয়া গুতি, রিয়াল মাদ্রিদের যুবদলের কোচ সান্তিয়াগো সোলারি, চেলসি কোচ আন্তোনিও কন্তে, জার্মান জাতীয় দলের কোচ জোয়াকিম লো। একদম দূরতম সম্ভাবনা হিসেবে জুভেন্টাসের ম্যাসিমিলিয়ানো অ্যালিগ্রির নামও শোনা যাচ্ছে। | 365,785 |
বিশেষ প্রতিনিধি, যুক্তরাষ্ট্র | international | আন্তর্জাতিক | ০২ জুন ২০১৬, ০১:২৪ | ০২ জুন ২০১৬, ০১:২৬ | যুক্তরাষ্ট্র | 0 | হিলারির পাশে গভর্নর ব্রাউন | http://www.prothom-alo.com/international/article/875434 | যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী মনোনয়নে আগামী ৭ জুন ক্যালিফোর্নিয়াতে ডেমোক্রেটিক পার্টির শেষ প্রাইমারি নির্বাচন। সিনেটর বার্নি স্যান্ডার্স আশা করছেন, এই নির্বাচনে জয়লাভ করে দলের শীর্ষ প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হিলারি ক্লিনটনকে তিনি বিব্রত করবেন। কিন্তু গত মঙ্গলবার ক্যালিফোর্নিয়ার জনপ্রিয় ডেমোক্রেটিক গভর্নর জেরি ব্রাউন হিলারির প্রতি সমর্থন ঘোষণা করে স্যান্ডার্সের সে পরিকল্পনায় কিঞ্চিৎ বাদ সেধেছেন।ক্যালিফোর্নিয়া প্রাইমারির এক সপ্তাহ আগে জেরি ব্রাউন বলেন, ডোনাল্ড ট্রাম্পকে পরাজিত করতে সবচেয়ে যোগ্য প্রার্থী হলেন হিলারি ক্লিনটন। এই মুহূর্তে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ হলো ট্রাম্পকে পরাজিত করা। কারণ, তাঁর বিজয় হবে আমেরিকার জন্য এক অভাবিত দুর্যোগ।ব্রাউন বলেন, ‘আমি হিলারির পক্ষে নিজের ভোটটি দিতে মনস্থ করেছি। কারণ, ট্রাম্পকে ঠেকানোর এটাই একমাত্র পথ।’জেরি ব্রাউনের এই সমর্থনের বিশেষ কোনো প্রভাব নেই। তবে হিলারির জন্য তা মূল্যবান প্রমাণিত হতে পারে। গত কয়েক সপ্তাহে বার্নি স্যান্ডার্স হিলারির সঙ্গে তাঁর ব্যবধান কমিয়ে এনেছেন। আবার কোনো কোনো জনমত জরিপে স্যান্ডার্স এগিয়ে। এই অবস্থায় প্রগতিশীল ও বহিরাগত ব্যক্তিদের মধ্যে অত্যন্ত জনপ্রিয় ব্রাউনের এই সমর্থন হিলারি শিবিরকে উৎফুল্ল করেছে। ব্রাউন এক চিঠিতে হিলারির প্রতি তাঁর সমর্থন জানিয়ে দেন। ওই চিঠির কপি হিলারির ক্যাম্পেইন কমিটি দ্রুত বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে বিলি করে।হিলারির প্রতি সমর্থনসূচক বিবৃতি দিলেও জেরি ব্রাউন বার্নি স্যান্ডার্সেরও প্রশংসা করেছেন। গত মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, অব্যাহত অর্থনৈতিক বৈষম্যের বিরুদ্ধে স্যান্ডার্স যে প্রচার অভিযান পরিচালনা করেছেন, তা তাঁকে মুগ্ধ করেছে।ট্রাম্পের সমালোচনায় নিউইয়র্কের অ্যাটর্নি জেনারেল: ট্রাম্প ইউনিভার্সিটি নিয়ে প্রতারণার অভিযোগে রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে কঠোর সমালোচনা করেছেন নিউইয়র্কের অ্যাটর্নি জেনারেল এরিক স্নাইডারম্যান। ট্রাম্প ইউনিভার্সিটির ‘ট্রেড সিক্রেট’ জনসমক্ষে প্রকাশ না করার পক্ষে ট্রাম্পের আইনজীবীরা যে অনুরোধ করেছেন, তা প্রত্যাখ্যান করে মঙ্গলবার স্নাইডারম্যান বলেন, ‘তিন পাত্তির জুয়া খেলার গোপন নিয়মকানুন সংরক্ষণের পক্ষে কোনো যুক্তি থাকতে পারে না।’ তিনি বলেন, উচ্চশিক্ষার নামে ট্রাম্প বিশ্ববিদ্যালয়ে যা হয়েছে তা হলো সপ্তাহান্তে তিন দিনের সেমিনারের আয়োজন। এর জন্য প্রত্যেক ছাত্রকে ১০ থেকে ২০ হাজার ডলার ব্যয় করতে হয়েছে।স্নাইডারম্যান বলেন, যেসব আদালতে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে, তাঁরা সবাই জালিয়াতির অভিযোগ আমলে এনেছেন। স্নাইডারম্যান বলেন, ‘ট্রাম্প দাবি করে চলেছেন, আদালতে মামলা উঠলে তিনি সহজেই জিতবেন, অথচ তিনি যেভাবে পারেন, এই সব মামলা আটকানোর বা বিলম্বিত করার চেষ্টা করে চলেছেন।’ট্রাম্পকে তীব্র ভাষায় সমালোচনা করে স্নাইডারম্যান বলেন, এই মামলার বিবরণ থেকে স্পষ্ট, ছাত্রদের মিথ্যা কথা বলে প্রতারণা করতে তিনি বিন্দুমাত্র দ্বিধা করেননি। | 228,514 |
নিজস্ব প্রতিবেদক | bangladesh | বাংলাদেশ | ৩০ জুলাই ২০১৩, ১৬:৪৫ | ৩০ জুলাই ২০১৩, ১৬:৫০ | রাজধানী (জাতীয়) | 0 | মুক্তিযুদ্ধের শব্দসৈনিক বেলাল মোহাম্মদ আর নেই | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/32252 | স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ও স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত কবি বেলাল মোহাম্মদ আর নেই।আজ মঙ্গলবার ভোররাতে রাজধানীর অ্যাপোলো হাসপাতালে চিকিত্সাধীন অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।মুক্তিযুদ্ধের এই শব্দসৈনিকের মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন।বিভিন্ন ব্যক্তি, সংগঠনের পক্ষ থেকেও শোক জানানো হয়েছে।বাসসের খবরে জানানো হয়েছে, আজ সকাল নয়টায় উত্তরা ১৪ নম্বর সেক্টরের মসজিদে বেলাল মোহাম্মদের প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।আগামীকাল বুধবার বেলা ১১টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সর্বস্তরের জনগণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য তাঁর মরদেহ রাখা হবে।এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদে বাদ জোহর জানাজা শেষে মরহুমের দেহ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে দান করা হবে।বেলাল মোহাম্মদ দীর্ঘদিন ধরে জটিল রোগে ভুগছিলেন।উন্নত চিকিত্সার জন্য গতকালই তাঁকে কলকাতায় নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল।কিন্তু হঠাত্ গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে গতকাল বিকেলে অ্যাপোলো হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।তিনি সেখানে নিবিড় পরিচর্যায় ছিলেন।১৯৩৬ সালে চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ উপজেলার মুছাপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন বেলাল মোহাম্মদ।মুক্তিযুদ্ধে বিশেষ অবদানের জন্য ২০১০ সালে তিনি স্বাধীনতা পদক পান।পদকটি বাংলাদেশ বেতারকে দান করেন তিনি।এ ছাড়া পুরস্কারের নগদ অর্থ দিয়ে তিনি নিজ গ্রামে কমরেড মোজাফফর আহমেদ লালমোহন সেন ট্রাস্ট প্রতিষ্ঠা করেন।মৃত্যুকালে তিনি এক ভাই, আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধব ও অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। | 6,077 |
জেনিফার বিনতে হক, পুষ্টিবিদ, গ্রিন লাইফ হাসপাতাল | life-style | জীবনযাপন | ১৩ এপ্রিল ২০১৯, ১২:৪২ | ১২ মে ২০১৯, ১৫:২৯ | ভালো থাকুন,খাবারদাবার,আমার ডাক্তার,বৈশাখী মেলা,পয়লা বৈশাখ | 0 | বৈশাখের খাবারদাবার | http://www.prothom-alo.com/life-style/article/1588592 | এসে গেল বৈশাখ। বৈশাখ মানেই গ্রীষ্মের শুরু। আর নববর্ষ মানে ভোর থেকে ঘোরাফেরা, সাজগোজ, আনন্দ। কিন্তু এই গরমে খাবারদাবারের বেলায় একটু সতর্কতা তো লাগবেই। নয়তো অসুস্থ বোধ করতে পারেন।গরমে বাইরে রোদে ঘোরাঘুরি করলে দ্রুত শরীর পানিশূন্য হয়ে পড়ে। সে জন্য সঙ্গে পর্যাপ্ত বিশুদ্ধ পানি রাখুন। বাড়িতে এদিন কেউ বেড়াতে এলে আপ্যায়ন করুন তাজা ফলের রস, ডাবের পানি বা বাড়িতে তৈরি লেবুর শরবত দিয়ে। রাস্তায় বিক্রি হওয়া লেবুর শরবত বা আখের রস মোটেও স্বাস্থ্যসম্মত নয়। খুব বেশি ঘেমে গেলে বা মাথা ঝিমঝিম করলে ওরস্যালাইনও খেতে পারেন।পান্তা-ইলিশ বা ভর্তা-ভাজি খেয়ে অনেকেরই পেট ফাঁপা, বুকজ্বালা, বমি ভাব এমনকি ডায়রিয়া পর্যন্ত হতে পারে। তাই বুঝেশুনে খান। ভর্তায় অতিরিক্ত ঝাল না দেওয়াই ভালো। বেশি মসলাযুক্ত খাবারে গরম বেশি লাগে। তাড়াহুড়ো করে খাবেন না। ধীরে ধীরে খান। খাওয়া শেষ করে সঙ্গে সঙ্গে পানি পান করবেন না। অন্তত ৩০ মিনিট বিরতি নিন।শিশুদের নিয়ে ঘুরতে বের হলে বাইরের পান্তা, ইলিশ, চটপটি, ফুচকা, আচার, শরবত ইত্যাদি দেবেন না। এগুলো অনিরাপদ। শিশুদের যেন পানিশূন্যতা বা হিট স্ট্রোক না হয় সেদিকে বিশেষভাবে খেয়াল রাখুন। ছোট শিশুকে নিয়ে সারা দিনের জন্য বের হলে সঙ্গে টিফিন বাটিতে নুডলস, খিচুড়ি, পায়েস-জাতীয় খাবার রাখতে পারেন। সঙ্গে অবশ্যই ফ্ল্যাস্কে পানি বা ফলের রস নিন।গরমে চা, কফি বেশি খেলে গরম বেশি লাগে, ঘামও হয়। ক্যাফেইন আরও পানিশূন্য করে দিতে পারে। এবার জেনে নিন বৈশাখের ঘোরাঘুরিতে কী ভালো।■ ডাবের পানি: ডাবের পানি প্রাকৃতিক স্যালাইন, কেননা এতে পর্যাপ্ত পটাশিয়াম, সোডিয়াম ক্লোরাইড থাকে। এ ছাড়া এতে অ্যান্টিভাইরাল ও অ্যান্টিফাঙ্গাল উপাদান আছে।■ লেবুপানি: লেবুর পানি গরমে দ্রুত স্বস্তি এনে দেয়। ভিটামিন সি, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম ও ম্যাগনেশিয়াম আছে এতে।■ কাঁচা আমের শরবত: কাঁচা আমে প্রচুর ভিটামিন সি আছে, যা গরমে আরাম দেয়। সামান্য জিরার গুঁড়া লবণ মিশিয়ে খেলে প্রশান্তি পাবেন।■ তরমুজের রস: তরমুজের প্রায় ৯০ শতাংশ জলীয় অংশ। এটি পানিশূন্যতা দ্রুত রোধ করে। হজমেও সাহায্য করে।■ দই বা দইয়ের শরবত: গরমকালে দই খুব উপকারী। দইয়ের মধ্যে জিরা, আদা, পুদিনাপাতা ও পছন্দমতো চিনি দিয়ে ফেটিয়ে খেলে আরাম পাবেন।■ বেলের শরবত: গরমে পেট ঠান্ডা রাখে বেলের শরবত। পেট পরিষ্কার ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।■ আখের রস: বাড়িতে তৈরি আখের রসে পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, গ্লুকোজ ও ম্যাগনেশিয়াম পাবেন। আখের রস হিট স্ট্রোক থেকে রক্ষা করে।এ ছাড়া এই বৈশাখে অতিথি আপ্যায়নে বা বাড়িতে রাখুন ফলের সমাহার। শসা, টমেটো, কাঁচা সালাদ, ক্যাপসিকাম ইত্যাদিতে জলীয় অংশ অনেক বেশি তাই এই গরমে এগুলো খাওয়া ভালো। | 397,878 |
এম এ মজিদ | entertainment | বিনোদন | ২৬ ডিসেম্বর ২০১৩, ০০:০৫ | ২৬ ডিসেম্বর ২০১৩, ০০:৫৩ | মঞ্চ,আনন্দ | 0 | শিল্পকলায় হূদয়ছোঁয়া যাত্রাগান | http://www.prothom-alo.com/entertainment/article/108187 | যাত্রাগানের সনাতনী কনসার্ট, বর্ণিল নৃত্য-গীত আর মনমাতানো অভিনয় দেখে মুগ্ধ হলো ঢাকার নাগরিক দর্শক। শিশু-যুবা, নারী-পুরুষ সব শ্রেণীর উপস্থিতি ছিল শিল্পকলার পরীক্ষণ থিয়েটার হলে। ঢাকার দেশ অপেরা ২০ বছর পূর্তি উপলক্ষে এই হলে দুই দিনের যাত্রাগানের আয়োজন করে। ‘জাগরণী যাত্রা উৎসব’ শীর্ষক এই আয়োজনে প্রথম দিন ২০ ডিসেম্বর লোকনাট্য গোষ্ঠী পরিবেশন করে ঐতিহাসিক যাত্রাপালা বর্গী এলো দেশে। পালার নির্দেশনা দেন তাপস সরকার। দ্বিতীয় দিন দেশ অপেরা মঞ্চে আনে নবাব সিরাজউদ্দৌলা। এ পালার নির্দেশনায় ছিলেন মিলন কান্তি দে। পরদিন একই হলে জয়যাত্রাও সিরাজউদ্দৌলা মঞ্চস্থ করে। এটি দেশ অপেরা আয়োজিত উৎসবের আওতাভুক্ত না হলেও পর পর একই হলে তিন দিন যাত্রাপালার আসর বসাতে দর্শক বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনার সঙ্গে তা উপভোগ করেছেন। নাগরিক জীবনে যাত্রাগানের এই আয়োজন দর্শকের মধ্যে দারুণ উৎসাহ জাগিয়েছে। জয়যাত্রার পালা নির্দেশক ও নাম ভূমিকার অভিনেতা হাবিব সারোয়ার অভিনয় শেষে দর্শকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। তাঁর কাছে বহু দর্শক এমন যাত্রাগান হলে তা দেখার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। এর আগে জয়যাত্রার উদ্যোগে একই হলে যাত্রাবিষয়ক এক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে অতিথিদের মধ্যে রামেন্দু মজুমদার, এস এম মহসীন, তপন বাগচী, আমিনুল ইসলাম প্রমুখ পরিশীলিত পালা মঞ্চায়নের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিন দিনের যাত্রাগানের প্রথম দিন দেশ অপেরা তিনজন গুণী ব্যক্তিত্বকে অমলেন্দু বিশ্বাস স্মৃতি পুরস্কার প্রদান করায় অনেক নাট্যজন-দর্শক দেশ অপেরার প্রশংসা করেছেন। অনেক দর্শক প্রতিবেদকের কাছে অনুভূতি প্রকাশ করে বলেছেন, এমন প্রযোজনায় তিন দিনে তৃপ্তি মেটে না। দর্শক আরও যাত্রা দেখতে চান।যাত্রাশিল্পে এক বছরএ বছর যাত্রাশিল্পে তেমন উল্লেখযোগ্য কোনো ঘটনা ঘটেনি। তবে দুজন শিল্পীর মৃত্যু এবং পুরোনো দলের কয়েকজন মালিকের যাত্রাবিমুখতায় শিল্পাঙ্গনে হতাশা নামে। আসার কথা, কিছু নতুন দলের মালিক শিল্পকলায় নিবন্ধিত হয়েছেন। তাঁদের কেউ কেউ দল গঠন করে মাঠে নেমেছেন, অল্প কজন প্রযোজনার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। অতীতের সব রেকর্ড ভঙ্গ করে তিন মাস ধরে যাত্রা চালাচ্ছেন আশুলিয়া ও শিমরাইলে দুটি প্যান্ডেলে জনৈক রমজান আলি মিয়া ও রহম আলী। | 38,849 |
ময়মনসিংহে অফিস | bangladesh | বাংলাদেশ | ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৫, ০২:২০ | ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৫, ০২:২৪ | বিশাল বাংলা,অপরাধ | 0 | পলাতক জেএমবি সদস্য গ্রেপ্তার | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/634947 | ২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট সারা দেশে একযোগে বোমা হামলার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে জামাআতুল মুজাহিদীনের (জেএমবি) এক সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র্যা পিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যা ব)। গত বুধবার গাজীপুর জেলার বোর্ড বাজার এলাকার একটি বাড়ি থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে ময়মনসিংহে র্যা ব-১৪-এর কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।গ্রেপ্তার ব্যক্তি হলেন মেহেদী হাবিব মো. রফিক। তাঁর বাড়ি জামালপুরের ইকবালপুর গ্রামে। ১০ বছর ধরে তিনি পলাতক ছিলেন।সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ঘটনার দিন ময়মনসিংহ জজ কোর্ট প্রাঙ্গণে বোমা হামলা ও বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে বোমা হামলার ঘটনায় ময়মনসিংহের কোতোয়ালি মডেল থানায় দায়ের করা পৃথক দুটি মামলার আসামি মেহেদী। বুধবার রাতে র্যা ব-১৪ ও র্যা ব-১-এর সমন্বিত অভিযানে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। | 169,939 |
নিজস্ব প্রতিবেদক | economy | অর্থনীতি | ১৮ ডিসেম্বর ২০১৩, ১৩:১৩ | ১৮ ডিসেম্বর ২০১৩, ১৩:১৪ | শেয়ারবাজার | 0 | ডিএসইতে দুই ঘণ্টায় ২৪৪ কোটি টাকার লেনদেন | http://www.prothom-alo.com/economy/article/102064 | ১৮ দলের ডাকা অবরোধের দ্বিতীয় দিন আজ বুধবার কিছুটা মিশ্র প্রবণতায় লেনদেন চলছে ঢাকার শেয়ারবাজারে। দুপুর সাড়ে ১২টায় লেনদেনের দুই ঘণ্টা শেষে ডিএসইতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। তবে সূচক সামান্য বেড়েছে।ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে জানা যায়, দুপুর সাড়ে ১২টায় ডিএসইর ডিএসইএক্স সূচক ৩ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪,২৭৩ পয়েন্টে। এর আগে সকাল সাড়ে ১০টায় নির্ধারিত সময়ে সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় ডিএসইতে লেনদেন শুরু হয়। একপর্যায়ে সূচক ২০ পয়েন্ট বেড়ে যায়। তবে দুপুর ১২টা ২৫ মিনিটে সূচক কমে ৫ পয়েন্ট। এরপর আবারও ঊর্ধ্বমুখী হয় সূচক।এই সময়ে ডিএসইতে ২৭৮ কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের লেনদেন হয়েছে। হাতবদল হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে ৯৩টির দাম বেড়েছে, কমেছে ১৪৬টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৯টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম। এই সময়ে ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২৪৪ কোটি টাকা।আলোচ্য সময়ে ডিএসইতে লেনদেনে শীর্ষে থাকা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে জেনারেশন নেক্সট ফ্যাশন, লংকাবাংলা ফিন্যান্স, আরগন ডেনিমস, গোল্ডেন সন, এনভয় টেক্সটাইল, আরএন স্পিনিং, এসআলম কোল্ড রোল্ড স্টিল মিলস, প্যারামাউন্ট টেক্সটাইল, ডেল্টা লাইফ ইনস্যুরেন্স, সেন্ট্রাল ফার্মা প্রভৃতি। | 36,531 |
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা | bangladesh | বাংলাদেশ | ০২ আগস্ট ২০১৮, ১৯:০৮ | ০২ আগস্ট ২০১৮, ২১:০৩ | রাজধানী,রাজধানী (জাতীয়) | null | খাবার নিয়ে আসছেন অভিভাবকেরা | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1545721 | রাজধানীতে বাসচাপায় দুই শিক্ষার্থী নিহত হওয়ার ঘটনার প্রতিবাদে কয়েক দফা দাবিতে টানা পাঁচ দিন ধরে ঢাকায় ছাত্র বিক্ষোভ হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের এ দাবি ছড়িয়ে পড়েছে সারা দেশে। সেই বিক্ষোভের অংশ হিসেবে রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ সিগন্যাল আটকে বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা থেকে বসে আছেন অন্তত ২০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ স্লোগান চলছে চারদিকে। এর মধ্যেই হাতে একটি কাগজের বাক্স নিয়ে বিস্কুট, পানির বোতল, চিপসের প্যাকেট কুড়িয়ে রাস্তা পরিষ্কার করছিলেন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থী ।মুখোমুখি হতেই ওই শিক্ষার্থী বললেন, ‘এখানে আন্দোলনকারীদের বেশির ভাগই স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী। ওরা ছোট। দীর্ঘ সময় এখানে থেকে সবারই ক্ষুধা লেগে গেছে। এটা-ওটা কিনে খাচ্ছে সবাই। আর বিস্কুট, চিপস, পাউরুটির প্যাকেট আর পানির বোতলে রাস্তা নোংরা হচ্ছে। এখন আমরা সবাই রাস্তা নোংরা করলে তো কাউকে না কাউকে পরিষ্কার করতেই হবে। তাই আমরা কয়েকজন এ কাজটাই করছি।’কিছুক্ষণ পরপর বস্তা নিয়ে বা কার্টন নিয়ে ছেলেমেয়েদের রাস্তা পরিষ্কার করতে দেখা গেল। আবার আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের জন্য খাবার নিয়ে এসেছেন অনেক অভিভাবক। কেউ বিস্কুট নিয়ে এসেছেন।একদল বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী নিজেরা টাকা তুলে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের জন্য এক কার্টন খেজুর ও পানি নিয়ে এসেছেন। কয়েকজনকে দেখা গেল কার্টনে করে বিস্কুট, কেক ও পানি বিলি করতে। যাঁরা বিলি করছেন, তাঁরা জানালেন, ব্যবসায়ীদের অন্যতম সংগঠন মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি নিহাদ কবির শিক্ষার্থীদের জন্য এসব বিস্কুট ও পানি পাঠিয়েছেন।ঢাকার বিমানবন্দর সড়কে গত রোববার জাবালে নূর পরিবহনের একটি বাসচাপায় দুই শিক্ষার্থী নিহত হওয়ার ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভে ফেটে পড়ে শিক্ষার্থীরা। ওই দিন থেকে বেপরোয়া গাড়ির চালকের ফাঁসির দাবি এবং এ শাস্তি সংবিধানে সংযোজন করা, সড়কে ফিটনেসবিহীন গাড়ি না চলা, নিরাপদ সড়কের দাবি, সারা দেশে শিক্ষার্থীদের জন্য হাফ ভাড়ার ব্যবস্থা করা, নৌমন্ত্রী শাজাহান খানের ক্ষমা চাওয়াসহ কয়েক দফা দাবিতে টানা পাঁচ দিন ধরে ঢাকায় ছাত্র বিক্ষোভ হচ্ছে। রাজধানীর শিক্ষার্থীদের এ দাবি পরে সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। | 372,380 |
নিজস্ব প্রতিবেদক | bangladesh | বাংলাদেশ | ০১ জানুয়ারি ২০১৫, ১১:১৬ | ০১ জানুয়ারি ২০১৫, ১১:৫৩ | সরকার | null | সামরিক বাহিনীর বেতনকাঠামোর প্রতিবেদন পেশ | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/412963 | সামরিক বাহিনীর জন্য আলাদা বেতনকাঠামোর একটি প্রতিবেদন আজ বৃহস্পতিবার সকালে অর্থমন্ত্রীর কাছে পেশ করা হয়েছে। এ বিষয়ে গঠিত আট সদস্যের কমিটির প্রধান লে. জেনারেল আনোয়ার হোসেন মন্ত্রণালয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের কাছে এটি জমা দেন।প্রতিবেদনে জেনারেলের জন্য নির্ধারিত এক লাখ, লে. জেনারেলের জন্য ৮৮ হাজার, মেজর জেনারেলের জন্য ৮০ হাজার ও সৈনিকদের নিচে যাঁরা বেসামরিক তাঁদের জন্য আট হাজার ২০০ টাকা বেতনকাঠামো সুপারিশ করা হয়েছে।লে. জেনারেল আনোয়ার হোসেন পরে সাংবাদিকদের বলেন, বেসামরিক বেতনকাঠামোর সঙ্গে মিল রেখে সামরিক বেতনকাঠামো করা হয়েছে। একই সঙ্গে বাড়িভাড়া ও ঝুঁকিভাতা বাড়ানোর সুপারিশ করা হয়েছে।অর্থমন্ত্রী বলেন, গণমাধ্যমে বেতনকাঠামো নিয়ে বিভিন্ন প্রতিবেদন হচ্ছে। এটা ভালো। সমাজের যেসব অংশের মতামত বেতনকাঠামোতে উঠে আসেনি, এর ফলে সেগুলো উঠে আসবে।নতুন বেতনকাঠামো কার্যকর করতে কত টাকা বাড়তি লাগবে? এর জবাবে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, ‘গতবারের তুলনায় বেশি লাগবে না।’আরও জানতে পড়ুনসর্বোচ্চ ৮০ হাজার, সর্বনিম্ন ৮২০০ টাকা বেতনদ্বিগুণেরও বেশি বেতন বাড়ানোর সুপারিশ | 103,198 |
ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ১০ আগস্ট ২০১৫, ০০:২৪ | ১০ আগস্ট ২০১৫, ০০:২৫ | বিশাল বাংলা,ঈশ্বরদী,পাবনা,রাজশাহী বিভাগ,আইন ও বিচার | 0 | যুবলীগ কর্মী গ্রেপ্তার | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/598063 | পাবনার ঈশ্বরদীর যুবলীগের কর্মী ১৪ বছরের সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি লিটন ওরফে বান্দর লিটনকে (৩৫) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। লিটন ঈশ্বরদীর গোকুলনগর এলাকার আবদুল মজিদ মালিথার ছেলে। তাঁর বিরুদ্ধে হত্যা, অপহরণসহ ছয়টি মামলা রয়েছে। দীর্ঘদিন তিনি পলাতক ছিলেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শনিবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে শহরের আমবাগানে একটি গরুর খামারে লুকিয়ে থাকা অবস্থায় তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাঁর কাছ থেকে একটি বিদেশি রিভলবার ও দুইটি গুলি উদ্ধার করা হয়। অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় তাঁর বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা দায়ের হয়েছে। গতকাল তাঁকে পাবনা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। | 158,991 |
নিকলী (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৫, ০৪:৩০ | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৫, ০৪:৩০ | কিশোরগঞ্জ,ঢাকা বিভাগ,বিশাল বাংলা | 0 | ১২ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক পদ শূন্য | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/625470 | কিশোরগঞ্জের নিকলী উপজেলার ১২টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দীর্ঘদিন ধরে প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। এ ছাড়া উপজেলায় সহকারী শিক্ষকের ২৮টি পদও খালি। এতে বিদ্যালয়গুলোর প্রশাসনিক ও শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কার্যালয় সূত্র জানায়, উপজেলার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আছে ৫৭টি। এর ১২টি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের পদ ছয়-সাত বছর ধরে শূন্য। এ ছাড়া উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে ২৮টি সহকারী শিক্ষকের পদও দীর্ঘদিন ধরে খালি রয়েছে। যে ১২টি বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক নেই সেগুলো হলো—সিংপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, গোড়াদীঘা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ধিওরাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চেত্রা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দৌলতপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, জারুইতলা ১ নম্বর কামালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পূর্ব সিংপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বনমালীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দক্ষিণ জারুইতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, আঠারবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দক্ষিণ ছাতিরচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও মধ্য গুরুই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।দৌলতপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের দায়িত্বে থাকা সহকারী শিক্ষক মো. হাছেন আলী সম্প্রতি বলেন, এ বিদ্যালয়ে ছয়জন শিক্ষকের মধ্যে আছেন চারজন। এর মধ্যে তাঁকে প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে।গোড়াদীঘা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক খায়রুল আলম বলেন, ‘আমার বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য প্রায় সাত বছর। তাই নির্ধারিত ক্লাস নেওয়ার পাশাপাশি ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে। যেদিন দাপ্তরিক কাজে উপজেলা শিক্ষা কার্যালয়ে যেতে হয় সেদিন রুটিনে থাকা আমার ক্লাস হয় না। কারণ, বিদ্যালয়ে অতিরিক্ত শিক্ষক নেই। প্রতি মাসেই চার-পাঁচ দিন এ রকম হয়ে থাকে। অন্য যে বিদ্যালয়গুলোতে প্রধান শিক্ষক নেই সেগুলোরও একই অবস্থা।’উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আবু তাহের ভূঞা বলেন, ‘প্রতি মাসেই এ বিষয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর প্রতিবেদন পাঠানো হয়। শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়া চলছে বলে সেখান থেকে আমাদের জানানো হয়। কিন্তু নিয়োগ হয় না।’ | 166,916 |
নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম | bangladesh | বাংলাদেশ | ১৯ আগস্ট ২০১৩, ০২:৪১ | ১৯ আগস্ট ২০১৩, ০২:৪১ | চট্টগ্রাম,চট্টগ্রাম বিভাগ,অপরাধ,বিশাল বাংলা | 0 | চট্টগ্রামে কর্মচারী দম্পত্তির কারাদণ্ড | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/40419 | জ্ঞাত আয়ের বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের দায়ে বিটিসিএলের উচ্চমান সহকারী ও তাঁর স্ত্রীকে জেল-জরিমানা করেছেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক আতাউর রহমান। গতকাল রোববার আসামিদের অনুপস্থিতিতে আদালত তাঁদের দণ্ড দেন।দণ্ডিত আসামির নাম মোহাম্মদ হোসেন ও তাঁর স্ত্রী শাহানা চৌধুরী। ২০০৩ সালের ১৯ এপ্রিল নগরের পাহাড়তলী এলাকায় তাঁদের প্রায় দুই কোটি টাকা দামের আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ পায় তৎকালীন দুর্নীতি দমন ব্যুরো। ২০১০ সালের ৩০ ডিসেম্বর দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে।আদালত সূত্র জানায়, আদালত ২৭ (১) ধারায় মোহাম্মদ হোসেনকে সাত বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছর কারাদণ্ড এবং ৫(২) ধারায় তিন বছর কারাদণ্ড দেন। একই আদেশে শাহানা চৌধুরীকে ২৭(১) ধারায় সাত বছর কারাদণ্ড এবং ২৬(২) ধারায় দুই বছর কারাদণ্ড দেন।দুদকের কৌঁসুলি মাহমুদুল হক প্রথম আলোকে বলেন, তৃতীয় শ্রেণীর একজন কর্মচারী হয়ে মোহাম্মদ হোসেন বিপুল অর্থবিত্তের মালিক হন। এ কারণে স্ত্রীসহ তাঁর বিরুদ্ধে দুদক মামলা করে। আদালত সাতজনের সাক্ষ্যের ভিত্তিতে মোহাম্মদ হোসেন দম্পত্তিকে দোষী সাব্যস্ত করে সাজা দেন। কিন্তু রায় ঘোষণার সময় তাঁরা পলাতক ছিলেন। | 10,293 |
নিজস্ব প্রতিবেদক | bangladesh | বাংলাদেশ | ৩১ ডিসেম্বর ২০১৭, ১০:৩৮ | ৩১ ডিসেম্বর ২০১৭, ১৩:৪২ | অনশন,শিক্ষকতা | null | আমরণ অনশনে নন-এমপিও শিক্ষক-কর্মচারীরা | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1398076 | টানা পাঁচ দিন অবস্থান কর্মসূচি শেষে আজ রোববার থেকে আমরণ অনশন শুরু করেছেন নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা। রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এই কর্মসূচি চলছে।দেশের সরকারস্বীকৃত সব মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করার দাবিতে গত মঙ্গলবার থেকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে আসছেন এসব শিক্ষক।নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী ফেডারেশনের ডাকে এ কর্মসূচি চলছে। গত শুক্রবার ফেডারেশনের নেতারা বৈঠক করে আজ থেকে অনশন কর্মসূচির সিদ্ধান্ত নেন।ফেডারেশনের সভাপতি গোলাম মাহমুদুন্নবী আজ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে প্রথম আলোকে বলেন, কিছুক্ষণ আগে থেকে তাঁরা আমরণ অনশন শুরু করেছেন।গোলাম মাহমুদুন্নবী গতকাল জানান, তাঁদের একটাই দাবি, সেটা হলো সরকারস্বীকৃত ৫ হাজার ২৪২টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ৮০ হাজার শিক্ষক-কর্মচারীকে এমপিওভুক্ত করতে হবে।ফেডারেশনের সভাপতি বলেন, ২০১১ সাল থেকে সরকার শুধু আশ্বাসই দিচ্ছে। তাই এবার দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত প্রাণ গেলেও তাঁরা অনশন থেকে সরবেন না। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা চান তাঁরা। গতকাল পঞ্চম দিনেও অবস্থান কর্মসূচিতে কয়েক শ শিক্ষক-কর্মচারী অংশ নেন। আজ অনশনে যোগ দিতে বিভিন্ন স্থান থেকে এক হাজারের বেশি শিক্ষক-কর্মচারী ঢাকায় আসছেন।অবস্থানরত শিক্ষকনেতারা বলেন, এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মতো নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও একই নিয়মনীতিতে পরিচালিত হয়। একই শিক্ষাক্রম, পাঠ্যক্রম ও প্রশ্নপদ্ধতি অনুসরণ করে। শিক্ষার্থীরাও বোর্ড থেকে একই মানের সনদ অর্জন করে। অথচ বেতন পান না তাঁরা। যদিও দেশে বিভিন্ন পর্যায়ে ২১ লাখ চাকরিজীবীর বেতন বেড়েছে।যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের মাসে বেতন-ভাতা বাবদ সরকারি অংশ দেওয়া হয়, সেগুলোকে এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বলা হয়। আর যেগুলো এমপিওভুক্ত নয়, সেগুলোর শিক্ষক-কর্মচারীরা সরকার থেকে কোনো আর্থিক সুবিধা পান না। এগুলোকে সংক্ষেপে নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বলা হয়।বর্তমানে দেশে এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আছে প্রায় সাড়ে ২৬ হাজার। এগুলোতে শিক্ষক-কর্মচারী ৪ লাখের বেশি। এর বাইরে স্বীকৃতি পেলেও নন-এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠান আছে ৫ হাজার ২৪২ টি। এগুলোতে শিক্ষক-কর্মচারীর সংখ্যা ৭৫ থেকে ৮০ হাজার। সর্বশেষ ২০১০ সালে ১ হাজার ৬২৪টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করা হয়েছিল।গতকাল সচিবালয়ে জেএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে নন-এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের কাছে প্রশ্ন রাখেন সাংবাদিকেরা। জবাবে মন্ত্রী তাঁর মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে চেষ্টা করছেন জানিয়ে শিক্ষকদের আন্দোলন থেকে সরে আসার অনুরোধ জানান। তবে এ বিষয়টির সঙ্গে অর্থ মন্ত্রণালয় জড়িত উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, এ বিষয়ে অর্থ প্রতিমন্ত্রীর নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। সেই কমিটি যে নীতিমালা করে দেবে সে অনুযায়ী কাজ হবে বলে জানান তিনি।এদিকে নয়টি শিক্ষক-কর্মচারী সংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত যৌথ মোর্চা-শিক্ষক কর্মচারী সংগ্রাম কমিটি শিক্ষাব্যবস্থা জাতীয়করণসহ ১১ দফা দাবিতে শিগগিরই ধর্মঘটে যাচ্ছে। আজ জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে কমিটি আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করবে। | 349,814 |
টাঙ্গাইল প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ১০ নভেম্বর ২০১৭, ১৯:৪৬ | ১০ নভেম্বর ২০১৭, ১৯:৪৮ | -1 | 0 | ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে যানজট | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1362541 | ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কের টাঙ্গাইল অংশের বিভিন্ন স্থানে গতকাল বৃহস্পতিবার রাত থেকে আজ শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত যানজটের সৃষ্টি হয়। ফলে এ সড়কে যাতায়াতকারী মানুষের দুর্ভোগ পোহাতে হয়।হাইওয়ে পুলিশ সূত্রে জানায়, অন্যান্য দিনের থেকে সাপ্তাহিক ছুটির আগের দিন হওয়ায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে যানবাহনের চাপ বেশি ছিল। আর মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে চার লেনের কাজের কারণে এক লেনে যানবাহন চলাচল করতে হচ্ছে। এ জন্যই সৃষ্টি হচ্ছে যানজটের। ফলে স্বাভাবিক অবস্থায় ঢাকা থেকে টাঙ্গাইল পর্যন্ত যেখানে আড়াই থেকে তিন ঘণ্টা সময় লাগে, সেখানে যানজটের কারণে শুক্রবার সময় লেগেছে ছয় থেকে সাত ঘণ্টা।সরেজমিন শুক্রবার দুপুরে এলেঙ্গা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় দেখা যায়, অতিরিক্ত যানবাহনের কারণে জট লেগে আছে। এ ছাড়া সদর উপজেলার বিক্রমহাটি, পৌলী এলাকায় রাস্তার অবস্থা খারাপ থাকায় যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। টাঙ্গাইল শহর বাইপাস, তারুটিয়া, করটিয়া, দেলদুয়ার উপজেলার নাটিয়াপাড়াসহ বিভিন্ন স্থানে চার লেনের কাজ চলার কারণে যানজটের সৃষ্টি হয়।টাঙ্গাইল শহর বাইপাসে দিনাজপুরগামী হানিফ পরিবহনের যাত্রী আকবর হোসেন বলেন, সকাল ১০টায় ঢাকা থেকে রওনা হয়ে বিকেল সাড়ে চারটায় টাঙ্গাইল পর্যন্ত পৌঁছেছেন। পথে পাঁচ-ছয় জায়গায় যানজটে পড়তে হয়েছে। বগুড়াগামী বাসের চালক হামিদুল্লাহ বলেন, যানজট থেকে মুক্ত হওয়ার পর স্বাভাবিকভাবে গাড়ি চালানো যায়নি, ধীরগতিতে চলতে হয়েছে। ট্রাকচালক জয়নাল আবেদিন বলেন, মির্জাপুর থকে টাঙ্গাইল পর্যন্ত আসতে সময় লেগেছে তিন ঘণ্টা। স্বাভাবিক অবস্থায় এ সড়কটুকু পেরোতে সময় লাগে ৪০ থেকে ৫০ মিনিট।হাইওয়ে পুলিশের এলেঙ্গা ফাঁড়ির পরিদর্শক তরিকুল ইসলাম বলেন, গাড়ির চাপ বেশি থাকায় এবং চার লেনের কাজের কারণে এই যানজট সৃষ্টি হয়েছে। যানজট নিরসনে পুলিশ সর্বাত্মক চেষ্টা করেছে। | 344,074 |
নিজস্ব প্রতিবেদক | bangladesh | বাংলাদেশ | ১০ জানুয়ারি ২০১৪, ০২:১৫ | ১০ জানুয়ারি ২০১৪, ০২:১৬ | রাজধানী (জাতীয়),রাজনীতি | 0 | আমন্ত্রণ জানিয়ে কথা বললেন না খালেদা জিয়া | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/119896 | মতবিনিময়ের জন্য গতকাল বৃহস্পতিবার রাত আটটার দিকে বিভিন্ন গণমাধ্যমের কর্মীদের গুলশানে নিজ বাসভবনে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। তবে এক ঘণ্টা পর খালেদা জিয়ার পক্ষ থেকে জানানো হয়, তিনি গণমাধ্যমের কর্মীদের সঙ্গে কথা বলবেন না। গতকাল গুলশানে চেয়ারপারসনের বাসভবনের সামনে রাত আটটা থেকে নয়টা পর্যন্ত অপেক্ষা করেন গণমাধ্যমের কর্মীরা। পরে রাত নয়টার দিকে চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের কর্মকর্তা শামসুদ্দিন দিদার সাংবাদিকদের জানান, খালেদা জিয়া তাঁদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন না। মতবিনিময়ের অনুষ্ঠানটি স্থগিত করা হয়েছে। এর আগে বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মরত প্রতিবেদকদের ই-মেইল ও মুঠোফোনে খুদে বার্তা পাঠিয়ে মতবিনিময়ের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়। | 42,459 |
নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম | bangladesh | বাংলাদেশ | ১৭ নভেম্বর ২০১৩, ০১:৩৬ | ১৭ নভেম্বর ২০১৩, ০১:৩৬ | চট্টগ্রাম,দুর্ঘটনা,বিশাল বাংলা | 0 | চট্টগ্রামে বিপণি কেন্দ্রে আগুন | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/75388 | চট্টগ্রামের বায়েজিদ বোস্তামী থানার বায়েজিদ সুপার মার্কেটে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে বিপণিকেন্দ্রটির ছয়টি দোকান পুড়ে তিন লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস। গতকাল শনিবার ভোর পাঁচটায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে, বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে বিপণিকেন্দ্রটিতে অগ্নিকাণ্ডের সূচনা হয়। | 28,546 |
সোনারগাঁ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ১৭ ডিসেম্বর ২০১৩, ০১:৩৩ | ১৭ ডিসেম্বর ২০১৩, ০১:৩৪ | সোনারগাঁ,নারায়ণগঞ্জ,ঢাকা বিভাগ,বিশাল বাংলা,অপরাধ | 0 | টঙ্গী থেকে ছিনতাই হওয়া ট্রাক সোনারগাঁয়ে উদ্ধার | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/100846 | গাজীপুরের টঙ্গী থেকে ছিনতাই হওয়া এক লাখ ডিমভর্তি একটি ট্রাক গতকাল সোমবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার নোয়াকান্দি গ্রাম থেকে জব্দ করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।সোনারগাঁ থানার ওসি আতিকুর রহমান খান জানান, গত রোববার রাতে আশুলিয়া থেকে ডিমভর্তি ট্রাকটি ঢাকার কাপ্তানবাজারে আসার পথে ছিনতাইকারীদের কবলে পড়ে। টঙ্গীর আহসানউল্লাহ মাস্টার উড়ালসড়কের ওপর একটি মাইক্রোবাস দিয়ে ট্রাকের গতি রোধ করে একদল ছিনতাইকারী। তারা অস্ত্রের মুখে ট্রাকচালককে মাইক্রোবাসে তুলে রূপগঞ্জের গাউছিয়া নামক স্থানে নামিয়ে দেয়। এদিকে ডিমভর্তি ট্রাকটি সোনারগাঁর সনমান্দি ইউনিয়নের নোয়াকান্দি গ্রামে নেওয়া হয়। পরে ডিম নামানোর সময় এলাকাবাসীর কাছ থেকে খবর পেয়ে পুলিশ ডিমসহ ট্রাকটি জব্দ করে। এ সময় ছিনতাইয়ের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে একজনকে আটক করা হয়। তবে বাকিরা পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। ছিনতাই হওয়া ডিমগুলোর মালিক ঢাকার ব্যবসায়ী নুরুল ইসলাম। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। | 36,361 |
নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী | bangladesh | বাংলাদেশ | ১৩ মার্চ ২০১৭, ০০:৪৭ | ১৩ মার্চ ২০১৭, ০০:৪৯ | মহানগর,রাজশাহী,রাজশাহী বিভাগ | 0 | উপাচার্যের ভারত সফর নিয়ে প্রশ্ন | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1105993 | মেয়াদ শেষ হওয়ার কয়েক দিন আগে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ভারতের জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে যাচ্ছেন। প্রায় ২০ মাস আগে রাজশাহী এবং জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হলেও এত দিন এর বাস্তবায়নের জন্য কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ২০১৫ সালের ৬ ও ৭ জুন বাংলাদেশে আসেন। ৬ জুন দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে নয়াদিল্লির জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়ার উপাচার্য তালাত আহমদ এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মুহম্মদ মিজানউদ্দিন নিজ নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে পারস্পরিক সহযোগিতা স্মারকে (এমওইউ) সই করেন। এতে উচ্চশিক্ষা, গবেষণা, সাংস্কৃতিক পারস্পরিক সহযোগিতার কথা বলা হয়েছে।রেজিস্ট্রারের দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ওই সমঝোতা স্মারক বাস্তবায়নে কোনো লিখিত প্রস্তাব ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠায়নি। তবে ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও উপাচার্য তালাত আহমদ সমঝোতা স্মারক বাস্তবায়নের জন্য উদ্যোগ নিতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়কে চিঠি দিয়েছেন। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান উপাচার্যের মেয়াদ ১৯ মার্চ শেষ হওয়ার কথা। এই সময় উপাচার্য ও সাতটি অনুষদের ডিন আজ সোমবার নয়াদিল্লি যাচ্ছেন। তাঁদের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ও আরও দুটি অনুষদের ডিনের যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তাঁরা ভিসা ও অন্যান্য জটিলতার কারণে যেতে পারছেন না। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধে বিশ্বাসী প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজের আহ্বায়ক রকিব আহমদ বলেন, নয়াদিল্লির ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যবসা ও কৃষি অনুষদ নেই। কিন্তু দলে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের এই দুই অনুষদের ডিনকেও নেওয়া হচ্ছে। এত দিন কাজ না করে শেষ সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের টাকায় তাঁরা বেড়াতে যাচ্ছেন বলে মনে হচ্ছে।এদিকে এমওইউ স্বাক্ষরের চার মাস পর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় যে অগ্রগতি প্রতিবেদন জমা দেয়, তা নিয়েও বিতর্ক উঠেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি সূত্র বলছে, ইনফরমেশন সায়েন্স অ্যান্ড লাইব্রেরি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের শিক্ষার্থীরা ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বরে নিজ উদ্যোগ ও খরচে ভারতে শিক্ষাসফরে যান। ওই শিক্ষাসফরের অংশ হিসেবে তাঁরা জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে যান। তাঁদের সফরকে সমঝোতা স্মারক বাস্তবায়নের অগ্রগতি হিসেবে দেখানো হয়েছে। যদিও ওই বিভাগ সফর শেষে যে স্মরণিকা প্রকাশ করেছে, তার কোনো জায়গায় দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের চুক্তি বাস্তবায়নের প্রতিনিধিত্ব করার কোনো কথা উল্লেখ করা হয়নি। রেজিস্ট্রার মু. এন্তাজুল হক গতকাল রোববার বলেছেন, ইনফরমেশন সায়েন্স অ্যান্ড লাইব্রেরি ম্যানেজমেন্ট বিভাগ শিক্ষাসফরে যাচ্ছে জেনে তাঁদের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্যকে যুক্ত করে দেওয়া হয়। উপাচার্য মুহম্মদ মিজানউদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, চুক্তি বাস্তবায়নের কাজ তাঁরা করে যাচ্ছেন। তাঁদের প্রতিনিধিদল আগে গেছে। শিক্ষার্থীরা শিক্ষাসফরে গেছে। তাঁরা আজ যাচ্ছেন। ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকেও প্রতিনিধিরা আসবেন। কৃষি ও ব্যবসা অনুষদের ডিনকে সঙ্গে নেওয়ার ব্যাপারে তিনি বলেন, তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলের প্রতিনিধি হিসেবে যাচ্ছেন। | 302,361 |
-1 | entertainment | বিনোদন | ১৩ আগস্ট ২০১৭, ০০:৫১ | ১৩ আগস্ট ২০১৭, ০০:৫৬ | আলাপন | null | বন্ধু হয়ে কথা বলি | http://www.prothom-alo.com/entertainment/article/1286981 | আজ রাত ৯টা থেকে ১১টা পর্যন্ত এবিসি রেডিওতে মডেল ও অভিনেত্রী সাফা কবিরের উপস্থাপনায় শোনা যাবে নিয়মিত অনুষ্ঠান উইংস ক্লিয়ার লেমন ড্রিংক প্রেজেন্টস লাভস্ট্রাক বাই সাফা কবির। তিনি অভিনয় আর মডেলিংয়ের পাশাপাশি কথাবন্ধুর কাজটা করছেন বছরখানেক ধরে। অভিনয় ও কথাবন্ধু হিসেবে কাজ করার অভিজ্ঞতা জানালেন তিনি।‘লাভস্ট্রাক বাই সাফা কবির’ অনুষ্ঠানটি কী নিয়ে? ‘লাভ’, মানে ‘ভালোবাসা’ নিয়ে। শ্রোতারা তাঁদের ভালোবাসা নিয়ে কথা বলেন। আমিও তাঁদের সঙ্গে ভালোবাসা নিয়ে আড্ডা দিই। ভালোবাসার সম্পর্কে তাঁদের মন খারাপ, মন ভালো কিংবা যেকোনো সমস্যা নিয়ে তাঁরা প্রশ্ন করেন, তাঁদের অনুভূতি জানান। আমি শুধু তাঁদের সঙ্গে বন্ধু হয়ে কথা বলি।কেমন সাড়া পাচ্ছেন? অনেক অনেক সাড়া পাচ্ছি। এত সাড়া পাব, তা আগে ভাবিনি। কারণ, আমি শুধু অভিনয় আর মডেলিং করতাম। রেডিওতে কেউ যে আমাকে শুনবে, তার কোনো ধারণাই ছিল না। অনুষ্ঠানটি শুরু করার পর এত সাড়া পেয়ে খুব অবাক হয়েছি, ভালোও লেগেছে।এই অনুষ্ঠান থেকে নতুন কী অভিজ্ঞতা হলো? এই যে এত শ্রোতা, ভক্ত, বন্ধুদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছি। তাঁদের ভালোবাসা পাচ্ছি, এটাই আমার অন্যতম অর্জন, বড় অভিজ্ঞতা। কারণ, আমি এমনিতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম খুব একটা ব্যবহার করি না। আর তাই আগে বুঝতে পারিনি যে ভক্তরা আমাকে এত ভালোবাসেন।মডেল, অভিনয়শিল্পী, নাকি রেডিও জকি? প্রথম থেকেই সবচেয়ে বেশি ভালোবাসি অভিনয় করতে। তারপর কথাবন্ধু হিসেবে কাজ শুরুর পর থেকে এটা ভালো লেগে যায়। তাই রেডিও জকির পরিচয়টি আমার দ্বিতীয় ভালোবাসা। এরপর মডেলিং।আর কী নিয়ে ব্যস্ত আছেন এখন? এটা তো নিয়মিত অনুষ্ঠান। এ ছাড়া বেছে বেছে প্যাকেজ নাটক করছি। ধারাবাহিক করছি না; কারণ আমার স্নাতক এখনো শেষ হয়নি। তাই পড়ালেখায় আগে সময় দিই। টেলিভিশনে একটি নিয়মিত নাচের অনুষ্ঠান করছি। এ ছাড়া টয়ার (মডেল ও অভিনেত্রী) সঙ্গে মিলে নতুন একটি ইউটিউব চ্যানেল খুলেছি। নাম ‘হলো স্টারস’। একঘেয়ে লাগলে আমরা সাম্প্রতিক কোনো বিষয় নিয়ে ভিডিও বানিয়ে সেখানে আপলোড করি। চার সপ্তাহে প্রায় ১৫ হাজার সাবস্ক্রাইবার পেয়ে গেছি। এটাও আমাকে বেশ অবাক করেছে। আশা করছি, সংখ্যাটা আরও বাড়বে।সাক্ষাৎকার: সৈয়দা সাদিয়া শাহরীন | 332,534 |
সীতাকুণ্ড (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ১১ নভেম্বর ২০১৩, ০২:০৮ | ১১ নভেম্বর ২০১৩, ০২:০৮ | সীতাকুণ্ড,চট্টগ্রাম,অপরাধ,বিশাল বাংলা | 0 | ফেনসিডিলসহ যুবক আটক | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/70894 | সীতাকুণ্ডের পৌর সদরের বটতল এলাকায় ফেনসিডিলসহ মো. শাহ আলম (২৮) নামে এক যুবককে আটক করেছে থানা পুলিশ।আটক করা শাহ আলম জামালপুরের ইসলামপুর থানার চড়চারিয়া গ্রামের মৃত সোরমান আলীর ছেলে। গতকাল রোববার তাকে আটক করা হয়। এ ব্যাপারে সীতাকুণ্ড থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। থানার এসআই জয়নাল আবেদিন বলেন, গতকাল দুপুর দেড়টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সীতাকুণ্ড পৌর সদরের বটতল এলাকায় একটি মোটরসাইকেলে করে ১৫০ বোতল ফেনসিডিল নিয়ে চট্টগ্রাম যাচ্ছিলেন শাহ আলম। তিনি তল্লাশি চালিয়ে ফেনসিডিলসহ শাহ আলমকে আটক করেন। ব্যবহূত মোটরসাইকেলটিও জব্দ করেন। | 27,141 |
ময়মনসিংহ অফিস | bangladesh | বাংলাদেশ | ০৮ মে ২০১৭, ০১:১০ | ০৮ মে ২০১৭, ০১:১২ | ময়মনসিংহ,ঢাকা বিভাগ | 0 | এসএসসির ফল সংশোধনের দাবিতে সড়ক অবরোধ | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1172471 | এসএসসি পরীক্ষার ফল সংশোধনের দাবিতে গতকাল রোববার ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা উপজেলার পদুরবাড়ি উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা মুক্তাগাছা-জামালপুর সড়ক এক ঘণ্টা অবরোধ করে রাখে। পরে পুলিশ তাদের সড়ক থেকে সরিয়ে দেয়।উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এ বছর এসএসসি পরীক্ষায় উপজেলার আর কে মডেল উচ্চবিদ্যালয়ের ৮৩ জন ও পদুরবাড়ি উচ্চবিদ্যালয়ের ৬০ জন শিক্ষার্থী অংশ নেয়। গত বৃহস্পতিবার ফল প্রকাশের পর দেখা যায়, ওই দুই বিদ্যালয়ে সবাই অকৃতকার্য হয়েছে।শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, তাদের পরীক্ষা ভালো হয়েছিল। সবাই ফেল করার কথা নয়। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কোনো গাফিলতির কারণে সবার অকৃতকার্য হওয়ার ফল এসেছে।প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্র জানায়, ফল সংশোধনের দাবিতে গতকাল দুপুর ১২টার দিকে পদুরবাড়ি উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও এলাকাবাসী মুক্তাগাছা-জামালপুর সড়কের পদুরবাড়ি এলাকায় সড়ক অবরোধ করে। এ সময় তারা সড়কে গাছের গুঁড়ি ফেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। সড়কে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এক ঘণ্টার বেশি সময় পর মুক্তাগাছা থানার পুলিশ অবরোধকারীদের সরিয়ে দেয়।পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জুলকার নায়ন, মুক্তাগাছা আসনের সাংসদ সালাহউদ্দিন আহমেদ ঘটনাস্থলে গিয়ে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের ফল পাওয়ার ব্যাপারে আশ্বস্ত করেন।কেন্দ্র সচিব ও নরেন্দ্র নারায়ণ বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আশুতোষ সরকার বলেন, ব্যবহারিক পরীক্ষার নম্বর যোগ না হওয়ায় ওই সব শিক্ষার্থীর ফল খারাপ হয়েছে। বিষয়টি সমাধানের জন্য কারিগরি বোর্ডে যোগাযোগ করা হচ্ছে।ইউএনও বলেন, সফটওয়্যারের ত্রুটির কারণে এ রকম ফল হয়েছে। দুটি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকেরা বোর্ডে যোগাযোগ করছেন। আশা করা যায় শিক্ষার্থীদের সঠিক ফল পাওয়া যাবে। যদি শিক্ষকদের ত্রুটির কারণে ফল না পাওয়া যায়, তাহলে ওই শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি অভিযোগ করেন, একটি দুষ্কৃতকারী চক্র উসকানি দিয়ে সড়ক অবরোধ করিয়ে পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করতে চাইছে। | 316,264 |
অনলাইন ডেস্ক | international | আন্তর্জাতিক | ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ২৩:২১ | ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ০৮:১২ | যুক্তরাষ্ট্র | null | ট্রুডোর প্রতি মজেছেন ইভানকা! | http://www.prothom-alo.com/international/article/1082017 | কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর দিকে একপলকে তাকিয়ে আছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কন্যা ইভানকা! ৪৩ বছরের তরুণ ট্রুডোর সেদিকে কিন্তু কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই, অন্যদিকে তাকিয়ে অনর্গল কথা বলেই চলেছেন। কিন্তু এ সময় আলোকচিত্রীর ক্যামেরায় ধরা পড়ল ইভানকার ‘মুগ্ধ’ হয়ে তাকিয়ে থাকার সেই ছবি। যেভাবে ইভানকার তাকানোর ছবিটি ক্যামেরায় ধরা পড়ল, তাতে যে কারও মনে হতে পারে কুশনারের কপালটা বোধ হয় পুড়ল।হাফিংটন পোস্ট ও দ্য গার্ডিয়ানের খবরে বলা হয়েছে, গত সোমবার হোয়াইট হাউসে নারী উদ্যোক্তাদের ক্ষমতায়ন নিয়ে একটি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানেই ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ছিলেন ইভানকাও। সভাতেই যোগ দিয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্র সফররত কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। সেখানেই ‘মুগ্ধ’ হয়ে ‘একপলকে’ ট্রুডোর দিকে তাকিয়ে ছিলেন ইভানকা। অনুষ্ঠানেরই একপর্যায়ে একটি বার্তা সংস্থার আলোকচিত্রী ওই ছবিটি তোলেন। ছবিতে দেখা যায়, জাস্টিন ট্রুডো অন্যদিকে তাকিয়ে কথা বলেই চলেছেন। পাশেই বসে ট্রুডোর দিকে যেভাবে ‘বিমোহিত’ হয়ে তাকিয়ে ছিলেন, মনে হচ্ছে এখনই ‘মূর্ছা’ যাওয়ার অবস্থা হয়েছে ইভানকার।এই ছবিটি প্রকাশ হওয়ার পরই তা বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে ‘ভাইরাল’ হয়ে যায়। ছবিটি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে শুরু হয়ে যায় নানান মন্তব্য।নারীবিষয়ক ওই সভায় অবশ্য ইভানকা ট্রাম্প বলেছেন, ‘এখানে আসতে পেরে আমি সম্মানিত। উদ্যোক্তাদের বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ আছে। আর নারী উদ্যোক্তাদের এসব চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয় প্রতিক্ষণ।’তবে ওই একটি ছবিই নয়। ওই অনুষ্ঠানের আরেকটি ছবি ‘ভাইরাল’ হয়েছে। সেখানে দেখা যায়, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের চেয়ারে বসে আছেন ইভানকা। তাঁর একপাশে দাঁড়িয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং অন্য পাশে জাস্টিন ট্রুডো।তবে জাস্টিন ট্রুডোর দিকে অন্যর তাকানোর ছবি ‘ভাইরাল’ এর আগেও হয়েছে। গত বছরে কানাডা সফরে গিয়েছিলেন ব্রিটিশ প্রিন্স উইলিয়াম ও তাঁর স্ত্রী কেট মিডলটন। ওই সময়ে একটি ছবিতে ধরা পড়ে মিডলটন আড়চোখে একমনে তাকিয়ে আছেন ট্রুডোর দিকে! ওই দৃষ্টিতেও ‘মুগ্ধতা’ খুঁজে পেয়ে শুরু করেন নানান মন্তব্য।অনেকে সেই ছবি নিয়ে টুইটারে ঝড় তুলেছেন। ডেনিয়েল নামের একজন টুইট করে বলেছেন, ইভানকা তুমি তোমার স্বামী জ্যারেড কুশনারের দিকে তাকাও।‘আপনার ভাবছেন ট্রাম্প ও ট্রুডোর মাঝখানে ইভানকার ছবিটিই আজকের দিনের সেরা ছবি? না আপনারা ভালোভাবে দেখেন, ইভানকার অপলক নয়নের তাকানোর ছবিটির দিকে।’—এ টুইটটি করেছেন ডেরেল ম্যাকমুলান নামের এক ব্যক্তি।ম্যাথিউ এ. চেরি বলেন, ইভানকার তাকানোর মধ্যে ঝুঁকি আছে।রায়ান অ্যাডামস টুইটারের টুইট করেন, ইভানকা এখন আপনার থামা উচিত। | 293,628 |
নিজস্ব প্রতিবেদক, রংপুর | bangladesh | বাংলাদেশ | ০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫, ০১:২৭ | ০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫, ০১:২৮ | রংপুর,রংপুর বিভাগ,মহানগর | 0 | অপরাধ বেড়েছে, অপরাধী শনাক্তে সিসি ক্যামেরা | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/620674 | রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে সাম্প্রতিক সময়ে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড বেড়ে গেছে। কিন্তু এসব ঘটনায় পর্যাপ্ত প্রমাণের অভাবে কারও শাস্তি হচ্ছে না। ফলে অপরাধীরাও থেকে যাচ্ছে ধরাছোঁয়ার বাইরে। এ অবস্থায় অপরাধীদের শনাক্ত করতে তৎপর হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তারই অংশ হিসেবে গত মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্থানে ১৬টি ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরা (সিসি ক্যামেরা) স্থাপন করা হয়েছে। এসব ক্যামেরার কারণে অপরাধীরা ভয় পাবে বলেও মনে করছে কর্তৃপক্ষ।বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলম জানান, ১৬টি ক্যামেরার মধ্যে আটটি প্রশাসনিক ভবনে ও আটটি উপাচার্যের বাসভবনে বসানোর প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। পর্যায়ক্রমে গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে ক্যামেরা বসানো হবে।এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মোর্শেদ উল আলম বলেন, প্রশাসনিক ভবনে প্রায়ই অপরাধমূলক ঘটনা ঘটছে। অপরাধীদের চেনা গেলেও প্রমাণের অভাবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণে জটিলতা দেখা দেয়। তাই অপরাধীদের শনাক্ত করতে সিসি ক্যামেরা বসানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, প্রশাসনিক ভবনের কর্মকর্তাদের কাছে চাঁদাবাজি, তাঁদের ভয়ভীতি-হুমকি ও কর্মকর্তাদের ফাইলপত্র তছনছ করাসহ নানা অপরাধ কর্মকাণ্ড ঘটছে। এসব অপরাধের সঙ্গে কতিপয় কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিক্ষার্থী জড়িত বলে অভিযোগ রয়েছে। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে গত আট মাসে এ ধরনের ১২টি ঘটনা ঘটেছে। সর্বশেষ ১৬ আগস্ট প্রশাসনিক ভবনের নিচতলায় জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলীর কক্ষে ফাইলপত্র তছনছ করে তাঁর কাছে চাঁদা দাবির ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে তাঁকে লাঞ্ছিতও করা হয়। এ ছাড়া ১৪ আগস্ট একই ভবনের দোতলায় নির্বাহী প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলমের কক্ষেও একই ধরনের ঘটনা ঘটে।এভাবে আট মাসের মধ্যে ১২টি ঘটনায় সমান সংখ্যক তদন্ত কমিটি করা হলেও তারা সঠিক কোনো তদন্ত করতে পারেনি। এর কারণ হিসেবে তদন্ত কমিটির সদস্যরা যুক্তিসংগত প্রমাণ না পাওয়াকে দায়ী করেছেন।২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতির ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির সভাপতি গণিত বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আর এম হাফিজুর রহমান বলেন, সুনির্দিষ্টভাবে অপরাধ প্রমাণ করা যায়নি বলে তদন্তও শেষ করা সম্ভব হয়নি। সিসি ক্যামেরা বসানোয় অপরাধের ঘটনার প্রমাণ পাওয়া অনেকটা সহজ হবে মন্তব্য করে তিনি বলেন, এতে অপরাধীরাও অপরাধ করতে ভয় পাবে।১৬ আগস্টের হামলার ঘটনার উল্লেখ করে জনসংযোগ দপ্তরের প্রধান কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘আমরা নিরাপত্তাহীনতায় চাকরি করছি। প্রায় সময় আমাদের হুমকি-ধমকি দেওয়া হয়। অপরাধীদের চিহ্নিত করতেই সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছে।’অপরাধ দমনে শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সহযোগিতা কামনা করে উপাচার্য এ কে এম নূর-উন-নবী বলেন, নতুন এ বিশ্ববিদ্যালয়ে সব কাজ একসঙ্গে করা সম্ভব নয়। অনেক লোকবলের প্রয়োজন। বিরাজমান সমস্যা সমাধানে যথাসাধ্য চেষ্টা করা হচ্ছে। ধীরে ধীরে সব ঠিক হয়ে যাবে। | 165,520 |
নিজস্ব প্রতিবেদক | bangladesh | বাংলাদেশ | ১৬ জানুয়ারি ২০১৪, ১৩:১৯ | ১৬ জানুয়ারি ২০১৪, ১৫:৩৬ | রাজনীতি | null | অপপ্রচারে বিভ্রান্ত না হতে অনুরোধ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/124386 | সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইট ফেসবুকসহ ইন্টারনেটে ‘বাংলাদেশে ভারতীয় বাহিনীর উপস্থিতি’-সংক্রান্ত যেসব তথ্য প্রচার করা হচ্ছে, সেগুলো সম্পূর্ণ অসত্য ও বানোয়াট বলে মন্তব্য করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।আজ বৃহস্পতিবার মন্ত্রণালয়ের বহিঃপ্রচার অনুবিভাগের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও দিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের মধ্যে কিছু কাল্পনিক যোগাযোগ উদ্ধৃত করা হয়েছে, যা সম্পূর্ণরূপে ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। প্রচারিত এসব তথ্যের সঙ্গে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অথবা অন্য কোনো মন্ত্রণালয়ের অথবা বিদেশের বাংলাদেশের কোনো দূতাবাসের কোনো ধরনের সম্পৃক্ততা নেই। এ ধরনের অপপ্রচারে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য সবাইকে অনুরোধ জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। | 43,759 |
সরিষাবাড়ী (জামালপুর) প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ১৩:২১ | ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ১৩:৪১ | অপরাধ,ঢাকা বিভাগ,জামালপুর | 0 | যমুনা সার কারখানা থেকে সার পরিবহন বন্ধ | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1328066 | সরিষাবাড়ীতে পৌর লাইসেন্স পরিদর্শক মারুফ হোসেনকে কুপিয়ে আহত করার প্রতিবাদে যমুনা সার কারখানা এলাকায় তারাকান্দি-ভুয়াপুর সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন এলাকাবাসী। এ কারণে ওই সড়কে যান চলাচল ও যমুনা সার কারখানা থেকে সার পরিবহন বন্ধ রয়েছে।আজ বুধবার সকাল সাড়ে আটটা থেকে তারাকান্দি-ভুয়াপুর সড়ক অবরোধ করে রেখেছেন এলাকাবাসী। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ যাত্রী ও সার ব্যবসায়ীরা।স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, পৌর লাইসেন্স পরিদর্শক মারুফ হোসেনের কাছে বেশ কয়েক দিন ধরে চাঁদা চেয়ে আসছিলেন আওনা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য রাজা মিয়া। কিন্তু মারুফ চাঁদা না দেওয়ায় ক্ষিপ্ত ছিলেন রাজা। আজ সকালে মারুফ মোটরসাইকেলে আওনা এলাকায় রাজার বাড়ির কাছ দিয়ে যাচ্ছিলেন। এ সময় রাজা তাঁর মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে চলে যান। পরে স্থানীয় লোকজন মারুফকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে যমুনা সার কারখানা হাসপাতালে নিয়ে যায়। অবস্থার অবনতি হলে পরে তাঁকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। এই ঘটনার প্রতিবাদে ও রাজা মিয়াকে গ্রেপ্তারের দাবিতে সকাল সাড়ে আটটা থেকে তারাকান্দি-ভুয়াপুর সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন এলাকাবাসী। বিক্ষোভ এখনো চলছে। এ কারণে ওই সড়কে যান চলাচল ও যমুনা সার কারখানা থেকে ১৯ জেলায় সার পরিবহন বন্ধ রয়েছে। যমুনা সার কারখানার ব্যবস্থাপনা পরিচালক খান জাভেদ আনোয়ার বলেন, সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভের কারণে সকাল সাড়ে আটটা থেকে ট্রাকে কারখানার সার পরিবহন বন্ধ রয়েছে।আওনা ইউপির চেয়ারম্যান বিল্লাল হোসেন বলেন, রাজা মিয়া একজন দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী। দীর্ঘ দিন ধরে তিনি নানা অপকর্ম করে আসছিলেন। আজ মারুফকে কুপিয়ে আহত করেছেন। এ কারণেই এলাকাবাসী সড়ক অবরোধ বিক্ষোভ করছেন।তারাকান্দি পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের কর্মকর্তা জোয়ায়ের হোসেন খান বলেন, মারুফকে কুপিয়ে আহত করার বিষয়ে এখনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। | 338,977 |
মামুনুর রশীদ, ঢাকা | bangladesh | বাংলাদেশ | ০৫ মে ২০১৯, ১০:৪৪ | ০৬ মে ২০১৯, ১৫:৪৮ | রাজধানী,ঢাকা,ঢাকা মহানগর,ঢাকা বিভাগ,মগবাজার | null | বাড়ির ছাদে যোদ্ধা মোরগ | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1592255 | চারতলা বাড়ির ছাদে সুপরিসর খাঁচা ও বড় ফোকরযুক্ত কাঠের বাক্সে আটকানো মোরগগুলো প্রায় পালকহীন। নগ্ন বুক। মাঝেমধ্যে পলক পড়লে চোখগুলো ঢেকে যাচ্ছে সাদা পর্দায়। মাংসল ও পেশিবহুল পায়ের ওপর দাঁড়িয়ে থাকা একেকটি মোরগ যেন চৌকস কোনো দৌড়বিদের ভাস্কর্য।মগবাজার তালতলা গলির তরুণ ব্যবসায়ী মো. ইমতিয়াজউদ্দীন বাড়ির ছাদে এমন সাতটি মোরগ পুষছেন। এগুলো জাতে ‘আসলি’ বা যোদ্ধা মোরগ। ‘আসিল মোরগ’ নামেও পরিচিতি আছে। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে প্রচলিত মোরগ লড়াই এখনো জনপ্রিয় একটা খেলা। উৎসব-পার্বণসহ নানা লোকজ ও পারিবারিক অনুষ্ঠানে অনেকে এমন প্রতিযোগিতার আয়োজন করেন। সেসব প্রতিযোগিতায় নিজের মোরগ নিয়ে ছুটে যান ইমতিয়াজউদ্দীন।সম্প্রতি ইমতিয়াজউদ্দীনের সঙ্গে দেখা হয় তালতলা গলিতে তাঁর বাসভবনের সামনেই। তিনি তখন একটি মোরগ কোলে নিয়ে তাঁর বাবার সঙ্গে হেঁটে বেড়াচ্ছিলেন। কৌতূহলী জিজ্ঞাসায় তাঁর কাছ থেকে জানা গেল, লড়াইয়ের জন্য মোরগ পালন তাঁদের পারিবারিক ঐতিহ্য। একসময় তাঁর দাদা এই মোরগ পুষেছেন, বাবারও শখ ছিল মোরগ লড়াইয়ে অংশ নেওয়ার। এখন তিনি পালন করেন। কথা প্রসঙ্গে জানা যায়, মগবাজার এলাকার দিলু রোডের নামকরণ হয়েছে যে দিলু ব্যাপারীর নামে, তাঁর ছেলেদেরও এই মোরগ পালনের শখ ছিল। ইমতিয়াজউদ্দীনের দাদা শামসুদ্দিন ব্যাপারী ছিলেন দিলু ব্যাপারীর বড় নাতি।ছাদে গিয়ে দেখা গেল, এমন সাতটি মোরগের সঙ্গে তিনটি মুরগিও আছে। এর কয়েকটি তিনি সংগ্রহ করেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল এলাকা থেকে। বাকিগুলো বাড়িতেই ডিম ফুটে ছানা হয়েছে। এর মধ্যে সাদা পালকের ‘জাওয়া আসলি’ মোরগটার লড়াইয়ের দীর্ঘ অভিজ্ঞতা হয়েছে। যে কারণে এটার বাজারদর এখন ৫০ হাজার টাকার বেশি। ইমতিয়াজউদ্দীনের বক্তব্য, এটাই আসল আসলি। অন্য রঙের যে মোরগগুলো দেখা যায়, সেগুলো মিশ্র জাতের। যেমন লাকা আসলি, মুরগিপর আসলি, কালো আসলি ইত্যাদি।কথাবার্তায় জানা গেল, মোরগ লড়াইয়ের মৌসুম শুরু হয় ডিসেম্বর থেকে। চলে জুন-জুলাই পর্যন্ত। দেশের বিভিন্ন জায়গায় ৪০টির মতো ক্লাব আছে, যারা এ ধরনের লড়াইয়ের আয়োজন করে। ইমতিয়াজউদ্দীন নিজে বছিলার ‘বাংলাদেশ আসলি মোরগ উন্নয়ন সংস্থার’ একজন সদস্য। প্রতিযোগিতার অন্তত এক মাস আগে ক্লাবগুলো একে অন্যের সঙ্গে যোগাযোগ করে। পারস্পরিক আলোচনা ও সম্মতির ভিত্তিতে স্থান নির্ধারিত হয়। সে অনুসারে ক্লাবের সদস্যরা লড়াইয়ের জন্য নিজেদের মোরগগুলোকে তৈরি করেন।কথিত আছে, মোগল আমলে সরাইলের এক দেওয়ান সূদুর ইরান থেকে একধরনের যুদ্ধবাজ মোরগ এ দেশে নিয়ে আসেন। যা পরবর্তী সময়ে আসলি মোরগ নামে পরিচিতি পায়। সে সময় দেওয়ানদের প্রত্যক্ষ পৃষ্ঠপোষকতায় এই অঞ্চলে মোরগ লড়াইয়ের গোড়াপত্তন ঘটে। যা পরে দেশের অনেক এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। ইতিহাসবিদ মুনতাসীর মামুন তাঁর ঢাকা: স্মৃতি বিস্মৃতির নগরী গ্রন্থে বলেছেন, ঢাকার আদি এই প্রতিযোগিতা মোগল আমলের শেষ দিকে অব্যাহত ছিল। ধনাঢ্য ব্যক্তিরা ছিলেন মোরগ লড়াইয়ের পৃষ্ঠপোষক। তাই একে শাহি শখ বলা হতো। ধনীদের এই আয়োজনে অংশ নিত ভিনদেশি জাতের মোরগ। আর দেশি মোরগের লড়াই ছিল সাধারণের আয়োজন।সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, সাধারণত কোনো প্রতিযোগিতার আগে নিজের সংগ্রহে থাকা মোরগগুলোর মধ্যে লড়াই বাধিয়ে সবচেয়ে শক্তিশালী মোরগটিকে বাছাই করা হয়। এরপর চলে বিশেষ প্রশিক্ষণ। একটা মোরগ কমপক্ষে দুই ঘণ্টা লড়াই করতে পারে। আর চ্যাম্পিয়নশিপের লড়াইয়ের নির্ধারিত সময় ৩ ঘণ্টা ৪০ মিনিট। লড়াইয়ের পর দীর্ঘ সময় মোরগগুলোকে খুব যত্নে রাখতে হয়। যেমন গরম সেঁক দেওয়া, মালিশ করা, ব্যথানাশক ওষুধ খাওয়ানো। সাধারণত ভালো জাতের এক দিনের একটা বাচ্চা মোরগ ৫০০ থেকে কয়েক হাজার টাকায় বিক্রি হয়। আর লড়াইয়ের উপযোগী পূর্ণবয়স্ক একটা মোরগের দাম নির্ধারণ করে জাত ও লড়াইয়ের অভিজ্ঞতার ওপর। এ ক্ষেত্রে মোরগটি কতগুলো লড়াইয়ে অংশ নিয়েছে, কতগুলো লড়াই জিতেছে, এসব বিবেচনায় নেওয়া হয়। এই নিরিখে পূর্ণবয়স্ক মোরগের দাম লাখ টাকায় উঠতে পারে। | 400,719 |
নিজস্ব প্রতিবেদক, কক্সবাজার | sports | খেলা | ২৯ অক্টোবর ২০১৩, ০১:২৮ | ২৯ অক্টোবর ২০১৩, ০১:৩০ | খেলা,আন্তর্জাতিক ক্রিকেট | 0 | ভেন্যু বাতিলে ক্ষুব্ধ কক্সবাজার | http://www.prothom-alo.com/sports/article/59863 | আগামী বছরের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের কোনো ম্যাচ হবে না কক্সবাজারে। সৈকতছোঁয়া গলফ মাঠে প্রায় ২০ কোটি টাকায় নির্মীয়মাণ শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ম্যাচ হবে, এমনটাই আশা করেছিল সমুদ্রশহরের জনগণ। কিন্তু সূচিতে বিশ্বকাপের কোনো ম্যাচ নেই। আর এটা জেনে ফুঁসে উঠেছে গোটা কক্সবাজার। এখানে ম্যাচ আয়োজনের দাবিতে মাঠে নেমেছে আওয়ামী লীগ, বিএনপি, বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন।‘কক্সবাজার বাঁচাও আন্দোলনের’ উদ্যোগে কাল বেলা ১১টায় জেলা প্রশাসক কার্যালয় চত্বরে হয়েছে মানববন্ধন ও সমাবেশ।মানববন্ধন কর্মসূচিতে অংশ নেয় কক্সবাজার জেলা ক্রীড়া সংস্থা, সিভিল সোসাইটি, সাংবাদিক ইউনিয়ন, জেলা উদীচী, জেলা আইনজীবী সমিতি, কক্সবাজার বন ও পরিবেশ সংরক্ষণ পরিষদ, কক্সবাজার সাংবাদিক সংসদ, প্রথম আলো বন্ধুসভা, কক্সবাজার জেলাবাসী, বাংলাদেশ ক্রীড়া লেখক সমিতি, ঝাউতলা সৈকত ক্রীড়া সংঘসহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন।স্থানীয় সাংসদ লুৎফর রহমান বলেন, ‘অদৃশ্য কারণে কক্সবাজার ভেন্যু বাতিল করা হয়েছে। এতে জেলার ২৪ লাখ মানুষ হতাশ। ২৮ অক্টোবর আইসিসির প্রতিনিধিদলের কক্সবাজার ভেন্যু পরিদর্শনের সিদ্ধান্ত ছিল। কিন্তু রহস্যজনক কারণে ভেন্যু না দেখে বিশ্বকাপ আসর থেকে কক্সবাজারকে বাদ দেওয়া হয়েছে।’জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক জসিমউদ্দিন খুব হতাশ। বক্তব্য দিতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি। ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, ‘পাঁচ বছর ধরে এই ক্রিকেট স্টেডিয়ামের পেছনে কষ্ট করছি। উদ্দেশ্য ছিল বিশ্বকাপের ম্যাচ পাব। কিন্তু সবকিছু ঠিকঠাক থাকার পরও কেন কক্সবাজার ভেন্যু বাদ গেল জানতে চাই।’মানববন্ধন ও প্রতিবাদ কর্মসূচি শেষে ভেন্যু স্থাপনের দাবিতে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বরাবর স্মারকলিপি পাঠানো হয়। স্মারকলিপিতে দাবি করা হয়, কক্সবাজারে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আসর বসলে সারা বিশ্বে সমুদ্রসৈকতের পর্যটনশিল্পের বিকাশ ঘটবে। বাড়বে বিদেশি বিনিয়োগ। | 23,723 |
খেলা ডেস্ক | sports | খেলা | ২২ জুলাই ২০১৮, ১৩:২০ | ২২ জুলাই ২০১৮, ১৬:২১ | ফুটবল,ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো | null | প্রায় ২০ লাখ টাকা বকশিশই দিয়েছেন রোনালদো | http://www.prothom-alo.com/sports/article/1537691 | বিশ্বকাপ থেকে পর্তুগাল ছিটকে পড়ার পর গ্রিসের একটি হোটেলে পরিবার নিয়ে ১০ দিন ছুটি কাটিয়েছেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। হোটেল ছাড়ার সময় কর্মীদের ২০ হাজার ইউরো বকশিশ দেন এই পর্তুগিজ তারকাফুটবলের বিপণন-বিজ্ঞাপনের জগতে তাঁর দর সবচেয়ে বেশি। ক্লাবগুলোর অন্যতম কাঙ্ক্ষিত ফুটবলার তো বটেই, জুভেন্টাস তাঁকে কিনে যেন হাতে চাঁদ পেয়েছে! এরই মধ্যে ক্লাবটির জার্সি আর টিকিট বিক্রি অবিশ্বাস্যভাবে বেড়ে গেছে। বুঝতেই পারছেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর কথাই বলা হচ্ছে। বিশ্বের অন্যতম সেরা এই ফুটবলারের হৃদয়টাও কিন্তু অনেক বড়। গ্রিসে ছুটি কাটাতে গিয়ে যেমন হোটেলকর্মীদের বকশিশ দিয়েছেন দুহাত ভরে!ছুটি কাটাতে পরিবার ও বন্ধুবান্ধব নিয়ে গ্রিসের পেলোপনেস অঞ্চলের বিলাসবহুল কস্তা নাভারিনো হোটেলে উঠেছিলেন রোনালদো। জুভেন্টাস তারকা হোটেল ছাড়ার সময় কর্মীদের শুধু বকশিশ হিসেবেই দিয়েছেন ২০ হাজার ইউরো। বাংলাদেশি মুদ্রায় অঙ্কটা প্রায় ২০ লাখ টাকা (১৯ লাখ ৬৮ হাজার ৯৬১ টাকা)। রোনালদোর পরিবারের খেদমতে নিয়োজিত ১০ জন হোটেলকর্মী এই টাকা সমান ভাগ করে নিয়েছেন।গ্রিসে খেলাধুলাভিত্তিক অনলাইন সাময়িকী ‘স্পোর্টটাইম.জিআর’ জানিয়েছে, ‘রোনালদোর পরিবারকে সেবা দিতে এবং পাপারাজ্জিদের কবল থেকে দূরে রাখতে নিয়োজিত ১০ জন কর্মীর প্রত্যেক দুই হাজার ইউরো করে পেয়েছেন।’ সংবাদমাধ্যমটি আরও জানিয়েছে, হোটেলের সেবাযত্নে খুশি হয়েই এই বড় অঙ্কের বকশিশ দিয়েছেন রোনালদো। বিশ্বকাপ থেকে পর্তুগাল ছিটকে পড়ার পর পরিবার নিয়ে এই হোটেলে ১০ দিন ছুটি কাটিয়েছেন ৩৩ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ড। হোটেলের রয়্যাল মেথোনি ভিলায় ছিলেন পর্তুগিজ তারকা। খ্যাতনামা ব্যক্তিদের থাকার জন্য বিশেষভাবে বানানো এই ভিলায় নানা রকম সুব্যবস্থা রয়েছে।রোনালদোর সৌজন্যবোধে খুশি হয়ে হোটেলটির এক কর্মী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিখেছেন, ‘রোনালদো এবং তাঁর পরিবারকে দেখাশোনা করতে পারা আমাদের দলটার জন্য বিশেষ সম্মান এবং দারুণ অভিজ্ঞতা। আমাদের পথচলায় সময় দেওয়ার জন্য রোনালদোকে অকৃত্রিম ধন্যবাদ।’ গ্রিসের এই হোটেলে এর আগে হলিউড তারকা অ্যাঞ্জেলিনা জোলি ও ব্রাড পিট সময় কাটিয়েছেন। | 371,192 |
-1 | technology | বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি | ০৬ জানুয়ারি ২০১৫, ০১:৩১ | ০৬ জানুয়ারি ২০১৫, ০১:৩৪ | বিজ্ঞান-প্রযুক্তি,খবরাখবর | 0 | স্কুলশিক্ষায় নবধারা | http://www.prothom-alo.com/technology/article/416266 | যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার সামিট পাবলিক স্কুলটি আর দশটা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মতো নয়। স্কুলটির শিক্ষকেরা ক্লাসে দাঁড়িয়ে শিক্ষা দেন না। এর পরিবর্তে শিশুদের সিলেবাসের ভেতরে যাওয়ার দিকনির্দেশনা দেয় সফটওয়্যার। একজন শিক্ষক থাকেন, যিনি প্রশ্নগুলোর জবাব দেন এবং অধিকতর জটিল ধারণাগুলো ব্যাখ্যা করে শোনান।এই শিক্ষাপদ্ধতিটা গড়ে তোলা হয়েছে একটা ধারণার ভিত্তিতে: শিশুরা সবচেয়ে ভালো করে তখনই, যখন তারা নিজেরাই নিজেদের লক্ষ্য নির্ধারণ করে নিতে পারে এবং নিজেদের সুবিধামতো গতিতে এগোনোর সুযোগ পায়। এর আগে যেসব গবেষণা করা হয়, তার ফলে দেখা গিয়েছিল, প্রথাগত শিক্ষাপদ্ধতির চেয়ে এটাই শিশুকে অধিকতর কার্যকরভাবে শিখতে সাহায্য করে।সামিট স্কুলে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ডায়ানে ট্যাভেনার বলেন, ‘আমরা যেসব কর্মকাণ্ডকে স্বয়ংক্রিয় করেছি, প্রথাগত শিক্ষাব্যবস্থায় যেগুলোর জন্য শিক্ষকেরা তাঁদের বেশির ভাগ সময়ই ব্যয় করে থাকেন। যেসব বিষয় শিক্ষার্থীদের জন্য সরাসরি খুব বেশি গুরুত্বপূর্ণ নয়, সেগুলো আমরা অপসারণ বা বাতিল করেছি।’সামিট যুক্তরাষ্ট্রের একগুচ্ছ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের একটি, যারা শিক্ষার্থীদের শিক্ষাদানের পদ্ধতিটাকে সম্পূর্ণভাবে পাল্টে দিতে প্রযুক্তির সহায়তা নিচ্ছে। সামিটের চারটি স্কুলে নতুন পদ্ধতি ব্যবহার শুরু হয়েছিল তিন বছর আগে। বর্তমানে ১১ থেকে ১৮ বছর বয়সী দুই হাজার শিক্ষার্থী গুগল ক্রোমবুক ব্যবহার করছে। প্রথাগত ল্যাপটপের চেয়ে এটা দামেও সস্তা, আবার ব্যবহারে সুবিধা-স্বাচ্ছন্দ্যও বেশি। কারণ, বেশির ভাগ সফটওয়্যারই চলে ক্লাউডে। একটি ওয়েব প্ল্যাটফর্ম শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য শনাক্ত এবং তাদের পড়াশোনায় উদ্বুদ্ধ করে থাকে।সামিট পাবলিক স্কুলের শিক্ষার্থীরা কারিক্যুলেট নামের একটা ই-রিডিং পদ্ধতি ব্যবহার করে থাকে। এর ফলে শিক্ষার্থীরা যে অংশ পড়তে ব্যস্ত, সেই অংশে শিক্ষকেরা নিজেদের নোট এবং চিন্তাভাবনা যুক্ত করে দিতে পারেন। পাশাপাশি এই পদ্ধতি শিক্ষার্থীদের অগ্রগতির বিষয়টি পারসোনালাইজড লার্নিং প্ল্যানে পাঠিয়ে দেয়। এটা এক ধরনের অনলাইন ড্যাশবোর্ড, যা শিক্ষার্থীদের পুরো শিক্ষাজীবনের কর্মকাণ্ডের গতিবিধির ওপর নজর রাখে। স্কুলে শিক্ষার্থীরা কতটা ভালো কিংবা মন্দ করল, সেই তথ্যের ভিত্তিতে ড্যাশবোর্ডটি প্রতিটি শিক্ষার্থীকে পাঠ্য উপাদান বণ্টন করে। উদাহরণস্বরূপ, একজন শিক্ষার্থী চলতি সপ্তাহে একটি ই-বুকের পরবর্তী ১০ পৃষ্ঠার পড়ার লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করতে পারে। এই পদ্ধতি তার পড়ার অগ্রগতির ওপর নজর রাখবে এবং নিয়মিত তাকে বিষয়টা জানাবে। এর মাধ্যমে শিক্ষার্থী পিছিয়ে পড়লে একজন শিক্ষক হস্তক্ষেপ করে তাকে পড়ার ভেতরে ফিরিয়ে আনতে সচেষ্ট হবেন।শিক্ষকেরা তাঁদের শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় উদ্বুদ্ধ করতে পারেন, এটা ঠিক। তবে ক্লাসের সব শিক্ষার্থীর অগ্রগতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করার সময় তাঁদের হাতে থাকে না। কিন্তু ক্লাউডভিত্তিক কম্পিউটারে শেখার উপকরণে পূর্ণ প্রবেশাধিকার এবং শিক্ষার্থীদের অগ্রগতি পরিমাপের ব্যবস্থা থাকায় এটা একেবারেই সোজা। সিইও ট্যাভেনার বলেন, ‘গুরুত্বপূর্ণ পার্থক্যটা হলো, শিক্ষাকে অধিকতরভাবে নিজস্বকরণের জন্য প্রযুক্তি আমাদের হাতে এখন রয়েছে, যেটা আগে একেবারেই ছিল না।’ইউনিভার্সিটি অব ভার্জিনিয়ার শিক্ষা মনস্তত্ত্ববিদ ক্রিস হুলেমান মনে করেন, সামিট স্কুলের এই প্রকল্প লক্ষ্য-নির্ধারণ তত্ত্বের কিছু মৌলিক বৈশিষ্ট্যকে পূরণ করে। সেটা হচ্ছে, মানুষ তখনই ভালো করে, যখন সে নিজেই নিজের লক্ষ্যটা নির্ধারণ করে এবং নিজেদের অগ্রগতির ব্যাপারে সুনির্দিষ্টভাবে তাকে কেউ জানিয়ে দেয়। একটা ক্লাসে অনেক শিক্ষার্থী থাকায় সবার ওপরে নজর রাখা এবং তাদের অগ্রগতি ঠিকঠাক জানিয়ে দেওয়া একজন শিক্ষকের পক্ষে সম্ভব নয়। কিন্তু কাজটা অনেক ভালোভাবেই করতে পারে একটা সফটওয়্যার। হুলেমান বলেন, ‘কার্যকর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করার জন্য পৃথক্করণ করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আপনি একটা কিছু করলেন বা বললেন, আর প্রতিটি শিশুই শিখে ফেলল, সেটা সম্ভব নয়। কারণ, শিশুদের মধ্যে জ্ঞান ও দক্ষতার ফারাক থাকবে, এটাই স্বাভাবিক।শিক্ষায় এই পদ্ধতির প্রয়োগ হচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে এমন ২৩টি স্কুলে যৌথভাবে জরিপ চালিয়েছে গবেষণা প্রতিষ্ঠান র্যা ন্ড ফাউন্ডেশন এবং বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন। জরিপে দেখা দেছে, পড়া শেখা ও গণিতে দক্ষতার ক্ষেত্রে জাতীয় গড়ের চেয়ে অনেক বেশি এগিয়ে ওই স্কুলগুলোর শিক্ষার্থীরা। নিউসায়েনটিস্ট | 104,463 |
ক্রীড়া প্রতিবেদক | sports | খেলা | ০২ নভেম্বর ২০১৩, ০১:৫৩ | ০২ নভেম্বর ২০১৩, ০১:৫৪ | খেলা,দেশের ফুটবল | 0 | জেলা ফুটবল লিগ | http://www.prothom-alo.com/sports/article/63265 | নোয়াখালী জেলা স্টেডিয়ামে চলছে স্থানীয় ডিএফএ ফুটবল লিগ। গতকালের খেলায় ব্রাদার্স ইউনিয়ন ৪-১ গোলে হারিয়েছে নোয়াখালী ফুটবল একাডেমিকে। জয়ী দলের দুটি গোল করেন মিরাজ। অন্য দুটি গোল সুলতান ও ডালিমের। লিগের আয়োজন করেছে নোয়াখালী জেলা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (ডিএফএ)। | 24,791 |
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঝিনাইদহ | bangladesh | বাংলাদেশ | ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৫, ০২:২০ | ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৫, ০২:২৩ | ঝিনাইদহ,খুলনা বিভাগ,বিশাল বাংলা,অপরাধ | 0 | ছেলেকে না পেয়ে বাবাকে আটক করল পুলিশ | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/445405 | ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার শ্রীরামপুর গ্রামে গত বৃহস্পতিবার রাতে এরশাদ হোসেন (২১) নামের এক কলেজছাত্রকে গ্রেপ্তার করতে অভিযান চালায় পুলিশ। এ সময় এরশাদকে না পেয়ে তাঁর বাবা মইন উদ্দিনকে আটক করা হয়। এরশাদ স্থানীয় মাহাতাব উদ্দিন ডিগ্রি কলেজে বিএ প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ও জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত।পরিবার সূত্রে জানা গেছে, গত ১৭ জানুয়ারি কালীগঞ্জ শহরে বিএনপির পক্ষ থেকে একটি মিছিল বের করা হয়। সেই মিছিলে এরশাদ অংশ নেন। এরপর মিছিলে অংশগ্রহণকারীদের আটকে পুলিশ অভিযান চালায়। ২৯ জানুয়ারি দুপুরে জমিতে বাবার সঙ্গে কাজ করার সময় পুলিশ এরশাদকে আটক করে। পরে শহরের কালীবাড়ির মোড়ে ককটেল ছোড়া একটি পুরোনো মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। ১ ফেব্রুয়ারি জামিন পান এরশাদ। ২ ফেব্রুয়ারি পুলিশের দায়ের করা ককটেল ছোড়ার আরেকটি মামলায় এরশাদকে আসামি করা হয়। ওই মামলায় বৃহস্পতিবার রাত একটার দিকে এরশাদের বাড়ি একদল পুলিশ ঘিরে ফেলে। এরপর পুলিশ পরিবারের সদস্যদের কাছে এরশাদ কোথায় জানতে চায়। পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ওই মিছিল ও আটকের ঘটনার পর তাঁকে এক আত্মীয় বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। এরশাদ যেন কোনো মিছিল-সমাবেশে না যেতে পারে, সে কারণে এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এ সময় নিরীহ কৃষক মইন উদ্দিনকে আটক করে নিয়ে যায় পুলিশ। সকালে থানায় যোগাযোগ করা হলে তারা জানায়, ছেলেকে দিলে মইনকে ছেড়ে দেওয়া হবে।এরশাদের পরিবারের দাবি, তাঁদের সন্তান মিছিল করেছিল এটাই তাঁর অপরাধ। এ ছাড়া এরশাদ কোনো সহিংস ঘটনার সঙ্গে জড়িত নন। কালীগঞ্জে এখন পর্যন্ত হরতাল-অবরোধে কোনো সহিংস ঘটনা ঘটেনি। এর পরও পুলিশ এরশাদকে বিভিন্ন মামলায় আসামি করছে।কালীগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নজরুল ইসলাম গতকাল বেলা একটার দিকে প্রথম আলোকে জানান, এরশাদকে না পেয়ে মইন উদ্দিনকে থানায় আনা হয়েছে। তবে জিজ্ঞাসাবাদের পর তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হবে। | 113,314 |
-1 | entertainment | বিনোদন | ২৯ ডিসেম্বর ২০১৩, ০০:০১ | ২৯ ডিসেম্বর ২০১৩, ০০:০১ | বিনোদন | 0 | abc আজকের আয়োজন | http://www.prothom-alo.com/entertainment/article/110119 | তথ্য ও বিনোদনযাহা বলিব সত্য বলিবকথাবন্ধু কিবরিয়ার সঙ্গে[রাত ১১.২০-২.০০]এবিসি খবর[সকাল ৮.০০-রাত ১২.০০ পর্যন্ত প্রতি ঘণ্টায়] | 39,614 |
বিবিসি | international | আন্তর্জাতিক | ১৪ মে ২০১৯, ১৪:৩১ | ১৬ মে ২০১৯, ১২:৫৭ | ইউরোপ,সুইডেন,উইকিলিকস,জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ | 0 | সুইডেনে অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা ফের চালু | http://www.prothom-alo.com/international/article/1593846 | অনলাইনভিত্তিক অলাভজনক আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম উইকিলিকসের সহপ্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে ধর্ষণের যে তদন্ত সুইডেন বন্ধ করে দিয়েছিল, তা পুনরায় শুরু হয়েছে। অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে যিনি এ অভিযোগ এনেছিলেন, তাঁর আইনজীবীর অনুরোধে তদন্ত পুনরায় শুরু হলো। তবে সুইডেনে প্রত্যাবাসন এড়াতে অ্যাসাঞ্জ এ অভিযোগ অস্বীকার করেছিলেন।যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন জোটের আফগানিস্তান অভিযানের প্রায় ৭০ হাজার শ্রেণিবদ্ধ নথি ২০১০ সালের জুলাইয়ে প্রকাশ করেছিল উইকিলিকস। এসব তথ্য পরে বিশ্ব গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। এ ছাড়া ওই বছরের অক্টোবর নাগাদ ইরাক আক্রমণের ৪ লাখ নথি এবং যুক্তরাষ্ট্রের আড়াই লাখ কূটনৈতিক তারবার্তা প্রকাশ করে অ্যাসাঞ্জের প্রতিষ্ঠান। মূলত এসব কারণে যুক্তরাষ্ট্রের তোপের মুখে পড়েন তিনি। পরে ধর্ষণের অভিযোগে সুইডেনে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা হয়। ২০১১ সালের ফেব্রুয়ারিতে যুক্তরাজ্যের বিচারক আদেশ দেন, অ্যাসাঞ্জকে সুইডেনের কাছে তুলে দেওয়া যেতে পারে। কিন্তু অ্যাসাঞ্জের ভয় ছিল, তাঁকে যুক্তরাষ্ট্রে পাঠানো হতে পারে, যেখানে তাঁর মৃত্যুদণ্ড হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। ফলে ব্রিটিশ পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেন অ্যাসাঞ্জ। কিন্তু ওই বছরই যৌন হয়রানির অভিযোগে ইউরোপে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে সুইডেন। এরপর ২০১২ সালের ১৯ জুন যুক্তরাজ্যের লন্ডনে ইকুয়েডরের দূতাবাসে আশ্রয় নেন। এরপর থেকে তিনি সেখানেই ছিলেন। এ ছাড়া ২০১৭ সালের মে মাসে সুইডেন ধর্ষণ মামলা প্রত্যাহার করে। কিন্তু ওই বছরই যুক্তরাজ্য তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। আর চলতি বছরের ১১ এপ্রিল ব্রিটিশ পুলিশ অ্যাসাঞ্জকে গ্রেপ্তার করে।জামিনের শর্ত ভাঙার কারণে সম্প্রতি যুক্তরাজ্যর আদালত অ্যাসাঞ্জকে ৫০ সপ্তাহ কারাদণ্ড দিয়েছেন। বর্তমানে তিনি লন্ডনের বেলমার্শ কারাগারে রয়েছেন।মূলত ইকুয়েডরের দূতাবাসে আশ্রয় নেওয়ায় ধর্ষণের মামলা বন্ধ করে দিয়েছিলেন সুইডেনেরে কৌঁসুলিরা। কিন্তু গতকাল সোমবার দেশটির বিচার বিভাগের কর্মকর্তা ইভা মারিয়ে পারসন ঘোষণা দেন, ওই মামলা পুনরায় চালু হতে যাচ্ছে। তিনি বলেন, এ মামলা চালু করার সম্ভাব্য কারণ হলো অ্যাসাঞ্জ ধর্ষণের চেষ্টা করেছিলেন। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রেও অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে। অনুমতি ব্যতীত কম্পিউটারে প্রবেশের এ অভিযোগ তাঁর পাঁচ বছর কারাদণ্ড হতে পারে। | 401,919 |
-1 | economy | অর্থনীতি | ০৬ মার্চ ২০১৭, ০০:১৬ | ০৬ মার্চ ২০১৭, ০২:১৬ | প্রতিষ্ঠানের খবর,খবর | 0 | এশিয়ান টাউনের ষষ্ঠ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী | http://www.prothom-alo.com/economy/article/1099066 | এশিয়ান টাউন ডেভেলপমেন্ট লিমিটেড সম্প্রতি তাঁদের ষষ্ঠ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদ্যাপন করেছে। কেক কেটে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন কোম্পানির চেয়ারম্যান মীর আফছার আলী। এতে উপস্থিত ছিলেন কোম্পানির ম্যানেজিং ডিরেক্টর বিলাস দাশ, ডিরেক্টর (অ্যাডমিন) কর্নেল জোসেফ এ. রোজারিও (অব.)। বিজ্ঞপ্তি | 300,103 |
জয়পুরহাট প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৪ জুন ২০১৬, ০১:০৩ | ২৪ জুন ২০১৬, ০১:০৪ | জয়পুরহাট,রংপুর বিভাগ,বিশাল বাংলা,অপরাধ | 0 | পাঁচবিবিতে বন্দুকযুদ্ধে একজন গুলিবিদ্ধ হাসপাতালে ভর্তি | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/897505 | জয়পুরহাট-হিলি হাকিমপুর সড়কের পাঁচবিবির শিমুলতলী নামক স্থানে পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে এক ব্যক্তি গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন। আহতাবস্থায় তাঁকে প্রথমে জয়পুরহাট জেলা আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।পাঁচবিবি থানার পুলিশের দাবি, গত বুধবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে জয়পুরহাট-হিলি হাকিমপুর সড়কের শিমুলতলী নামক স্থানে একদল ডাকাত গাছের গুঁড়ি ফেলে নৈশকোচে ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছিল—এমন সংবাদের ভিত্তিতে পাঁচবিবি থানার পুলিশের একটি দল শিমুলতলী এলাকায় পৌঁছালে ডাকাতেরা পুলিশকে লক্ষ্য গুলি ছোড়ে। পুলিশও আত্মরক্ষার্থে গুলি ছোড়ে। এ সময় ডাকাত দলের সদস্য সানোয়ার হোসেন (৫০) গুলিবিদ্ধ হন। তবে তাঁর সহযোগীরা পালিয়ে যেতে সক্ষম হন। সানোয়ারকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় জয়পুরহাট জেলা আধুনিক হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ভর্তি করা হয়। পর তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। তিনি পাঁচবিবি উপজেলার বিনশিরা গ্রামের মেছের আলীর ছেলে।হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ফিরোজ হোসেন বলেন, ডান হাঁটুতে গুলি লেগে গুরুতর জখম অবস্থায় সানোয়ার হোসেনকে হাসপাতালে আনা হয়। প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য দ্রুত তাঁকে বগুড়ায় পাঠানো হয়।জয়পুরহাট সহকারী পুলিশ সুপার (সার্কেল) অশোক কুমার পাল বলেন, সানোয়ারের বিরুদ্ধে পাঁচবিবি থানাসহ বিভিন্ন থানায় অস্ত্র, ডাকাতি, ছিনতাই, নাশকতাসহ ১৪টি মামলা রয়েছে। এসব মামলার কয়েকটিতে তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও রয়েছে। তিনি জয়পুরহাট আন্তজেলা ডাকাত দলের সর্দার। পুলিশ এ সময় ঘটনাস্থল থেকে হাঁসুয়া, রামদা, পশু কুড়াল, রড উদ্ধার করে।পাঁচবিবি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় পাঁচবিবি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আতিকুর রেজা বাদী হয়ে মামলা করেছেন।এ ঘটনায় সানোয়ারের পরিবারের লোকজনের সঙ্গে মুঠোফোনে কথা বলার জন্য চেষ্টা করা হলে তাঁরা কথা বলতে রাজি হননি। | 235,246 |
বিনোদন ডেস্ক | entertainment | বিনোদন | ১৫ জুলাই ২০১৭, ০১:০১ | ১৫ জুলাই ২০১৭, ০১:০৭ | বলিউড | 0 | সালমানকে নাচ শেখাবেন জ্যাকুলিন! | http://www.prothom-alo.com/entertainment/article/1252156 | ইনস্টাগ্রামে দেওয়া জ্যাকুলিন ফার্নান্দেজের নাচের ভিডিও দেখে অনেকেই অনুমানের ঢিল ছুড়েছিলেন—নাচের কোনো ছবিতে তাঁকে দেখা যাবে। সালমান খানের কথায় জানা গেল, কিক ছবির সহ-অভিনয়শিল্পীকে নিয়ে করা ওই অনুমান ঠিকই ছিল। রেমো ডি সুজা পরিচালিত নাচ নিয়ে একটি ছবিতে দেখা যাবে সালমান খান ও জ্যাকুলিন ফার্নান্দেজকে।কিক ছবিতে এই দুজনকে রুপালি পর্দায় একসঙ্গে দেখা যায়। এই জুটির রসায়ন নজর কাড়ে দর্শকদের। তবে এরপর আর দুজন দাঁড়াননি এক ক্যামেরার সামনে। এবার জুটিবদ্ধ হওয়ার আগে সালমান ছবিটি নিয়ে কথা বললেন। সালমান বলেন, ‘হ্যাঁ, রেমোর ছবিতে আমি ও জ্যাকুলিন জুটি হচ্ছি। সে অসাধারণ মেধাবী নাচিয়ে। খুব ভালো কাজ করবে।’ছবিতে নয় বছরের এক শিশুশিল্পীও থাকছে, যে সালমান খানের মেয়ের চরিত্রে অভিনয় করবে। এই চরিত্রে অভিনয়ের জন্য শিল্পী খোঁজা হচ্ছে। নিজের চরিত্র নিয়ে ভাইজানের বক্তব্য, ছবিতে তিনি বিপত্নীক এক বাবা। স্ত্রীর সঙ্গে তাঁর প্রতিজ্ঞা ছিল, তিনি মেয়ের সব ইচ্ছা পূরণ করবেন। তাই মেয়ের ইচ্ছাপূরণে সাল্লু ভাই নাচের প্রতিযোগিতায় অংশ নেবেন। আর এর জন্য সালমানকে নাচ শেখাবেন জ্যাকুলিন।শিগগিরই মুক্তি পেতে যাচ্ছে সালমান খান ও ক্যাটরিনা কাইফের ছবি টাইগার জিন্দা হ্যায়। এরপরই শুরু হবে রেমো পরিচালিত নাচ নিয়ে ওই ছবির শুটিং। ছবির নাম এখনো ঠিক হয়নি। তবে জ্যাকুলিন ফার্নান্দেজ ও সালমান খান এরই মধ্যে নাচের বিভিন্ন ফর্ম শিখতে শুরু করে দিয়েছেন। সূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস। | 326,466 |
নিজস্ব প্রতিবেদক, সাতক্ষীরা | bangladesh | বাংলাদেশ | ০৭ জুন ২০১৫, ০২:৫৮ | ০৭ জুন ২০১৫, ০২:৫৯ | সাতক্ষীরা,খুলনা বিভাগ,বিশাল বাংলা,অপরাধ | null | প্রশ্নপত্রে কয়েক ব্যক্তিকে কটাক্ষ, পরীক্ষা বাতিল | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/547468 | সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায় নবম ও দশম শ্রেণির প্রশ্নপত্রে স্থানীয় কয়েক ব্যক্তিকে কটাক্ষের অভিযোগে পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে। ওই প্রশ্ন তৈরিতে জড়িত দুই বিদ্যালয়ের দুই শিক্ষক মোজাফ্ফর হোসেন ও সঞ্চয় কুমার মণ্ডলকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এদিকে পুরো বিষয়টি তদন্তের জন্য উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। বর্তমানে বিভিন্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে দশম শ্রেণির প্রাক্-নির্বাচনী পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এর অংশ হিসেবে ৪ জুন দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ধর্ম পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ওই পরীক্ষার ইসলাম ধর্মের প্রশ্নপত্রের উদ্দীপকে উপজেলার ঈশ্বরীপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ও শ্যামনগর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাদেকুর রহমানকে একজন আদর্শ চেয়ারম্যান হিসেবে উল্লেখ করা হয়। তিনি ন্যায়বিচার করেন ও সত্য ঘটনা অনুসন্ধানে পাড়া-মহল্লায় ঘুরে বেড়ান বলেও উল্লেখ করা হয়। এ ছাড়া নিজ ছেলের অপরাধের শাস্তি দিতেও তিনি কার্পণ্য করেননি বলেও উদ্দীপকে উল্লেখ করা হয়। নির্ধারিত প্রশ্নে শিক্ষার্থীদের কাছে জানতে চাওয়া হয়, ‘উদ্দীপকে চেয়ারম্যান সাদেকুর রহমানের মধ্যে কার আদর্শ খুঁজে পাওয়া যায়?’একই প্রশ্নপত্রের অন্য অংশে এনজিও পরিচালক লুৎফর রহমানকে দানের ব্যাপারে কৃপণ, সাবেক এমপি গোলাম রেজা দশম শ্রেণি পাস ইত্যাদি উল্লেখ করা হয়।বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর প্রশ্নপত্র অনুসরণকারী সবগুলো বিদ্যালয় ওই পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয়। ওই ঘটনার প্রতিবাদে স্থানীয় লোকজন মিছিল-সমাবেশ করার ঘোষণা দেন। এদিকে গতকাল শনিবার নবম শ্রেণির হিন্দু ধর্মের পরীক্ষার প্রশ্নপত্র নিয়ে বিতর্ক ওঠে। ওই শ্রেণির পরীক্ষার একটি উদ্দীপকে উল্লেখ করা হয়, অজিত বাম রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। উচ্চশিক্ষিত সুজিত বাম দলগুলোর সংস্পর্শে এসে অহংকারী হয়ে ওঠেন। এরপরই পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ পরীক্ষা স্থগিত করে। এ বিষয়ে জানতে চেষ্টা করেও নকিপুর হরিচরণ পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মোজাফ্ফর হোসেনের মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবদুল মান্নান জানান, বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাঁকে তিন দিনের মধ্যে এ বিষয়ে জবাব দেওয়ার জন্য নোটিশ দিয়েছে। হেঞ্চি বঙ্গবন্ধু মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক সঞ্চয় কুমার মণ্ডল বলেন, তিনি একটি লেকচার গাইড দেখে প্রশ্নপত্র করেছিলেন। ভুল হলে অনিচ্ছাকৃতভাবে হয়েছে। কোনো দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য তিনি প্রশ্নপত্র করেননি। শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবু সায়েদ মো. মনজুর আলম জানান, দুই তদন্ত কমিটিকে এক সপ্তাহের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। প্রতিবেদন পাওয়ার পর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। | 145,065 |
আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ১৮ নভেম্বর ২০১৬, ০০:২৪ | ১৮ নভেম্বর ২০১৬, ০০:২৫ | আদমদীঘি,বগুড়া,বিশাল বাংলা,অপরাধ | 0 | যৌতুকের টাকা না পেয়ে কাঁচি দিয়ে খুঁচিয়ে জখম | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1023065 | স্বামীর নির্মম নির্যাতনের শিকার হয়ে পাঁচ দিন ধরে নওগাঁর রানীনগর উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসা নিচ্ছেন গৃহবধূ ও এক সন্তানের জননী চাম্পা খাতুন (২৫)। যৌতুকের টাকা দিতে না পারায় গত রোববার সন্ধ্যায় স্বামী উজ্জ্বল হোসেন (৩৫) কাপড় কাটার কাঁচি দিয়ে খুঁচিয়ে চাম্পা খাতুনকে জখম করেন। পরে প্রতিবেশীদের ধাওয়া খেয়ে গুরুতর আহত অবস্থায় স্ত্রীকে ফেলে পালিয়ে যান উজ্জ্বল। ওই গৃহবধূর শরীরে কাঁচি দিয়ে ১২৪টি স্থানে জখম করা হয়েছে।গ্রামবাসী ও আহত গৃহবধূর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, উপজেলার কাশিমপুর ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের খোরশেদ আলমের মেয়ে চাম্পার সঙ্গে একই গ্রামের কাছের আলী মণ্ডলের ছেলে উজ্জ্বলের সাত বছর আগে বিয়ে হয়। ওই সময় উজ্জ্বলকে যৌতুক দেওয়া হয়। কয়েক বছর পর থেকেই আরও যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে নির্যাতন শুরু করেন উজ্জ্বল। গত রোববারও উজ্জ্বল বাবার বাড়ি থেকে টাকা নিয়ে আসতে বলেন চাম্পাকে। এতে অপারগতা প্রকাশ করলে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন উজ্জ্বল। সন্ধ্যায় বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে ঘরের দরজা-জানালা বন্ধ করে চাম্পাকে কাপড় কাটার কাঁচি দিয়ে এলোপাতাড়িভাবে আঘাত করতে থাকেন। চাম্পার চিৎকারে একপর্যায়ে প্রতিবেশীরা ছুটে এলে উজ্জ্বল কাঁচি ফেলে পালিয়ে যান। এ সময় গুরুতর জখম চাম্পা সংজ্ঞা হারিয়ে ফেলেন। প্রতিবেশীরা চাম্পাকে উদ্ধার করে রানীনগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক এস এম নজমুল আহসান জানান, আহত চাম্পার শরীরে প্রায় ১৪০টি সেলাই দিতে হয়েছে। তাঁর শরীরে ১২৪টি জখম রয়েছে। তবে বর্তমানে সে শঙ্কামুক্ত।চাম্পার বাবা খোরশেদ আলম জানান, বিয়ের সময় ১ লাখ ২০ হাজার টাকা যৌতুক দেওয়া হয়েছিল উজ্জ্বলকে। কয়েক বছর পর থেকেই জামাই আবার ১০ হাজার, ২০ হাজার করে বিভিন্ন সময়ে যৌতুক দাবি করে আসছিলেন। কিন্তু আর্থিক অবস্থা ভালো না হওয়ায় আর যৌতুক দিতে পারেননি তিনি।রানীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘বিষয়টি আমাকে মৌখিকভাবে জানানো হয়েছে। মেয়েটির অবস্থা গুরুতর হওয়ায় চিকিৎসার জন্য হয়তো থানায় অভিযোগ দিতে দেরি হচ্ছে। তার পক্ষ থেকে অভিযোগ আসলেই আমি আইনগত ব্যবস্থা নেব।’ | 266,516 |
সাতকানিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ১০ এপ্রিল ২০১৪, ০০:৫৮ | ১০ এপ্রিল ২০১৪, ০০:৫৮ | সাতকানিয়া,চট্টগ্রাম বিভাগ,বিশাল বাংলা,দূর্ঘটনা | 0 | ছাদ থেকে পড়ে ইউপি সদস্যর মৃত্যু | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/188707 | চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার মাদার্শা ইউনিয়নের (ইউপি) মহিলা সদস্য ও প্যানেল চেয়ারম্যান নিজ বাড়ির ছাদ থেকে নিচে পড়ে আহত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল বুধবার বেলা আড়াইটার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (চমেক) মারা গেছেন।নিহতের নাম সেলিনা আক্তার (৩২)। তিনি মাদার্শা ইউনিয়নের মৃত মোহামঞ্চদ রফিকের স্ত্রী। তাঁর দুই মেয়ে ও এক ছেলে রয়েছে।মাদার্শা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোহামঞ্চদ ইব্রাহিম সেলিনা আক্তারের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, চার মাস আগে তাঁর স্বামী মোহামঞ্চদ রফিক সৌদি আরবে এক সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে মারা গেছেন। | 64,906 |
আব্দুল মোমিন, মানিকগঞ্জ | bangladesh | বাংলাদেশ | ১৪ ডিসেম্বর ২০১৫, ০২:১১ | ১৪ ডিসেম্বর ২০১৫, ০২:১২ | মানিকগঞ্জ,ঢাকা বিভাগ,অপরাধ | null | পরীক্ষার সময় পাল্টে রমজান আলীর সভা, ভূরিভোজ! | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/711928 | মানিকগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে বর্তমান মেয়র ও আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী মো. রমজান আলীর নির্বাচনী সভার জন্য পরীক্ষার সময়সূচি পাল্টানো হলো। শুধু তা-ই নয়, সভা শেষে মানিকগঞ্জ পৌর এলাকার বিভিন্ন মসজিদের ইমাম ও মুয়াজ্জিন এবং মাদ্রাসার শিক্ষকদের করানো হলো ভূরিভোজ। জেলা শহরের পশ্চিম দাশড়া এলাকার ইসলামিয়া কামিল মাদ্রাসায় গতকাল রোববার রমজান আলীর নির্বাচনী সভা ও ভোজের আয়োজন করা হয়। বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে অবহিত করা হলেও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।ইসলামিয়া কামিল মাদ্রাসার কয়েকজন শিক্ষকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গতকাল সকাল ১০টা থেকে ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের সাধারণ বিজ্ঞান এবং নবম শ্রেণির উচ্চতর গণিত বিষয়ে বার্ষিক পরীক্ষা শুরুর কথা ছিল। কিন্তু রমজান আলীর নির্বাচনী সভা থাকায় পরীক্ষা শুরু হয় সকাল আটটায়। পরীক্ষা শেষে দুপুর ১২টায় মাদ্রাসার একটি বড় শ্রেণিকক্ষে শুরু হয় আলোচনা সভা। ওই সভায় মেয়র প্রার্থী রমজান আলী, তাঁর ছোট ভাই দেলোয়ার হোসেন, পৌরসভার চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী (অস্থায়ী) জাহাঙ্গীর হোসেনসহ পৌর এলাকার বিভিন্ন মসজিদের ইমাম ও মুয়াজ্জিন এবং মাদ্রাসার দুই শতাধিক শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন। এ সময় রমজান আলী উপস্থিত ব্যক্তিদের কাছে ভোট প্রার্থনা করেন।বেলা পৌনে দুইটার দিকে সরেজমিনে দেখা যায়, মাদ্রাসার উত্তর পাশের ভবনের দ্বিতীয় তলায় বিশাল কক্ষে খাওয়ানোর আয়োজন হচ্ছে। খাবারের তালিকায় ছিল গরুর মাংস, রুই মাছ, ডাল ও দই। এসব খাবার বাইরে থেকে মাদ্রাসায় সরবরাহ করা হয়। এ সময় রমজান আলী ও তাঁর ছোট ভাই দেলোয়ার হোসেনকে খাবার পরিবেশন দেখভাল করতে দেখা যায়।বিষয়টি সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে বেলা দুইটায় জেলা প্রশাসক রাশিদা ফেরদৌস এবং বেলা সোয়া দুইটার দিকে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) গাজী মো. আসাদুজ্জামানকে অবহিত করলে তাঁরা জানান, বিষয়টি দেখা হচ্ছে। তবে বেলা পৌর তিনটায়ও কর্তৃপক্ষের কোনো প্রতিনিধিকে ঘটনাস্থলে দেখা যায়নি।এসব বিষয়ে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মুনীর হোসাইন বলেন, এ ধরনের ঘটনা নির্বাচনী আচরণবিধির সম্পূর্ণ পরিপন্থী। কোনো প্রার্থী কিংবা তাঁর সমর্থকদের আচরণবিধি ভঙ্গ করার দায়ে ওই প্রার্থীকে সতর্ক বা জরিমানা করা অথবা প্রার্থিতা বাতিল করার বিধান রয়েছে।বিএনপির মনোনীত মেয়র প্রার্থী নাসির উদ্দিন আহম্মেদ বলেন, একের পর এক আচরণবিধি লঙ্ঘন করলেও সরকারদলীয় মেয়র প্রার্থী হওয়ায় রমজান আলীর বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। স্বতন্ত্র প্রার্থী গাজী কামরুল হুদা বলেন, শুরু থেকেই তিনি (রমজান আলী) আচরণবিধি মানছেন না। তবে মেয়র পদপ্রার্থী রমজান আলী বলেন, ‘আমি কোনো নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ করিনি। মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ খাবারদাবারের আয়োজন করেছে। আমাকে দাওয়াত দেওয়া হয়েছিল বলে তাঁদের কথা রক্ষা করেছি।’ মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মোহাম্মদ মুসা প্রথম আলোকে বলেন, মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি স্থানীয় সাংসদ এবং স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেকের প্রতিনিধি আবু বকর সিদ্দিকের পরামর্শে মাদ্রাসায় সভা ও খাবারদাবারের আয়োজন করা হয়। তিনি বলেন, পরীক্ষার সময়সূচি পরিবর্তনে পরীক্ষা দিতে শিক্ষার্থীদের কোনো সমস্যা হয়নি।আবু বকর সিদ্দিকের সঙ্গে গতকাল সন্ধ্যায় মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তিনি ফোন ধরেননি। জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা গাজী মো. আসাদুজ্জামান কবির বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে একজন ম্যাজিস্ট্রেট পাঠানো হয়। তবে সেখানে কোনো প্রার্থী ও তাঁর সমর্থকদের কাউকে পাওয়া যায়নি। এ ব্যাপারে কেউ লিখিত অভিযোগ করলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে। | 183,265 |
প্রতিনিধি, গাইবান্ধা | bangladesh | বাংলাদেশ | ১০ আগস্ট ২০১৮, ১২:০১ | ১০ আগস্ট ২০১৮, ১২:০৩ | গাইবান্ধা,রংপুর বিভাগ,দুর্ঘটনা | null | চালক ছিলেন তন্দ্রাচ্ছন্ন, বাস উল্টে শিশুসহ নিহত ২ | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1550891 | গাইবান্ধার সাদুল্যাপুর উপজেলার ধাপেরহাটে যাত্রীবাহী নৈশকোচ উল্টে শিশুসহ ২ জন নিহত হয়েছে। আহত কমপক্ষে ১৫ জন। আজ শুক্রবার সকাল সোয়া ৬টার দিকে ধাপেরহাটের আরভি কোল্ড স্টোরসংলগ্ন এলাকায় ঢাকা-রংপুর মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।যাত্রীদের তথ্যের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, বাসের চালক তন্দ্রাচ্ছন্ন চোখে বেপরোয়া গতিতে গাড়িটি চালাচ্ছিলেন বলে এ দুর্ঘটনা ঘটে।নিহত ব্যক্তিরা হলো পঞ্চগড় জেলা সদরের কদরকান্দি এলাকার জাবেদ আলীর ছেলে সাইফুল ইসলাম (৩৫) ও ঢাকার মিরপুর-১১-এর বাসিন্দা সরফরাজ মিয়া ওরফে রিপনের মেয়ে চাঁদনী আকতার (১০)। সাইফুল ইসলাম চালকের সহকারী ছিলেন। আহত যাত্রীদের পলাশবাড়ী ও পীরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।ধাপেরহাট পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের পরিদর্শক আবদুর রশিদ বলেন, সকালে ঢাকা থেকে দিনাজপুরগামী অপু এন্টারপ্রাইজের একটি যাত্রীবাহী বাস (নৈশকোচ) ধাপেরহাটের আরভি কোল্ড স্টোরসংলগ্ন এলাকায় পৌঁছালে চালক নিয়ন্ত্রণ হারান। বাসটি সড়কের পাশে একটি আমগাছের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে উল্টে যায়। এতে ঘটনাস্থলে কোচের চালকের সহকারী ও এক শিশু মারা যায়। খবর পেয়ে পুলিশ ও পীরগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের লোকজন উপস্থিত হয়ে হতাহত যাত্রীদের উদ্ধার করেন।বাসের যাত্রীদের তথ্যের বরাত দিয়ে পরিদর্শক আবদুর রশিদ জানান, বাসচালক ঘুমঘুম চোখে বেপরোয়া গতিতে গাড়িটি চালাচ্ছিলেন। যাত্রীরা একাধিকবার সাবধান করে দিলেও তিনি সেই কথা শোনেননি। এতে এ দুর্ঘটনা ঘটে।গোবিন্দগঞ্জ হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আক্তারুজ্জামান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, নিহত দুজনের লাশ ও দুর্ঘটনাকবলিত বাসটি উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে। | 373,280 |
নিজস্ব প্রতিবেদক | bangladesh | বাংলাদেশ | ১০ আগস্ট ২০১৬, ০২:০৮ | ১০ আগস্ট ২০১৬, ০২:২১ | আইন ও বিচার,রাজধানী,রাজধানী (জাতীয়) | 0 | ভেজাল ইঞ্জিন অয়েল তৈরির দায়ে দুজনের কারাদণ্ড | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/941614 | নকল ও ভেজাল ইঞ্জিন অয়েল তৈরি এবং বাজারজাতের দায়ে গেন্ডারিয়ায় দুই ব্যক্তিকে এক বছর করে কারাদণ্ড এবং এ দুজনসহ মোট সাতজনকে ১৪ লাখ টাকা জরিমানা করেছেন র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত।গতকাল মঙ্গলবার সিটি করপোরেশন সুপার মার্কেটে ভেজালবিরোধী ভ্রাম্যমাণ আদালত চালিয়ে এ সাজা দেওয়া হয়। সাজা দেন র্যাব সদর দপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম। এ সময় বিভিন্ন নামীদামি ব্র্যান্ডের জারে হুবহু একই রকম লেবেল লাগিয়ে নিম্নমানের মবিল, গিয়ার অয়েল ও ব্রেক অয়েল বাজারজাত করা হচ্ছে। এই অপরাধে মেসার্স ছারছিনা অটোমোবাইলসের মালিক মো. মহসিন (২৮) ও মেসার্স জনতা অটোমোবাইলসের মালিক মো. সাকির হোসেনকে (৩৫) এক বছর করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং দুই লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়।এ ছাড়া মেসার্স বি এস করপোরেশনের মালিক মো. হেলালকে (৩২) ৫০ হাজার টাকা, মেসার্স সীমান্ত ট্রেডিং করপোরেশনের মালিক সিরাজুল ইসলামকে (৩৫) এক লাখ টাকা, মেসার্স এনপি করপোরেশনের মালিক নিজাম উদ্দিনকে (৩৮) দেড় লাখ টাকা, মেসার্স আল আমিন ট্রেডিং এজেন্সির মালিক আল আমিন খানকে (৩২) এক লাখ টাকা, মেসার্স জাহিদ এন্টারপ্রাইজের মালিক আমির হোসেনকে (৪৩) এক লাখ টাকা, মেসার্স তানভীর ট্রেডার্সের মালিক জাকারিয়া চৌধুরীকে (৪৭) পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।অভিযান চলাকালে আলমগীর ট্রেডার্সের মালিক পালিয়ে যাওয়ায় প্রতিষ্ঠানটি সিলগালা করার আদেশ দেওয়া হয়। পাশাপাশি ৩০ লাখ টাকার ভেজাল ইঞ্জিন অয়েল ও মবিল জব্দ করা হয়। | 248,300 |
-1 | technology | বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি | ১০ এপ্রিল ২০১৫, ০০:২৭ | ১০ এপ্রিল ২০১৫, ০০:৩০ | বিজ্ঞান-প্রযুক্তি,মহাকাশ | 0 | আজ থেকে ঢাকা ও চট্টগ্রামে নাসার অ্যাপস চ্যালেঞ্জ | http://www.prothom-alo.com/technology/article/499315 | যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার ‘ইন্টারন্যাশনাল স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ ২০১৫’ প্রতিযোগিতা আজ এবং আগামীকাল ঢাকা ও চট্টগ্রামে হবে। বিশ্বের শতাধিক শহরে মোবাইল অ্যাপ তৈরির এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়ে থাকে। ঢাকার ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ (আইইউবি) এবং চট্টগ্রামে ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ইউনিভার্সিটিতে (আইআইইউসি) প্রতিযোগিতা চলবে। ঢাকায় আজ শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে শুরু হয়ে আগামীকাল শনিবার সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত টানা চলবে প্রতিযোগিতা। এ ছাড়া চট্টগ্রামে দুই দিনই সকাল ১০টা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত হবে প্রতিযোগিতা। আয়োজনে প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে রয়েছে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস)। সহযোগী হিসেবে রয়েছে আইবিপিসি, ক্লাউডক্যাম্প, বেসিস স্টুডেন্টস ফোরাম, আইইউবি ও আইআইইউসি। বিজ্ঞপ্তি | 130,342 |
নিজস্ব প্রতিবেদক, রংপুর | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৬ জুলাই ২০১৫, ০১:২১ | ২৬ জুলাই ২০১৫, ০১:২১ | বিশাল বাংলা | 0 | ৩০ কিলোমিটার সড়ক খানাখন্দে ভরা | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/584917 | রংপুরের মিঠাপুকুরের দমদমা থেকে চরকাবাড়ি ৩০ কিলোমিটার পাকা সড়কের অধিকাংশ স্থানই খানাখন্দে ভরা। পিচ ঢালাই উঠে এবড়োখেবড়ো অবস্থা সড়কের। বেহাল এ সড়ক দিয়ে চলাচল করতে চরম দুর্ভোগে পড়ছে ১০ গ্রামের মানুষ।স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) উপজেলা কার্যালয় থেকে জানা যায়, এলজিইডি ২০০৮ সালে সড়কটি তৈরি করে। পরে ২০১১ সালে এর সংস্কার করা হয়। পায়রাবন্দ, ভাংনী, বালারহাট ও ইমাদপুর ইউনিয়নের ১০ গ্রামের মানুষের চলাচলের প্রধান সড়ক এটি।গত শুক্রবার সরেজমিনে দেখা যায়, ঢাকা-রংপুর মহাসড়কের দমদমা এলাকা থেকে পূর্বদিকে ৩০ কিলোমিটার দীর্ঘ এ সড়কে ছোট-বড় খানাখন্দে ভরা। সেই সঙ্গে পাকা সড়কের পিচ উঠে ইট ও খোয়া বের হয়ে গেছে। রিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাসহ অন্য যানবাহন চলতে অনেক সময় লাগে। ভারসাম্য ঠিক রেখে এ রাস্তায় গাড়ি চালানো কঠিন বলে অভিযোগ করেন চলাচলকারী গাড়ির চালকেরা।ইসলামপুর এলাকায় সড়কের মধ্যে বড় বড় গর্ত হয়েছে। এ এলাকার কৃষক জিকরুল ইসলাম বলেন, অটোরিকশা এ রাস্তা দিয়ে যাওয়া-আসা করতে চায় না। গাড়ি পেতে এলাকার মানুষের খুব কষ্ট হয়।মাঠেরহাট এলাকায়ও দেখা গেল সড়কের বেহাল দশা। স্থানীয় বাসিন্দা খবির উদ্দিন বলেন, প্রায় তিন বছর ধরে সড়কটির দুরবস্থা। এটি সংস্কার করারও কোনো উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না।ঠাকুরবাড়ি এলাকার কলেজশিক্ষার্থী শোয়াইব আহমেদ এ সড়কটি সংস্কারের জন্য ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের কাছে দাবি জানিয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত রাস্তা ঠিক করার কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।পায়রাবন্দ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রেজাউল করিম বলেন, ‘সড়ক সংস্কারে আমরা চেষ্টা করছি। আশা করি এ বছরেই সড়ক সংস্কারের কাজ শুরু করা যেতে পারে।’ ভাংনী ও বালারহাট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবদুল লতিফ ও তৈয়বুর রহমানও একই কথা বলেন।এ ব্যাপারে জানতে চাইলে মিঠাপুকুর উপজেলা প্রকৌশলী শাহ আলম বলেন, এ সড়কসহ আরও কিছু সড়ক সংস্কারে ইতিমধ্যে ১১ কোটি টাকার একটি প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। সেটার কাগজ ঢাকায় স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল অধিদপ্তরে পাঠানো হয়েছে। শিগগির কাজ শুরু করা যাবে। | 155,058 |
কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৫ মার্চ ২০১৭, ০০:৩৭ | ২৫ মার্চ ২০১৭, ০০:৩৮ | কিশোরগঞ্জ,ঢাকা বিভাগ,বিশাল বাংলা | 0 | কারখানা প্রতিষ্ঠার দাবিতে মানববন্ধন | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1118707 | কিশোরগঞ্জ টেক্সটাইল মিল ও কালিয়ারচাপড়া চিনিকল সরকারি মালিকানায় চালু ও নতুন কলকারখানা প্রতিষ্ঠা করার দাবিতে গতকাল শুক্রবার মানববন্ধন হয়েছে। কিশোরগঞ্জ জেলা সচেতন নাগরিক সমাজ নামের একটি সংগঠন এর আয়োজন করে।গতকাল সকালে চামটা-করিমগঞ্জ-কিশোরগঞ্জ সড়কে বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ওই মানববন্ধন হয়। কর্মসূচি চলাকালে বক্তব্য দেন কিশোরগঞ্জ জেলা সচেতন নাগরিক সমাজের আহ্বায়ক এমরান আলী ভূইয়া, করিমগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতা মিজানুর রহমান, যুবলীগের নেতা আহসান হাবীব, জগৎসাবাড়ি মোড় ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি শামীম আহমেদ, জেলা ছাত্রলীগের নেতা রুবায়েত হোসেন প্রমুখ। | 306,415 |
নিজস্ব প্রতিবেদক | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৬ মার্চ ২০১৪, ০৩:২৭ | ২৬ মার্চ ২০১৪, ০৩:২৮ | -1 | null | গৌরবদীপ্ত স্বাধীনতার দিন আজ | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/177574 | বাঙালি জাতির জীবনে আজ এক গৌরবদীপ্ত দিন। মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা হূদয়ে ধারণ করে সুখী-সমৃদ্ধ দেশ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে দিবসটি উদ্যাপন করবে জাতি। একই সঙ্গে ৪৪তম স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে বিনম্র শ্রদ্ধা ও গভীর কৃতজ্ঞতায় স্মরণ করা হবে স্বাধীনতার জন্য আত্মদানকারী দেশের বীর সন্তানদের। শ্রদ্ধা নিবেদন করা হবে স্বাধীনতার রূপকার বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক জাতীয় নেতারা, নৃশংস গণহত্যার শিকার লাখো সাধারণ মানুষ এবং সম্ভ্রম হারানো মা-বোনের প্রতি।বাঙালি জাতির জীবনে ২৬ মার্চ দিনটি একই সঙ্গে গৌরব ও শোকের। দ্বিজাতিতত্ত্বের ভিত্তিতে ভারত ভাগের পর পশ্চিম পাকিস্তানি শাসকেরা বাঙালির ওপর শোষণ এবং ভাষা ও সংস্কৃতির ওপর যে আগ্রাসন চালিয়েছিল, তার পরিপ্রেক্ষিতে স্বাধিকারের আন্দোলনে উত্তাল হয়ে উঠেছিল বাঙালিরা। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে বর্বর পাকিস্তানি বাহিনী ট্যাংক ও সাঁজোয়া যান নিয়ে ঢাকায় বাঙালি হত্যাযজ্ঞে মেতে ওঠে। গভীর রাতে ধানমন্ডির ৩২ নম্বরের বাসভবন থেকে গ্রেপ্তার করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। এর আগেই তিনি স্বাধীনতা ঘোষণা করে একটি বার্তা পাঠিয়েছিলেন। ইপিআরের (বর্তমানে বিজিবি) ওয়্যারলেস থেকে তাঁর এই ঘোষণা প্রচারিত হয়েছিল। চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগের নেতারা মাইকে এটি প্রচার করেন। পরে চট্টগ্রামে অবস্থানরত বাঙালি সেনা কর্মকর্তা মেজর জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুর এ ঘোষণা তাঁর পক্ষে বেতারে পাঠ করলে দেশবাসী স্বাধীনতাযুদ্ধ শুরু হওয়ার বিষয়টি জানতে পারে।বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে সাড়া দিয়ে বীর বাঙালি মাতৃভূমিকে হানাদারমুক্ত করতে যার কাছে যা আছে তাই নিয়ে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে। দীর্ঘ নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে ৩০ লাখ মানুষের আত্মদান, তিন লাখ মা-বোনের সম্ভ্রম আর বিপুল ক্ষয়ক্ষতির মধ্য দিয়ে অর্জিত হয় বিজয়। বাঙালি লাভ করে চিরকাঙ্ক্ষিত স্বাধীনতা। পৃথিবীর মানচিত্রে অভ্যুদয় ঘটে স্বাধীন বাংলাদেশের।বরাবরের মতো এবারও দেশজুড়ে বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিবসটি উদ্যাপিত হবে। আজ সরকারি ছুটি। সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে সর্বস্তরের মানুষের ঢল নামবে শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে। রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা নিবেদনের পর সাধারণ মানুষ ফুলে ফুলে ঢেকে দেবেন স্মৃতিসৌধের বেদি।বাণী: রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ তাঁর বাণীতে বলেছেন, অনেক ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত মহান স্বাধীনতার মূল লক্ষ্য ছিল একটি সুখী-সমৃদ্ধ দেশ গড়া। সে লক্ষ্য অর্জনের জন্য সরকার নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন ও গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রাকে আরও বেগবান করতে তিনি সব নাগরিককে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর বাণীতে বলেন, ‘এক নতুন প্রেক্ষাপটে আমরা এবারের স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদ্যাপন করছি। গত ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে জনগণ আওয়ামী লীগকে আবার দেশসেবার সুযোগ দিয়েছে। আমাদের ওপর জনগণের এ আস্থার পূর্ণ মর্যাদা আমরা দেব।’বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া তাঁর বাণীতে বলেছেন, আজ বাংলাদেশকে তাঁবেদার রাষ্ট্রে পরিণত করার গভীর চক্রান্ত চলছে। সব ষড়যন্ত্র প্রতিহত করে মাতৃভূমির স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে সমুন্নত রাখতে তিনি সুদৃঢ় জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান।বাণীতে তাঁরা প্রত্যেকেই দেশবাসীকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান এবং শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।কর্মসূচি: স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে ব্যাপক কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। সকালে ৩১ বার তোপধ্বনির মধ্য দিয়ে দিবসটির সূচনা হবে। রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। এরপর বীরশ্রেষ্ঠ পরিবার ও যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা, মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, সাংসদ, বিদেশি কূটনীতিক ও পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হবে।আজ সব সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে। ঢাকাসহ দেশের প্রধান প্রধান শহরের সড়কদ্বীপ সাজানো হবে জাতীয় পতাকায়। দেশের সব শিশুপার্ক, চিড়িয়াখানা ও জাদুঘর খোলা রাখা হবে। বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন আলোচনা সভা, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করছে। এ ছাড়া এবারের বিশেষ কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে ঢাকায় জাতীয় প্যারেড ময়দানে লাখো কণ্ঠে জাতীয় সংগীত গেয়ে বিশ্ব রেকর্ড করার আয়োজন। | 61,052 |
নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম ও হাটহাজারী প্রতিনিধি | bangladesh | বাংলাদেশ | ১৬ জুলাই ২০১৭, ০২:১২ | ১৬ জুলাই ২০১৭, ০২:১৩ | চট্টগ্রাম বিভাগ | 0 | হাটহাজারী মাদ্রাসার সহকারী পরিচালক হলেন বাবুনগরী | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1253521 | চট্টগ্রামের হাটহাজারীর দারুল উলুম মঈনুল ইসলাম মাদ্রাসার জ্যেষ্ঠ শিক্ষক জুনায়েদ বাবুনগরীকে মাদ্রাসাটির সহকারী পরিচালকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তিনি হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব। এই প্রথমবারের মতো কাউকে সহকারী পরিচালকের দায়িত্ব দেওয়া হলো। গতকাল শনিবার মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির মজলিশে শুরার বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। মাদ্রাসায় অনুষ্ঠিত বৈঠকে শুরার ২১ সদস্যের মধ্যে ১৫ জন উপস্থিত ছিলেন। সর্বশেষ ২০১২ সালে শুরার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।মাদ্রাসার মহাপরিচালক ও হেফাজতে ইসলামের আমির শাহ আহমদ শফী বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। বৈঠক শেষে মজলিশে শুরার সদস্য ও বাংলাদেশ কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের মহাসচিব আবদুল কুদ্দুস বলেন, বর্তমান মহাপরিচালক আহমদ শফী অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাঁকে সহযোগিতার জন্য জুনায়েদ বাবুনগরীকে সহকারী পরিচালকের দায়িত্ব দিয়েছে শুরা কমিটি। | 326,631 |
নিজস্ব প্রতিবেদক | economy | অর্থনীতি | ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৫, ০০:২০ | ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৫, ০০:২৩ | বাণিজ্য,বাণিজ্য সংবাদ | 0 | বিশ্বব্যাংক উৎপাদন খাতে মেয়াদি ঋণ দেবে | http://www.prothom-alo.com/economy/article/460894 | বাংলাদেশের উৎপাদন খাতে মেয়াদি ঋণ দিতে সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্বব্যাংক। সংস্থাটি মনে করে, এ দেশের শিল্প খাতের জন্য মেয়াদি ঋণ জোগানের প্রয়োজন রয়েছে এবং এ বিষয়ে বিশ্বব্যাংক সিদ্ধান্তও নিয়েছে।ঢাকায় সফররত বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলের ভাইস প্রেসিডেন্ট অ্যানেট ডিক্সনের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আতিউর রহমানের সঙ্গে বৈঠকে এ সিদ্ধান্তের কথা জানায়।এদিকে দুপুরে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের সঙ্গে বৈঠক করেন অ্যানেট ডিক্সন। অর্থমন্ত্রী বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের জানান, সরকার বিশ্বব্যাংকের কাছে বাজেট সহায়তা চেয়েছে। উল্লেখ্য, বিশ্বব্যাংক এ দেশের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে অর্থায়ন করে আসছে। এ অর্থায়ন সুনির্দিষ্ট প্রকল্পে ব্যয় হয়। এখন সরকার বাজেটের জন্য সহায়তা চাইছে।সূত্র জানায়, বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে বৈঠকে ডিক্সন বলেন, তিনি ইতিমধ্যে চেম্বার ও ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। সেসব বৈঠকে ব্যবসায়ীদের কথায় তিনি অত্যন্ত আশাবাদী হয়েছেন। ব্যবসায়ীদের মধ্যে বিনিয়োগ ও উৎপাদন বৃদ্ধির সাংঘাতিক রকমের আগ্রহে তিনি এ আশাবাদী হন।জানা যায়, ডিক্সন কৃষিঋণ, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পে (এসএমই) অর্থায়ন এবং বড় শিল্পে অর্থায়ন প্রবাহ কীভাবে সম্ভব হচ্ছে তা জানতে চান। গভর্নর জবাব দিয়ে বলেন, বেসরকারি সংস্থা (এনজিও) মূলত ক্ষুদ্রঋণ বিতরণ করে। আর ব্যাংকগুলোর জন্য বেঁধে দেওয়া কৃষি, এসএমই ঋণের অর্থ এনজিওর মাধ্যমে অনেক ক্ষেত্রে বিতরণ করা হচ্ছে। অন্যদিকে বড় শিল্পের ঋণগুলো ব্যাংকগুলো নিজেই বিতরণ করছে।এ অর্থায়ন প্রবাহকে অত্যন্ত ইতিবাচক বলে মত দেন ডিক্সন। একই সঙ্গে এটা বিভিন্ন দেশের কাছে অনুকরণীয় বলেও মন্তব্য করেন দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলের এই শীর্ষ কর্মকর্তা।সূত্র জানায়, ডিক্সন আশাবাদের পাশাপাশি বাংলাদেশে প্রলম্বিত রাজনৈতিক অস্থিরতার প্রভাব ব্যবসা-বাণিজ্যে পড়বে বলেও শঙ্কা প্রকাশ করেন।তবে বৈঠক শেষে উপস্থিত সাংবাদিকদের রাজনৈতিক অস্থিরতা বিষয়ে কোনো কথা বলেননি ডিক্সন। তিনি বলেন, দেশের বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে তাঁদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করতে হলে বেসরকারি খাতে দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগ দরকার। সে বিষয়ে বিশ্বব্যাংক সহায়তা করবে।উল্লেখ্য, দেশের রপ্তানিমুখী উৎপাদন খাতে স্বল্প সুদে ঋণ দেওয়ার জন্য বিশ্বব্যাংক ৩০ কোটি ডলারের একটি তহবিল দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।এর আগে সচিবালয়ে বৈঠকের পর অর্থমন্ত্রী উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, ‘এটা আসলে বাজেট সহায়তা না, কর্মসূচি (প্রোগ্রাম) বাজেট। বিশ্বব্যাংকের কাছে বড় আকারে (ব্রড পলিসি) আমরা প্রস্তাব দিই। এর খসড়া তৈরির কাজ চলছে এখন।’খসড়া অবশ্য একরকম করাই থাকে উল্লেখ করে মুহিত বলেন, নতুন বিষয় বাকি থাকে তারিখ। অর্থাৎ কবে তারা টাকাটা দেবে।অর্থমন্ত্রী বলেন, বিশ্বব্যাংক থেকে ঋণ আসে, অনুদান নয়। সংস্থাটির সঙ্গে বড় বড় কর্মসূচি হবে। চারটি প্রকল্পের মধ্যে তিনটির ব্যাপারে ইতিমধ্যে ১ কোটি ২০ লাখ ডলারের চুক্তি সই হয়েছে।অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে কী আলোচনা হলো—বৈঠকের পর জানতে চাইলে ডিক্সন সাংবাদিকদের বলেন, ‘বাংলাদেশে এটা আমার প্রথম সফর। বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের একটা লম্বা ইতিহাস রয়েছে। বিশ্বব্যাংক সব সময়ই বাংলাদেশের উন্নয়ন-সহযোগী।’ বাংলাদেশের অর্থনীতি ভালো করছে, দারিদ্র্যের হার কমছে এবং মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধির হার ৬ শতাংশের ওপরে থাকছে বলেও উল্লেখ করেন ডিক্সন।তবে বিশ্বব্যাংক বাজেট-সহায়তা দেবে কি দেবে না—এ ব্যাপারে ডিক্সন কিছু জানাননি।সরকারের লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে দেশ থেকে দারিদ্র্য দূর করা—এ কথা উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী জানান, দারিদ্র্যের হার কমছে এবং দেশে কোনো দরিদ্র থাকবে না—এটাই সরকারের লক্ষ্যমাত্রা। আগামী ২০১৮ সালের মধ্যেই এ হার ১১-১২ শতাংশে নামিয়ে আনা হবে।চলতি পঞ্জিকা বছরের মধ্যে আয় ও ব্যয় খানা জরিপ হবে জানিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘এই জরিপে দারিদ্র্যের হারের একটা চিত্র পাওয়া যাবে। আমার মনে হয়, এই হার ১২ শতাংশে নামিয়ে আনতে ২০১৮ সাল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে না।’পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের (জিইডি) হিসাব অনুযায়ী গত ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশের দারিদ্র্যের হার ২৪ দশমিক ৪৭ শতাংশ। আর চরম দারিদ্র্যের হার ১২ শতাংশের একটু বেশি।দেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে বিশ্বব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্টের সঙ্গে কোনো কথা হয়নি বলে নিজে থেকেই জানান অর্থমন্ত্রী। এ বিষয়ক কোনো প্রশ্ন করার আগেই তিনি বলেন, ‘আমাদের অত্যন্ত সুখকর আলোচনা হয়েছে। তবে বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে তিনি কোনো কথা তোলেননি, আমিও বলিনি।’দারিদ্র্য হার কমানো কীভাবে সম্ভব জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘এই পরিস্থিতি টিকবে না, আমি নিশ্চিত।’এমন পরিস্থিতির ৫০ দিন তো পার হচ্ছে—অর্থমন্ত্রীকে স্মরণ করিয়ে দিলে তিনি বলেন, ‘এটা মরে যাচ্ছে (ইটস ডাইং)। যেমন মফস্বলে হত্যাকাণ্ড কমছে। তবে ঢাকায় বাড়ছে।’অন্যদিকে বাংলাদেশের চলমান পরিস্থিতি নিয়ে অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে কোনো আলোচনা হয়েছে কি না জানতে চাইলে ডিক্সন বলেন, ‘আমাদের আলোচনার বিষয় বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন, দারিদ্র্যের হার কমানো এবং কয়েক বছরের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হওয়া।’সফর চলাকালে নিরাপত্তা বিষয়ে কিছু বলবেন কি না জানতে চাইলে জবাব না দিয়ে এড়িয়ে যান অ্যানেট ডিক্সন। | 118,417 |
খলিল রহমান, সুনামগঞ্জ | bangladesh | বাংলাদেশ | ২৭ এপ্রিল ২০১৭, ০২:৪৩ | ২৭ এপ্রিল ২০১৭, ০২:৪৫ | সুনামগঞ্জ,সিলেট বিভাগ | 0 | খোলাবাজারে চালের জন্য দীর্ঘ অপেক্ষা | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1159806 | চাল ও আটা কিনতে পারবেন মাত্র ২০০ জন। কিন্তু সারিতে দাঁড়িয়ে আছেন হাজারো মানুষ। কেউ এসেছেন ভোররাতে, কেউ সকাল ছয়টায়। অনেকেই ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষার পর নিরাশ হয়ে খালি হাতে বাড়ি ফিরছেন।সুনামগঞ্জে ফসলহারা মানুষের জন্য খোলাবাজারে কম দামে চাল ও আটা বিক্রির প্রতিটি কেন্দ্রের চিত্র প্রায় একই। চালের জন্য দরিদ্র ফসলহারা মানুষের মধ্যে রীতিমতো কাড়াকাড়ি শুরু হয়েছে।এ অবস্থা শুধু উপজেলা নয়, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়েও বিক্রয়কেন্দ্র চালুর দাবি উঠেছে। দুই সপ্তাহ আগে মন্ত্রণালয়ের কাছে এ রকম প্রস্তাবও পাঠানো হয়েছে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে। কিন্তু মন্ত্রণালয় প্রশাসনকে এখনো কিছু জানায়নি।জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ১০ এপ্রিল থেকে সুনামগঞ্জে এক মাসের জন্য খোলাবাজারে চাল-আটা বিক্রির কর্মসূচি শুরু হয়েছে। জেলায় বিক্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে ৪২টি। এর মধ্যে প্রতিটি উপজেলা সদরে ৩টি করে ১১ উপজেলায় ৩৩টি এবং সুনামগঞ্জ পৌর শহরে আরও ৯টি। একটি বিক্রয়কেন্দ্রে প্রতিদিন এক হাজার মেট্রিক টন চাল ও এক হাজার মেট্রিক টন আটা বিক্রি হয়। একজন মানুষ ১৫ টাকা দরে ৫ কেজি চাল ও ১৭ টাকা দরে ৫ কেজি আটা কিনতে পারেন। তবে কেন্দ্রগুলো উপজেলা সদরে হওয়ায় প্রত্যন্ত গ্রামের মানুষ এই সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক কামরুজ্জামান গতকাল প্রথম আলোকে বলেন, ‘বিক্রয়কেন্দ্রের সংখ্যা এবং চাল-আটা বিক্রির পরিমাণ বাড়ানোর ব্যাপারে আমরা এখনো কোনো সিদ্ধান্ত পাইনি। তবে আমাদের চালু করা কেন্দ্রগুলোতে চাল-আটা বিক্রি অব্যাহত আছে।’হাওর বাঁচাও সুনামগঞ্জ বাঁচাও আন্দোলনের সদস্যসচিব বিন্দু তালুকদার বলেছেন, এই দুর্যোগময় মুহূর্তে জরুরি একটি সিদ্ধান্ত যদি ১৫ দিনেও মন্ত্রণালয় দিতে না পারে, তাহলে মানুষের কী হবে। মানুষের ঘরে তো এক বেলা খাবারের ব্যবস্থা নেই।গতকাল সকালে সুনামগঞ্জ পৌর শহরের নবীনগর এলাকায় একটি বিক্রয়কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, নারী-পুরুষ ও শিশু মিলে সারিতে হাজারো মানুষ দাঁড়িয়ে। দেখলেই বোঝা যায় অন্তত ৬০০ মানুষকে খালি হাতে ফিরতে হবে। কারণ, ২০০-এর বেশি লোকের কাছে চাল-আটা বিক্রির ক্ষমতা নেই ডিলারের।সারিতে দাঁড়িয়ে মাইজবাড়ি গ্রামের রুমেনা বেগম (৪১) বলেন, দুই দিন এসে চাল কিনতে পারেননি। আজ তিনি আশাবাদী। কারণ, ভোর ছয়টায় এসে দাঁড়িয়েছেন। তবে গোদারগাঁও গ্রামের ইছাক আলী হতাশ। তিনি বলেন, ‘আমরা আইবার আগেই আশাপাশের মানুষ আইয়া লাইন পুরা করি লায়। তবুও আছি, দেখি পাই কি না।’ নবীনগর এলাকার যুবক আবদুর রশিদ বলেন, ‘সিস্টেমে গন্ডগোল আছে। আশপাশের মানুষই চাল-আটা কিনছে বেশি।’মানুষের চাপ সামলাতে না পেরে ১৩ এপ্রিল জেলার জগন্নাথপুর উপজেলা সদরের দুই ডিলার আবদুর রহিম ও কদরিছ আলী চাল-আটা বিক্রি করতে পারবেন না বলে খাদ্য বিভাগকে জানিয়ে দেন। পরে নতুন করে আরও দুজন ডিলার সেখানে নিয়োগ করা হয়।জেলার শাল্লা উপজেলা খাদ্যগুদাম রোডের ডিলার বিশ্বজিৎ চৌধুরী বলেন, ‘যাদের বাড়ি কাছে, তারাই তো আগে আসে। গ্রাম থেকে হাওর পাড়ি দিয়ে মানুষ আসতে আসতে বিক্রি শেষ হয়ে যায়। আমরা ২০০ জনের বেশি লোকের কাছে বিক্রি করতে পারি না। অন্যদের খালি হাতে ফিরতে হয়।’জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. আবদুল রউফ বলেন, ‘আমাদের কাছে পর্যাপ্ত চাল আছে। বিক্রয়কেন্দ্র ও চাল বিক্রির পরিমাণ বাড়াতে আমরা মন্ত্রণালয়ের কাছে লিখেছি। এখনো সিদ্ধান্ত আসেনি।’জানা গেছে, সরকারের সর্বশেষ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সুনামগঞ্জে ফসলহারা দেড় লাখ ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে প্রতি মাসে ৩০ কেজি করে চাল এবং ৫০০ টাকা দেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এই কর্মসূচি এখনো চালু হয়নি। জেলা প্রশাসক শেখ রফিকুল ইসলাম বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের মধ্যে শুধু যে কম দামে চাল ও আটা বিক্রি করা হচ্ছে, সেটি নয়। এর বাইরে বিনা মূল্যে চাল প্রদান, অর্থ সহায়তা, ভিজিএফ প্রদানসহ নানামুখী কর্মসূচি চলছে।সুনামগঞ্জে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল, অতিবৃষ্টি ও ফসলরক্ষা বাঁধ ভেঙে ১৪২টি হাওরের বোরো ধান তলিয়ে গেছে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে জেলার প্রায় তিন লাখ কৃষক পরিবার। জেলায় এবার ২ লাখ ২৩ হাজার ৮৫০ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছিল। কৃষকেরা বলেন, বোরো ধানের ৯০ শতাংশই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। | 313,945 |
-1 | sports | খেলা | ২৩ জানুয়ারি ২০১৪, ০৩:১১ | ২৩ জানুয়ারি ২০১৪, ০৩:১২ | আন্তর্জাতিক ক্রিকেট,খেলা | null | ফিকার সমালোচনায় নাখোশ সিএ | http://www.prothom-alo.com/sports/article/129774 | ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার (সিএ) চেয়ারম্যানকে চেনা বহুদূর, নামও জানে না ক্রিকেট-বিশ্বের অনেকে। পেশাদারি একটি বোর্ডে যেমন হওয়া উচিত, সিএর মুখপাত্র তেমনি সব সময়ই প্রধান নির্বাহী জেমস সাদারল্যান্ড। ক্রিকেট-বিশ্বে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার মুখও তিনিই। সিএর বর্তমান চেয়ারম্যান ওয়ালি এডওয়ার্ডস এমনিতেও একটু নিভৃতে থেকে কাজ করতে পছন্দ করেন। নিভৃতে থেকেই যেমন ভারত ও ইংল্যান্ডের ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে মিলে বিশ্ব ক্রিকেট শাসন করার খসড়া দাঁড় করিয়ে ফেলেছেন। তবে আলোচিত-সমালোচিত তিন ‘মোড়ল’-এর মধ্যে সবার আগে মুখ খুললেন এডওয়ার্ডসই। তাঁর নিজের ভাষায়, মুখ খুলতে বাধ্য হলেন!এডওয়ার্ডসকে মুখ খুলতে ‘বাধ্য’ করেছে ফেডারেশন অব ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেটার্স অ্যাসোসিয়েশন (ফিকা)। বিশ্ব ক্রিকেটে ছড়ি ঘোরানোর মতলব নিয়ে তিন দেশের প্রস্তাবের তীব্র সমালোচনা করেছে ক্রিকেটারদের বিশ্ব সংগঠন। এই সমালোচনার কাঁটায় বিদ্ধ হয়েই আর চুপ থাকতে পারেননি এডওয়ার্ডস।বিশ্বজুড়ে ক্রিকেটারদের অধিকার রক্ষায় বরাবরই সোচ্চার ফিকা। তিন দেশের প্রস্তাব নিয়ে চলমান তোলপাড়ে ফিকার ভূমিকা নিয়ে কৌতূহল ছিল অনেকের। সংগঠনটির বর্তমান চেয়ারম্যান পল মার্শ অস্ট্রেলিয়ান, আগের চেয়ারম্যানও ছিলেন অস্ট্রেলিয়ারই টিম মে। তবে চুপ থাকার নিরাপদ পথ বেছে নেয়নি ফিকা। অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটার্স অ্যাসোসিয়েশনের ওয়েবসাইটে দেওয়া বিবৃতিতে পল মার্শ বলেছেন, ‘ওয়ার্কিং গ্রুপের প্রস্তাব পর্যালোচনা করার পর ফিকা বোর্ড ও আমাদের সদস্যরা বিশ্ব ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ নিয়ে ভীষণ উদ্বিগ্ন। এই প্রস্তাব খেলাটিতে ভারত, অস্ট্রেলিয়া ও ইল্যান্ডের বোর্ডের নিয়ন্ত্রণ স্থায়ী করার অভিসন্ধি। খেলাটার বৈশ্বিক স্বার্থে এটি করা হয়নি। আমরা শঙ্কিত, এতে বড় তিন দেশই আরও শক্তিশালী হবে, বাকিরা আরও তলানিতে চলে যাবে। পরবর্তী বোর্ড সভায় এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করতে বাকি সাত দেশের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছে ফিকা। খেলাটার ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে তাদের প্রত্যাখ্যানের ওপর।’বড় তিন দেশের একজন করে প্রতিনিধি ও বাকি সাত দেশের একজন প্রতিনিধিকে নিয়ে প্রস্তাবিত চার সদস্যের নির্বাহী কমিটি গঠনের প্রস্তাবকে মার্শ বলছেন, ‘অসাংবিধানিক।’ ফিকার এই তীব্র প্রতিক্রিয়ায় এত দিন মেনে আসা ধারার বিপরীতে হাঁটতে বাধ্য হয়েছেন সিএ চেয়ারম্যান এডওয়ার্ডস, ‘প্রথাগতভাবে আইসিসি সভার কোনো সম্ভাব্য আলোচনা নিয়ে মন্তব্য করে না সিএ। সংবাদমাধ্যমে কথা বলার চেয়ে আমরা অন্য আইসিসি সদস্যদেশগুলোর সঙ্গে আলোচনার টেবিলে বসে কথা বলতেই পছন্দ করি। কিন্তু আইসিসির সদস্য হিসেবে সিএ এবং অন্য দেশগুলোর বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে ফিকা প্রশ্ন তোলায় আমরা ভীষণ হতাশ হয়েছি।’চলমান সমালোচনা নিয়ে অবশ্য গৎবাঁধা ও ধোঁয়াশামাখা কথাই বলেছেন এডওয়ার্ডস, ‘চলমান বিষয়টি নিয়ে সিএর দৃষ্টিভঙ্গি হলো টেস্ট ক্রিকেটের শ্রেষ্ঠত্ব অক্ষুণ্ন রেখেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট প্রতিযোগিতাগুলোকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে আমাদের। ক্রিকেটের বৈশ্বিক নেতৃত্বকে উন্নত করতে হবে। সদস্যদেশগুলো খেলাটার স্বার্থ ওপরে তুলে ধরাটাকেই অগ্রাধিকার দেবে বলে আমরা আশা করি।’ ওয়েবসাইট। | 45,655 |
কামরুল হাসান ও আব্দুল কুদ্দুস, কক্সবাজার | bangladesh | বাংলাদেশ | ১১ অক্টোবর ২০১৭, ১৮:৫০ | ১১ অক্টোবর ২০১৭, ১৮:৫৮ | কক্সবাজার,চট্টগ্রাম বিভাগ | 0 | সব রোহিঙ্গার জন্য এক শিবির | http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1341751 | সরকার নতুন করে আসা রোহিঙ্গাদের জন্য কুতুপালংয়ে যে বৃহদাকার শিবির তৈরির পরিকল্পনা করেছে, তার জন্য তিন হাজার একর বা পাঁচ বর্গকিলোমিটার এলাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। উখিয়া উপজেলার লাম্বাশিয়া থেকে ময়নাঘোনা এলাকার ওই শিবিরে প্রতিটি পরিবারের জন্য ২২৫ বর্গফুট করে জায়গা দেওয়া হবে। এভাবে দেড় লাখ পরিবারের জন্য দেড় লাখ ছাউনি তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।তবে সরেজমিনে দেখা যায়, সরকারি উদ্যোগ শুরু হওয়ার আগেই রোহিঙ্গারা সেখানে নিজেদের মতো বাসস্থান তৈরি করে নিয়েছে। সেনাবাহিনী সেখানে সড়ক যোগাযোগ তৈরি করছে।কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মো. আলী হোসেন গত সোমবার সকালে প্রথম আলোকে বলেন, রোহিঙ্গা আসা এখনো অব্যাহত আছে। এখন পর্যন্ত নতুন আসা রোহিঙ্গার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ২৩ হাজার। এর বাইরে দুই লাখের বেশি রোহিঙ্গা ২০০৫ সাল থেকে বিভিন্ন সময় এসেছে। সব মিলে নিবন্ধিত ও অনিবন্ধিত রোহিঙ্গার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে মোট ৯ লাখ ২৬ হাজার ৪৩১। নিরাপত্তার জন্য সব রোহিঙ্গাকে কুতুপালংয়ের একটি স্থানে আনা হবে।গত মঙ্গলবার জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশন (ইউএনএইচসিআর) জানায়, সোমবারও নতুন করে ১১ হাজার আশ্রয়প্রার্থী মিয়ানমার থেকে এসেছে।একক বৃহদাকার আশ্রয়শিবির নির্মাণ প্রসঙ্গে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী গত সপ্তাহে বলেছেন, ১৯৭৮ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা নিবন্ধিত-অনিবন্ধিত, ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা সব রোহিঙ্গাকে উখিয়ার কুতুপালংয়ের একটি ক্যাম্পের আওতায় নিয়ে আসা হবে।কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাহিদুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ৩ হাজার একর জায়গায় ৫ লাখ মানুষের জন্য দেড় লাখ শেড, ১৭ হাজার ৫০০ বাথরুম, ৪ হাজার নলকূপ ও ১৪ হাজার গোসলখানা স্থাপন করা হবে। এর মধ্যে আড়াই হাজার বাথরুম, ১ হাজার ৮০০ নলকূপ ও ৭৯ হাজার শেড স্থাপন করা হয়ে গেছে।তবে এত বেশি রোহিঙ্গার জন্য যে বিশাল আশ্রয়শিবির নির্মাণের পরিকল্পনা করা হচ্ছে, তা বিপজ্জনক হবে বলে মন্তব্য করেছেন জাতিসংঘের এক শীর্ষ কর্মকর্তা। ঢাকায় জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক রবার্ট ওয়াটকিনস গত শনিবার বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, এক স্থানে মাত্রাতিরিক্ত মানুষ বসবাসের কারণে নানা ধরনের প্রাণঘাতী রোগ মহামারি আকারে দেখা দিতে পারে। তিনি বলেন, তাদের মধ্যে যদি কারও ছোঁয়াচে রোগ থাকে, তা দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে। এ ছাড়া আগুন লাগার ঝুঁকি তো আছেই। একাধিক জায়গায় রাখা হলে একদিকে তারা যেমন নিরাপদ থাকবে, অন্যদিকে তেমনি তাদের দেখাশোনা করাও সহজ হবে।তবে কক্সবাজারের বিভিন্ন রোহিঙ্গা ত্রাণশিবিরে কথা বলে জানা গেছে, সব রোহিঙ্গা এক স্থানে আসতে চায় না। মুতব্রু সীমান্তের কোনারপাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বসবাসকারী আরিফুল ইসলাম বলেন, তাঁরা সীমান্তের শূন্যরেখায় আছেন। সুযোগ বুঝে তাঁরা সহজেই মিয়ানমারে ঢুকে যেতে পারবেন। কিন্তু ত্রাণশিবিরে গেলে আর ফিরতে পারবেন না।নোয়াখালী জেলা প্রতিনিধি মাহবুবুর রহমান জানান, ভাসানচরে স্থানান্তরের ব্যাপারে নোয়াখালীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক প্রথম আলোকে বলেন, নৌবাহিনী এখন পর্যন্ত সেখানে নিজেদের থাকার ঘর, অতিথিদের বসার ঘর, একটি হেলিপ্যাড ও চলাচলের একটি রাস্তা নির্মাণ করেছে। এ ছাড়া চরের চারদিকে বাঁধ নির্মাণসহ অন্যান্য উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের বিষয়ে তারা একটি পরিকল্পনা করেছে। রোহিঙ্গা স্থানান্তরের বিষয়টি এখনো প্রাথমিক পর্যায়েই রয়েছে।শেড ছেড়ে রোহিঙ্গারা ঝুপড়িতেগত সোমবার কুতুপালং ক্যাম্পে গিয়ে দেখা যায়, সেখানকার প্রবেশমুখ জলকাদায় একাকার। একটু এগিয়ে গেলে ছাউনিগুলো যেখান থেকে শুরু, সেখানকার অবস্থা আরও খারাপ। কাদামাটির সঙ্গে যুক্ত হয়েছে মানববর্জ্য—সব মিলে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ।আবর্জনা গড়িয়ে পড়া নালার পাশেই আবদুর রহমানের ঝুপড়ি। ওপরে সাদা রঙের ত্রিপল আর চারদিকটা কালো রঙের পলিথিনে ঢাকা। এই পলিথিন স্থানীয় বাজার থেকে কেনা হয়েছে সস্তা দরে। ছাউনির ওপরের সাদা রঙের যে ত্রিপল, সেটা সরকারি অনুদান। এখন সব ঝুপড়ির ওপরেই এই সাদা ত্রিপল দেওয়া হচ্ছে।গত ১০ দিনে বিভিন্ন রোহিঙ্গা ক্যাম্প ঘুরে দেখা যায়, ছাউনিগুলোর ওপরের অংশ পলিথিন দিয়ে ঢাকা হলেও নিচের অংশে খোলা। বৃষ্টি হলে তা ছাউনির ভেতর ঢুকে পড়ে। কোনো কোনো ছাউনি অবশ্য চারদিকেই ঢাকা।আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা আইওএমের গত রোববার প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৩ লাখ ২৩ হাজার মানুষ এখনো খাওয়ার পানির সুবিধা থেকে বঞ্চিত। প্রতিদিন এসব মানুষের জন্য ৩ হাজার ১৫০ কিউবিক মিটার পানির দরকার। কিন্তু তারা পাচ্ছে মাত্র ১ হাজার ৬২০ কিউবিক মিটার।রোহিঙ্গারা বলছেন, খাওয়ার পানির সংকট কোনোভাবে মেটানো গেলেও যে ঝুপড়িগুলোয় তাঁরা বাস করছেন, সেগুলো খুবই গরম। দিনের বেলার এর ভেতরে থাকা যায় না। সরকার যে শেডগুলো স্থাপন করেছিল, সেগুলোতে কেউই থাকেনি। রোহিঙ্গারা নিজেদের মতো পলিথিনের ছাউনি করে বসবাস করছে।খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বেশির ভাগ ছাউনি রোহিঙ্গারা নিজেরাই করেছে। স্থানীয় বাজার থেকে কেনা পলিথিন ও বাঁশকাঠ দিয়ে তারা ছাউনি তৈরি করেছে। এখন সেই ছাউনির ওপর একটি করে সাদা রঙের ত্রিপল দেওয়া হচ্ছে।তবে শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনের কমিশনার (যুগ্ম সচিব) মোহাম্মদ আবুল কালাম প্রথম আলোকে বলেন, শেড বা তাঁবু বলতে যা বোঝায়, তা দেওয়া হচ্ছে না। কারণ, রোহিঙ্গারা তাঁবুতে অভ্যস্ত নয়। এর আগে দুই হাজার তাঁবু বিতরণ করা হলেও তা কোনো কাজে লাগেনি। রোহিঙ্গারা সেই তাঁবুতে থাকেনি। তাদের অভিযোগ, তাঁবু খুব গরম। এ কারণে তাঁবুর বদলে এখন তারা যে অবস্থায় আছে, সেই অবস্থায় থাকবে। তবে পলিথিনের বদলে তাদের ছাউনির ওপরে ত্রিপল দেওয়া হবে।কিন্তু শেডে না থেকে যেসব ঝুপড়িতে রোহিঙ্গারা থাকছে, সেগুলোয় গরম কতটা কম? এক ত্রাণকর্মী গতকাল সকালে কুতুপাংলয়ের একটি ঝুপড়ির ভেতরে মাথা গলিয়ে ফিরে এসে বলেন, ভেতরটা মনে হচ্ছে বয়লার। কালো রঙের পলিথিন যেন সূর্যকে ধরে রেখেছে।ছাউনির পরিবেশ নিয়ে কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সিরাজুল মোস্তফা নিজেও ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এ রকম ছাউনির ভেতরে কোনো মানুষ বাঁচতে পারে না। এটা কোনো মানুষের জীবন হতে পারে না।এ রকম ছাউনিতে কি মানুষ থাকতে পারে? প্রশ্ন করা হলে কমিশনার (যুগ্ম সচিব) মোহাম্মদ আবুল কালাম বলেন, এটাকে পলিথিনের ছাউনি কেন বলছেন? নিচে ম্যাট থাকবে, ওপরে তো ত্রিপল আছে।এ রকম পরিবেশে কত দিন থাকতে হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, নিজ দেশে ফেরত না যাওয়া অথবা ভাসানচরে স্থানান্তর না হওয়া পর্যন্ত তাদের এভাবেই থাকতে হবে। কত দিন সময় লাগবে, সেটা কি কেউ বলতে পারবে? | 340,906 |